পরিবেশ
প্রকৃতিবিরুদ্ধ তৎপরতার বিপরীতে

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০ | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:৫৯
পরিবেশের সঙ্গে নারীর সম্পর্ক আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ আছে কিনা, সেটি নিয়ে হয়তো অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন নীতিমালা, ঘোষণাপত্র, বাস্তবতা বিশ্নেষণ করলে দেখা যায়, নারীর সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ককে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে প্রধানত দুই বিবেচনায়- একজন নারী কীভাবে তাঁর পরিবেশকে প্রভাবিত করেন এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি হলে নারী কীভাবে প্রভাবিত হন।
পরিবেশ বিষয়ে প্রণীত রিও ঘোষণাপত্র, ১৯৯২-এর নীতি ২০-এ বলা আছে, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে নারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং যদি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হয় তাহলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। রিও ঘোষণাপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত কর্মসূচি ২১-এ পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একটি আলাদা অধ্যায় ২৪ সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রগুলোকে নাইরোবিতে গৃহীত কৌশলপত্র বাস্তবায়ন করে নারীকে সমাজের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে দিতে কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নাইরোবির কৌশলপত্রে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশের অবক্ষয় রোধে নারীর অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রগুলোকে তাগিদ দেওয়া হয়েছিল যেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনা, কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো হয় এবং নারীর প্রতি যত রকম বৈষম্যমূলক আইন আর নীতি রয়েছে, তা বিলোপ করা হয়। নারীর ক্ষমতায়নে যথাযথ সাংবিধানিক, আইনি, সাংস্কৃতিক, অভ্যাসগত পরিবর্তন আনতেও রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে উদ্যোগের কথা নাইরোবির কৌশলপত্রে বলা হয়েছে তা হলো- নারীর সঙ্গে পরিবেশের যে সম্পর্ক এবং পরিবেশের অবক্ষয়ের কারণে নারীর ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ে, তা নিয়মিতভাবে বিশ্নেষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে- খরা, মরূকরণ, বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের কারণে নারীর ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা তখনই মোকাবিলা করা সম্ভব যখন নারীকে পরিবেশ রক্ষায় ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় আনা হবে।
কর্মসূচি ২১-এর ২৪ অধ্যায়ে রাষ্ট্রগুলোয় নারীর যে কাজগুলোকে 'গৃহস্থালি' কাজ বলে সম্মান দেওয়া হয় না, সেগুলোর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রস্তাব করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টসের যে নিয়ম-নীতি রয়েছে, রাষ্ট্রগুলোকে তা মেনে চলার আহ্বান করা হয়েছে। ১৯৯২ সালের জীববৈচিত্র্য রক্ষার আন্তর্জাতিক সনদে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং এর টেকসই ব্যবহারে নারীর ভূমিকা স্বীকার করে এ সংক্রান্ত সব নীতি প্রণয়নে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় নারী ও পরিবেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। এ দেশের সংস্কৃতিতে নদীকে নারীর সঙ্গে তুলনা করা হয় আর নারীকে তুলনা করা হয় নদীর সঙ্গে। জীবনের প্রয়োজনে প্রধান যে দুটি কাজ আমরা করে থাকি, তা প্রকৃতি ও নারীনির্ভর। ঐতিহাসিকভাবে বিশ্নেষণ করলে দেখা যাবে যে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে নিরাপদ রাখতে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। খনার বচনে প্রকৃতির বিভিন্ন উপসর্গ দেখে এবং ঋতুর তারতম্যে খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তা কেমন প্রভাব ফেলবে তা বলা হয়েছে। ধারণা করা হয়, খনা ছিলেন একজন নারী। সেই খনার সময় থেকে শুরু করে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় পরিবার বা সমাজের খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ সবকিছুর সঙ্গেই নারীর রয়েছে অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। কৃষি উৎপাদন এবং খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারীরা একাধারে খাদ্য উৎপাদক, বীজ ও লোকায়ত জ্ঞান সংরক্ষক এবং জীববৈচিত্র্যও সংরক্ষণ করেন। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি খাতে নিয়োজিত পুরুষের চেয়ে খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতে নারীর অবদান ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি।
নারী শুধু তাঁর আশপাশের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাকেই সংরক্ষিত রাখেন না, উপরন্তু তা নিরাপদ করেন। একজন গ্রামীণ নারী তাঁর ভাঙা ঘরের বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই ছোট্ট উঠোনে সংসারের প্রয়োজনীয় সবজিটুকু উৎপাদন করেন। বিপুল পরিমাণ কীটনাশক আর সারের ভারে ন্যুব্জ কৃষি ব্যবস্থায় নারীর নিজস্ব খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা নিরাপদ। একজন মা হিসেবে উৎপাদকের ভূমিকায় অবতীর্ণ নারী নিরাপদ খাদ্যকে প্রাধান্য দেবেন, সেটিই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীরা বেশ সফলতার সঙ্গে তাঁদের উৎপাদিত নিরাপদ খাদ্য বাজারে পৌঁছে দিচ্ছেন। এখানে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরনন্দা গ্রামের নারীদের বিষমুক্ত ফসল ফলানোর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সেখানে নারীরা তাঁদের উৎপাদিত প্রাকৃতিক সার দিয়ে চাষাবাদ করছেন এবং উৎপাদিত ফসল পুরো গ্রামে বিক্রি করছেন। এতে তাঁরা নিজেরাও যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন, তেমনি কৃষিতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ ও মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নরসিংদীতেও নারীসমাজ সংগঠিত হয়ে প্রাকৃতিকভাবে কৃষিকাজ করে দারিদ্র্য দূর করতে পেরেছে।
খাদ্য উৎপাদন ছাড়াও প্রতিটি ঘরেই নারীরা পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন। বাসায় পানি না থাকলে এমনকি ঢাকার মতো এলাকায়ও নারীরাই পানির পাত্রটি নিয়ে নলকূপ বা পানি সরবরাহ গাড়ির সামনে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। পারিবারিক বা গৃহস্থালির পানি ব্যবস্থাপনায় নারীই ব্যবস্থাপক।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত পরিবেশ সমস্যা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এই জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর ওপর যে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে, তা ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বাংলাদেশের মতো আর্থসামাজিক বাস্তবতায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি ভঙ্গুর। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত কোনো জনগোষ্ঠীকে তাৎক্ষণিকভাবে পুনর্বাসন করা সম্ভব না হলে, সেই এলাকার পুরুষরা এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র গিয়ে আয়-রোজগার করতে পারেন কিন্তু নারীকে তাঁর সংসার সামলাতে আগের জায়গাতেই থেকে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে একজন অপ্রস্তুত নারী পরিবারের ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, যদিও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, সম্পত্তি বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অধিকার সীমিত। ফলে অসমান অধিকার নিয়েও নারীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী ভয়াবহতা মোকাবিলা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এককভাবে এমনকি দুর্যোগ চলাকালে নারীকে বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হয়। সাইক্লোন শেল্টারে নারীর জন্য থাকে না পর্যাপ্ত সুবিধা। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শুরু হয়েছে সুপেয় পানির ভয়াবহ সংকট। পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানকার কোনো কোনো এলাকার তরুণীরা ঋতুকালীন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে ঋতু বিলম্বিত করছেন। কারণ এ সময়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য যে পরিমাণ পানির দরকার, তা তারা পাচ্ছেন না। দক্ষিণাঞ্চলের নারীদের অনেক দূর হেঁটে গিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয়। পানিস্বল্পতার কারণে এ অঞ্চলের নারীরা তিন-চার দিনে একবার গোসল করতে পারেন। তাঁরা একবার যে পরিমাণ পানি আনতে পারেন, তা দিয়েই পরিবারের সদস্যদের বেশ কিছুদিনের পানির চাহিদা মেটাতে হয়। লবণাক্তকবলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বৈরী অবস্থায় পানি বিষয়ে নারীকে মহাব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় ইতোমধ্যে উঠে এসেছে, নিয়মিত লবণাক্ত পানি পানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, যা তাঁদের জীবনের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত নারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনাসহ নানা বৈরী অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে। গ্রামে ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় থাকা একজন নারী হঠাৎ করে শহরে এসে যে মনস্তাত্ত্বিক আতঙ্কের শিকার হন, সমাজ তা কখনোই বিবেচনায় নেয় না। পরিবারের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও আমাদের বাস্তবতায় পরিবারের নারীই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। এ দেশের বননির্ভর জনগোষ্ঠীর সমাজব্যবস্থার দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের সমাজে নারীরা ব্যথা, পেটের পীড়া, জ্বর, আঘাতের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেন। বননির্ভর জনগোষ্ঠীর ৯৮ শতাংশ মানুষই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। এ জ্ঞান তারা তাদের মাতৃপ্রধান সমাজ থেকেই পেয়ে থাকে। নারীর সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক বাংলাদেশের পরিবেশ নীতি ছাড়াও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও স্বীকৃত। তা সত্ত্বেও মূলধারার নারীবাদী আন্দোলনে নারী ও পরিবেশের সম্পর্কের বিষয়টি এখনও অনেকটাই অনানুষ্ঠানিক। সমাজে বৈষম্য এখনও প্রকট। এ বৈষম্যের পরিবেশে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর প্রকৃতিনির্ভর এবং প্রকৃতিলব্ধ জ্ঞান সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। নারীর শ্রম এখনও উপেক্ষিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের একজন পুরুষ দৈনিক ১ দশমিক ৬ ঘণ্টা গৃহস্থালি এবং সেবামূলক কাজে ব্যয় করেন। সেই তুলনায় নারীরা একই কাজে ১১ দশমিক ৭ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের নারীরা গৃহস্থালি এবং সেবামূলক কর্মকাণ্ডে পুরুষের তুলনায় আট গুণ বেশি সময় ব্যয় করলেও তা সবসময় অস্বীকৃত থেকে যায়। এ অস্বীকৃতি প্রকৃতি ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক হতে বাধা দিচ্ছে। একই সঙ্গে প্রকৃতির কাছ থেকে সমাধান খোঁজার পথ সংকুচিত করে মুনাফা ও বাজারভিত্তিক সমাধানের দিকে ধাবিত করছে, যা শেষ পর্যন্ত টেকসই হচ্ছে না। হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ, যা আমাদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে।
নারী যে কেবল প্রকৃতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন তা নয়। যখনই প্রকৃতিবিরুদ্ধ কাজ তাঁর সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎকে বাধাগ্রস্ত করছে, তখনই নারীরা কখনও এককভাবে, কখনও সামষ্টিকভাবে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নারীর নেতৃত্ব বেশ সাড়া ফেলেছে। গ্রামীণ আবহের পাশাপাশি শহুরে পরিবেশেও নারীর নেতৃত্ব পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে বিশ্বাসযোগ্যতা দিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নির্মল বাতাস আর খেলার জায়গা সংরক্ষণে আমরা ঢাকার কলাবাগান থেকে শুরু করে সিরাজগঞ্জে নারীদের সফল আন্দোলন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে নারীদের বিরুদ্ধে অযাচিত প্রশাসনিক ব্যবস্থাও সাহসিকতার সঙ্গে নারীরা মোকাবিলা করেছেন।
নারীর সঙ্গে পরিবেশের এমন প্রাত্যহিক আর নিবিড় সম্পর্কের কারণেই হয়তো আমরা প্রকৃতিকে 'মাদার নেচার' বা 'প্রকৃতি মা' বলে থাকি। নারীর অস্তিত্ব আর পৃথিবী ও প্রকৃতির অস্তিত্ব ভিন্ন করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের দেশে নারীবাদী আন্দোলন বা সব ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণের দাবি ক্রমান্বয়ে সোচ্চার হলেও এখনও নারী আন্দোলন কিংবা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিগুলো লিঙ্গবৈষম্যের বাইরে গিয়ে প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নারীকে মূল্যায়িত করেনি; যা এখন সময়ের দাবি।
লেখক
অ্যাডভোকেট সুপ্রিম কোর্ট
প্রধান নির্বাহী, বেলা।