ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

স্বাস্থ্য

জনস্বাস্থ্য যেখানে দাঁড়িয়ে

জনস্বাস্থ্য যেখানে দাঁড়িয়ে

মুশতাক হোসেন

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০ | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:৫৯

বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য বলতে স্বাস্থ্য খাতে আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই, যা আছে তা হচ্ছে মূলত চিকিৎসা ব্যবস্থা। আপনার যদি স্বাস্থ্য খারাপ হয় বা কোনো রোগ হয়েছে বলে সন্দেহ করেন, তখন আপনাকে চিকিৎসক ওষুধ খেতে বলবেন বা অস্ত্রোপচার করবেন- এটি হলো চিকিৎসা ব্যবস্থা। চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু এটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাঁচটি অংশের একটি মাত্র। এ পাঁচটি অংশ হচ্ছে- (ক) প্রতিরোধমূলক ও স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা, (খ) স্বাস্থ্য উন্নয়ন, (গ) চিকিৎসা বা নিদানিক, (ঘ) পুনর্বাসনমূলক এবং (ঙ) উপশম বা সহায়তামূলক।

রোগ যেন মানুষকে আক্রান্ত করতে না পারে- এমন কাজকর্মকে বলা হয় রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রোগের বিরুদ্ধে টিকাদান কর্মসূচি হচ্ছে এমন কাজের উদাহরণ। স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ কোনো সংক্রামক রোগ বা কোনো দূষণ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ল কিনা, এটি প্রতিনিয়ত নজরদারি করাটাও স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষার অংশ। যেসব মানুষ শারীরিক পরিশ্রম করেন না, শরীরে অতিরিক্ত ওজন আছে, তাঁদের প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা ঘাম ঝরানো পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে বলা; খাবারে অতিরিক্ত চর্বি-লবণ-চিনি পরিহার; তামাক-অ্যালকোহল বর্জন করতে উদ্বুদ্ধ করা- এ কাজগুলো স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ। চিকিৎসা বা নিদানিক ব্যবস্থার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা রোগীদের শরীর পরীক্ষা করা, পর্যবেক্ষণে রাখা, যথাযথ ওষুধ, অস্ত্রোপচার প্রভৃতি নিদানিক ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত। চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারে রোগী সুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে কর্মক্ষম করে তোলার কাজটি করে থাকে পুনর্বাসনমূলক স্বাস্থ্যসেবা। এ ব্যবস্থার উদাহরণ হচ্ছে- ভাঙা হাড় জোড়া লাগার পরে তাঁকে ফিজিওথেরাপি বা নির্দিষ্ট ব্যায়াম দিয়ে সচল করা; কথা উচ্চারণ করতে না পারা ব্যক্তিকে কথা বলার থেরাপি দেওয়া; মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের পরে তাঁর মানসিক শক্তি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি। উপশমমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উদাহরণ হচ্ছে- দীর্ঘমেয়াদি ক্যান্সার রোগীর নানা উপসর্গ নিরাময় করা। যেমন- শরীরে ব্যথা হলে তার উপশম করা, শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে নেবুলাইজার দিয়ে শ্বাস নিতে সাহায্য করা।

জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা
জনস্বাস্থ্য হচ্ছে মানুষ ও সমাজের স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নের বিজ্ঞান। এটি করা হয় নাগরিকদের স্বাস্থ্যবান জীবনাচরণ অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করা, রোগ সম্পর্কে গবেষণা, আঘাত থেকে সুরক্ষা, সংক্রামক রোগ শনাক্ত-প্রতিরোধ-দ্রুত মোকাবিলা প্রভৃতির মাধ্যমে। মোটের ওপর বলা যায়, গোটা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের কাজ। কাজটি একটি মহল্লার মতো ছোট জায়গার জন্য হতে পারে, আবার সারাদেশ বা কয়েকটি দেশ মিলিয়ে একটি গোটা অঞ্চলের জন্যও হতে পারে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে অংশ (ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, পদ্ধতি) জনস্বাস্থ্যের কাজ করে, সেটিকেই আমরা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলতে পারি। মূলত সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাজই হলো, জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। এ জন্য অনেক দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাম হচ্ছে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে অনেক দেশে মন্ত্রণালয়ের নাম জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না হলেও এর অধীনে জনস্বাস্থ্যের সুনির্দিষ্ট পৃথক কর্তৃপক্ষ রয়েছে।
আমাদের দেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে টিকা তৈরিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলেও তা আজ সেই অবস্থায় নেই। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের কাজ করে এমন আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি ইউনিটও জনস্বাস্থ্যের কাজ করে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের জনস্বাস্থ্যের কাজও করতে হয়। তবে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নেই।

ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জনস্বাস্থ্যের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধীনে ন্যস্ত করা দরকার। এটি যেমন কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রয়োজন, তেমনি জেলা-উপজেলা পর্যায়েও তা করা দরকার। জনস্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কাজ করে। বিশেষ করে অলাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে অগ্রণী। জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তৈরি হলে এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করা আরও সহজ ও গতিশীল হবে।

বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য সরকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০৩২ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়ন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাংলাদেশের অগ্রগতি বুঝতে আমরা কয়েকটি সূচক দেখি।
টেকসই মাত্রার লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ সদ্য জন্মলাভকারী (২৮ দিনের কম বয়সী) শিশুদের মৃত্যুহার প্রতি এক হাজার জীবিত জন্মে ১২ জনে নামিয়ে আনা; বাংলাদেশে ২০২০ সালে এ হার ছিল ১৫ শিশু। আরেকটি টেকসই লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, একই সময়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার প্রতি এক হাজার জীবিত জন্মে ২৫ জনে নামিয়ে আনা; বাংলাদেশে ২০২০ সালে এ হার ছিল ২৮। মাতৃমৃত্যু হার প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ৭০ জনে নামিয়ে আনা হচ্ছে টেকসই মাত্রার লক্ষ্য; বাংলাদেশে ২০২০ সালে এ হার ছিল ১৬৩। সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ আহতের মধ্যে মৃত্যুসংখ্যা ১ দশমিক ২-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে আরেকটি লক্ষ্য। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে এ হার ছিল ১৫ দশমিক ৩।
ওপরের পরিসংখ্যান বিশ্নেষণ করলে দেখা যাবে সদ্যোজাত ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমানোর বিষয়ে আমরা হয়তো ২০৩০ সালের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব। কিন্তু মাতৃমৃত্যু ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমানোর জন্য আমাদের আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। মাতৃমৃত্যুর বর্তমান হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার লক্ষ্যমাত্রার ১২ গুণেরও বেশি।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে (১) দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, প্রত্যেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবে; (২) টাকার কারণে যেন কোনো নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হন; (৩) স্বাস্থ্যসেবার মান সারাদেশে একই রকম হতে হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে আমাদের অগ্রগতি পরিমাপের কয়েকটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমরা মাত্র ৫১ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পেরেছি; ভারতে সেটি ৬১ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৬৭ আর থাইল্যান্ডে ৮৩ শতাংশ। অথচ ২০৩২ সাল নাগাদ তা ১০০ শতাংশে উন্নীত করার কথা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ৮৮ ডলার খরচ করার সুপারিশ করেছে কিন্তু বাংলাদেশে আমরা মাথাপিছু খরচ করি মাত্র ৪২ ডলার। অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম। ২০১৫ সালে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার জন্য এ দেশের মানুষ নিজের থেকে খরচ করত ১০০ টাকার মধ্যে ৬৪ টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্ধেক কমিয়ে ৩২ টাকা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি না কমে ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। ২০২০ সালে সেটি ছিল ৭২ টাকারও বেশি। নিজের পকেট থেকে খরচ করা এ টাকার প্রায় ৭০ শতাংশ খরচ হয় ওষুধ এবং পরীক্ষার পেছনে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতে ২০২৫ সাল নাগাদ মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ২ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ বাজেটে সেটি জিডিপির ১ শতাংশেও পৌঁছেনি।

নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যসেবা যাও কিছু আছে গ্রামাঞ্চলে, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় তা নেই। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মী- এগুলো গ্রামে রয়েছে। শহরে এসবের কিছুই নেই। ঢাকা মহানগরীতে কয়েকটি আরবান ডিসপেনসারি আছে, যা তৃণমূল মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা মেটানোর জন্য একেবারেই নগণ্য। বেশ কয়েকটি সরকারি বড় হাসপাতাল ও বেসরকারি অনেক হাসপাতাল আছে, যেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই। কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হলেও বড় হাসপাতালের দায়িত্ব সেটি নয়। সরকারি কাজের বণ্টন অনুযায়ী নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের কাজ করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু চলমান ডেঙ্গু মহামারি বা আরও আগে থেকে চলমান কভিড-১৯ বিশ্বমারিতে দেখা গেল সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাগুলোর জনস্বাস্থ্যসেবা বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার একেবারেই সক্ষমতা নেই। কিন্তু ঘনবসতি, তীব্র আর্থসামাজিক বৈষম্য ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে শহর-নগরে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা গ্রামের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আর মহামারি, বিশ্বমারি তো বড় বড় শহরে আগে হয় এবং সেটি পর্যায়ক্রমে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই শহর-নগরে জনস্বাস্থ্য কাঠামো ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা না করলে সংক্রামক আর অসংক্রামক যে রোগের কথাই বলি না কেন, তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সরকারি হোক আর বেসরকারি খাতেই হোক, শুধু বড় বড় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৈরি করে শহর-নগরকে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ করা যাবে না।

জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে পরিচালিত করার জন্য সুস্পষ্টভাবে পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন এবং তা শক্তিশালী করার ব্যাপারে এ দেশের নীতিনির্ধারকরা যত আগে ব্যবস্থা নেবেন তত দ্রুত আমরা নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারব। শহর-গ্রাম, পাহাড়-বনাঞ্চল-সমতল, বস্তি-অভিজাত এলাকা নির্বিশেষে সব জায়গায় সব শ্রেণি-জাতির মানুষের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করার জন্য বিশ্বমারি মোকাবিলার মতোই জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বমারির সময় যেমন আমরা তাকাইনি কোথা থেকে টাকা আসবে- যত ওষুধ, টেস্ট, টিকা লাগুক- আমরা সেটি পেয়েছি। সেভাবেই বিশ্বমারি আমরা মোকাবিলা করেছি। ঠিক একই রকম গুরুত্ব দিয়ে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করলে কভিড-১৯-এর মতো জরুরি পরিস্থিতি আমরা আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব। বিশ্বমারি বা মহামারি ঘটলে শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, কৃষি-শিল্প সব অচল হয়ে যায়। তাই অগ্রাধিকার কোথায় দেব সেটি ভালোভাবে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

লেখক
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

আরও পড়ুন

×