ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

শিক্ষা

প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বাণিজ্য আর ক্ষমতার ভার

প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বাণিজ্য আর ক্ষমতার ভার

আনু মুহাম্মদ

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০ | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:৫৮

শিক্ষার যত পর্ব আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা, তারপর মাধ্যমিক। এগুলোর ওপরেই দাঁড়ায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা। সে কারণে এই ভিত্তিকালের পাঠ্যসূচি, শিক্ষা কার্যক্রম, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ, শিক্ষকদের মেধা সবচেয়ে মনোযোগ, দায়িত্বশীলতা ও আর্থিক সংস্থান দাবি করে। এর মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অথচ প্রথম পর্বেই এ শিক্ষা হয়ে ওঠে বোঝা। কিছুদিন পরপর সরকারের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই বোঝা আরও বাড়ে।

শিশুর চিন্তা ও সৃজনশীলতার ভিত্তি গঠন, জগৎকে তাদের সামনে একে একে তুলে ধরা, তাদের মধ্যে ক্রমে জন্ম নেওয়া হাজারো প্রশ্নের জবাবের পথ তৈরি, কৌতূহল দমন না করে তার ক্রমবিকাশ- এগুলোর জন্যই স্কুল শিক্ষা হওয়ার কথা। বর্ণমালা থেকে শুরু করে রং চেনা, ফুল-ফল, পশু-পাখি থেকে গাছ, নদী, মানুষের বৈচিত্র্য, ধর্ম-জাতি-শ্রেণি-লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, ছড়া, গল্প- এগুলোর মধ্য দিয়ে শিশুর জ্ঞানের জগৎ খুলে যাওয়ার কথা। পরবর্তী সময়ে গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষা-সাহিত্য, ভূগোল, সমাজ সম্পর্কে শিশুর কৌতূহল সৃষ্টি ও তা মেটাতে উচ্চ বিদ্যালয় পর্ব হওয়ার কথা। এখানেও পাঠক্রম ও শিক্ষকদের ভূমিকা শিক্ষার্থীদের ভেতরের কৌতূহল জাগিয়ে দেওয়া; তৈরি করা জিনিসপত্র গিলিয়ে দেওয়া নয়।

আমাদের এখানে ব্যয়বহুল হোক বা সাশ্রয়ী; সবখানে দেখি, যাঁরা নীতি নির্ধারণ করেন তাঁদের মধ্যে এ রকম একটা ধারণা রয়েছে, যত বেশি বই, যত বেশি বোঝা চাপানো যাবে শিশুদের ওপর সেটাই উচ্চমানের শিক্ষা। যে স্কুল যত এসব করবে সেই স্কুল তত উচ্চ মানসম্পন্ন। এর চেয়ে ভুল আর কিছু হতে পারে না। শিশু থেকে শুরু করে প্রাথমিক-মাধ্যমিকসহ সব পর্যায়েই শিক্ষা হওয়া উচিত আনন্দপূর্ণ। আর শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি, আনন্দ ও প্রশ্ন তৈরি করা। যাতে সে নতুন নতুন বিষয়ে অনুসন্ধানে নিজে থেকে আগ্রহী হয়। সে যেন আরও বই পড়তে চায়, আরও জানতে চায়। আমাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থাটাই এ রকম; খুব ব্যয়বহুল কিন্ডারগার্টেন কিংবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে শুরু করে মাদ্রাসা পর্যন্ত সব জায়গায় আমরা দেখি মুখস্থ করানো, গাইড বই পড়ানো। এগুলো একেকটা বোঝা হিসেবে আসে, যা শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। আমরা যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা নিয়ে ভয় দেখি, পরীক্ষা নিয়ে ভয় দেখি কিংবা তাদের মধ্যে কোনো রকমে পাস করার প্রবণতা দেখি, নোট-গাইডের প্রতি আগ্রহ দেখি; এর প্রধান কারণ হচ্ছে শৈশব থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ধরন।

এ ছাড়া পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বৈষম্য, অনিয়ম ও অসংগতিতে ভরা। যেমন প্রথমত, শিক্ষার কোনো অভিন্ন কাঠামো নেই; দ্বিতীয়ত, অভিন্ন সিলেবাস নেই; তৃতীয়ত, মেধা অনুযায়ী শিক্ষালাভের সুযোগ নেই। কারণ অভিভাবক কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করে কে কোন শিক্ষার সুযোগ পাবে। চতুর্থত, কাঠামোটাই এমন যে, শিক্ষার্থী ভয় পেয়ে যায়। বোঝা ও বাধ্যবাধকতার চাপ অনুভব করে।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পর উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জায়গা। এখানে সবাই আগ্রহী না-ও হতে পারে। এমনকি সবার প্রয়োজন না-ও হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবে এবং সমাজের যে বিবিধমুখী চাহিদা, যেমন- ইতিহাস, দর্শন, অর্থনীতি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা এবং সেগুলো নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করবে। শুধু ক্লাসরুমে পড়ানো এবং সার্টিফিকেট দেওয়া; এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না। বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্বজ্ঞান ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি-সমৃদ্ধ চিন্তাচর্চার স্থান।

এ রকম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই বাংলাদেশে ষাটের দশকে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন; শিক্ষকরাও করেছেন। সেই ধারা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্ন আসে। সে অনুযায়ী চারটি পাবলিক বা সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয়কে এই বিধির আওতায় আনা হয়। কিন্তু পরে দেখা গেল, পরিস্থিতি আবার আইয়ুবি আমলে গেল। ১৯৭৩ সালের পর তাই আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়নি। এখন ৫০টির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, চারটি বাদে সবই সরকারি কলেজের কাঠামোর মতো পরিচালিত। যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাগজপত্রে স্বায়ত্তশাসন আছে, সেগুলোও এখন খুব পঙ্গু অবস্থায়। এখন কার্যত সরকারি ক্ষমতা কাঠামোরই সম্প্রসারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে জ্ঞানচর্চা, জ্ঞান সৃষ্টির কী হবে-না হবে, তা ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সরকারের দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চার বেশি দরকার নেই। দরকার হলো অনুগত একটি বুদ্ধিবৃত্তিক গোষ্ঠী। যারা ক্ষমতার সেবা করবে। এর ফলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখন খুবই দুর্নীতিগ্রস্ত, যাঁদের শিক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাঁদের প্রধান কাজ আনুগত্য প্রকাশ।

'ক্রিটিক্যাল থিংকিং' বলে একটা বিষয় আছে। পর্যালোচনার দৃষ্টি কিংবা প্রশ্নের দৃষ্টি- এটি হলো জ্ঞান সৃষ্টির প্রধান মাধ্যম। পর্যালোচনা, সমালোচনা, প্রশ্নের চোখে বিষয়গুলো দেখা এবং এর স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য একাডেমিক ফ্রিডম খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি হয় সরকারি মন্ত্রণালয়ের এক একটা সম্প্রসারণ তাহলে সেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পরিবেশ থাকে না। এ সময়ে আমরা দেখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় যাতে ক্ষমতাসীনদের অধীন থাকে তার একটা লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা আবার হলগুলোতে ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠনের রাজত্ব কায়েম করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখেন। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে এবং শিক্ষক যাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, তাঁদের পক্ষেও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েক বছরে শিক্ষককে তাঁর মতপ্রকাশের জন্য জেলে যেতে হয়েছে। ফেসবুকে একটা লাইন লেখার কারণে জেলে যেতে হয়েছে। এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা আমরা দেখি। অনেক শিক্ষক গবেষণা করতে গিয়ে ভাবেন, আদৌ এ গবেষণা করা ঠিক হবে কিনা। মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে ভাবেন, এ মতামত প্রকাশ করা ঠিক হবে কিনা! এ রকম আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে পারে না। এটা বন্দিশালার মতোই।

এগুলোর বাইরে আমরা দেশে এখন আরেক ধারার বিশ্ববিদ্যালয় দেখছি- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মূলত বাণিজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক উদ্যোক্তা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছেন এবং শিক্ষা বাণিজ্য যে এতটা লাভজনক হবে, তাঁরা আগেও নিশ্চয় ভাবেননি। দেখা যাচ্ছে, লাভ বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি করতে হবে; যে ধরনের ফল প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীরা আসবে; যে ধরনের বিষয় রাখলে বাজারে ভালো কাটতি হবে, ওই ধরনের বিষয় ও ফলের একটা মিশ্রণ আছে। সে কারণে স্বাধীন চিন্তার জায়গাটা ওইখানেও তৈরি হচ্ছে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবার চলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটা বড় অংশ দিয়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাঁদের বাড়তি আয়ের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন পড়াচ্ছেন। এর ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের সময় কমে যাচ্ছে। এমনকি লেখাপড়া গবেষণারও সময় চলে যাচ্ছে। এই মুনাফামুখী তৎপরতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আক্রান্ত হচ্ছে। পাবলিক বা সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, উইকএন্ড, ইভিনিং প্রোগ্রাম। কার্যত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আলাদা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়! পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক দেখা যাচ্ছে এখানেই বেশি আগ্রহী। তাঁদের মূল দায়িত্ব যেখানে, সেখানে তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া, নিজেরা গবেষণা করার ব্যাপারে মনোযোগ এখন আরও কম।
বাণিজ্যিকীকরণ ও ক্ষমতা কাঠামো নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রবণতা- এ দুটো মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এখন খুবই বিপর্যস্ত অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ধারণা থেকে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূরে। বৃদ্ধিবৃত্তিক চর্চা যাঁরা করেন, তাঁদের সোচ্চার হওয়া উচিত- স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রক্ষা না করলে সমাজই রক্ষা পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন চিন্তা আসবে মানুষের পক্ষে, দেশের পক্ষে। যত ক্ষেত্র আছে সর্বক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে চিন্তা, গবেষণায় সেগুলো তৈরি হবে। এর পথে বাধাগুলো চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের দায়িত্ব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের একটা বড় অংশ এখন এতই আত্মসমর্পিত যে, তাঁরা শিক্ষকতার মূলগত অবস্থান থেকেই সরে গেছেন। সুবিধা কিংবা টাকা-পয়সা উপার্জনই যেখানে প্রধান প্রবণতা, ক্ষমতাসীনদের আনুগত্যের মধ্যে নিরাপত্তার সন্ধান। তবে যাঁরা এখনও স্বাধীন বিশেষত তরুণদের মধ্য থেকেই এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।

আর দ্বিতীয় জরুরি হচ্ছে রাষ্ট্রের অবস্থানের পরিবর্তন। বাংলাদেশে যা যা প্রয়োজন- পাট থেকে শুরু করে গ্যাস, আমাদের খনিজসম্পদ, বন, ইতিহাস, এ অঞ্চলের দার্শনিক চিন্তা, আমাদের সমাজে বিজ্ঞানের চর্চা- সবকিছু নিয়েই গবেষণা তো বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা। স্বাস্থ্য খাতে যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, সরঞ্জাম একটার পর একটা আমদানি করা হচ্ছে। সব নীতিমালা, পরিকল্পনা ঠিক করছে বিশ্বব্যাংক। জ্বালানিনীতি ঠিক করছে জাইকা। আবার এদিকে পাট থেকে পলিথিন আবিস্কার হলো। সেটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।

একটা দেশের উন্নয়নের ধারা যদি জনস্বার্থে না হয়; জনস্বার্থে যে গবেষণাগুলো করা দরকার তার চাহিদাও সরকারের কাছে থাকে না। সরকারের কাছে অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশি-বিদেশি কিছু গোষ্ঠী, যারা দ্রুত টাকা বানাতে চায় তাদের স্বার্থ রক্ষা করা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও স্বাধীন চিন্তার আবহাওয়া তৈরি বিষয়ে রাষ্ট্রের কোনো আগ্রহ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিভাগ চলছে যেভাবে; জাতীয় প্রয়োজনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। জাতীয় প্রয়োজন- প্রাণ-প্রকৃতি বলি কিংবা আমাদের অবকাঠামো- স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সংস্কৃতির বিকাশে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে প্রাণচঞ্চল একটা ক্ষেত্র। এর পরিবর্তে লোভ, ভয়, বাণিজ্য আর অনুগত্য দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতি নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজকেই সোচ্চার হতে হবে। সমাজকে সজাগ করতে হবে। নইলে এ বিপজ্জনক পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।

লেখক
শিক্ষাবিদ
অর্থনীতিবিদ

আরও পড়ুন

×