ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

পটুয়াখালীতে গোলটেবিল বৈঠক

স্মার্ট পৌর শহর বিনির্মাণে স্মার্ট গভর্ন্যান্স আবশ্যক

স্মার্ট পৌর শহর বিনির্মাণে স্মার্ট গভর্ন্যান্স আবশ্যক

--

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

একটি শহরে দালানকোঠা ও অবকাঠামো নির্মাণ করলেই হবে না। উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব। শহরে সবুজ আবহ রাখতে হবে। জলাধার রক্ষা করতে হবে। এ জন্য পৌরসভাকে হতে হবে আধুনিক। পৌরসভার কার্যক্রম হতে হবে প্রযুক্তিনির্ভর ও স্মার্ট। গত ২৭ মে পটুয়াখালীর এলজিইডি মিলনায়তনে ‘পটুয়াখালী পৌরসভার উন্নয়নে নাগরিক ভাবনা এবং আগামী দিনের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সমকাল এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

সুপারিশ

আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৈঠক জরুরি।
 লাউকাঠি ও লোহালিয়া নদীর তীরে রিভারড্রাইভের পরিকল্পনা গ্রহণ। শহরে ভবন তোলার ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন। শহর উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান থাকা আবশ্যক। প্রকৃতি, পরিবেশ ও মানববান্ধব উন্নয়ন জরুরি। বহালগাছিয়া খালের বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করে নান্দনিক সেতু নির্মাণ। মাদক-সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা। পর্যটকসহ যাত্রীদের সঙ্গে বাস ও লঞ্চ শ্রমিকের অসদাচরণ ও হয়রানি বন্ধ করা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি। শব্দদূষণ রোধ করা জরুরি। শহরের অভ্যন্তরের খালগুলো উদ্ধার ও খনন জরুরি। অগ্নিঝুঁকি রোধে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ।

মহিউদ্দিন আহম্মেদ আমরা শহর বলতে যেটা বুঝি তা হচ্ছে– নাগরিক সুবিধা থাকবে বেশি; পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত টয়েলেট ব্যবস্থা। অর্থাৎ নাগরিক সেবার সর্বোচ্চ মানগুলো থাকবে শহরে। এসব নাগরিক সুবিধা একসঙ্গে বাস্তবায়ন কঠিন হলেও আস্তে আস্তে সবই সম্ভব। শহরকে শহরের মতো করে সাজাতে হবে। চারদিক নদীবেষ্টিত হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবেই পটুয়াখালী শহরটি সুন্দর। তাই এ সুন্দর শহরকে আমরা কোনোভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা হচ্ছে যেখানে-সেখানে বাড়িঘর তোলা। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা করে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। আমরা নাগরিকরা যদি যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে শহরটিকে নান্দনিকভাবে সাজানো সম্ভব। শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের ক্ষেত্রে নদী কমিশনের গুরুত্ব অনেক। এ ক্ষেত্রে সমকালের মাধ্যমে ঢাকায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৈঠক জরুরি। ওই বৈঠকে নদী কমিশনের প্রতিনিধি, গণপূর্ত, এলজিইডিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিসহ পটুয়াখালীর বিশিষ্ট নাগরিকরা থাকলে সেটা অনেক বেশি কার্যকরী এবং গোলটেবিল বৈঠক সার্থক হবে। পটুয়াখালী শহরটি এখন লাউকাঠির ভেতরে চলে গেছে। এই বাড়তি জায়গাগুলোয় রিভারড্রাইভ করে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কয়েক ব্যক্তি। তাই নাগরিক সমাজ কথা না বললে এবং দাবি না তুললে মেয়রের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। মেয়রের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন; রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। সেখানে কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু নাগরিক সমাজ থেকে জোরালো দাবি উত্থাপিত হলে মেয়রের পক্ষে কাজ করা সহজ। আবু সাঈদ খান পরিকল্পিত শহর উন্নয়ন দরকার; তবে সে উন্নয়ন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। মূলত আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে কৃত্রিম সৌন্দর্যের দিকে ঝুঁকছি। অর্থাৎ শহরের আধুনিক উপকরণগুলো গ্রামে পৌঁছে দেওয়া এবং গ্রামের সবুজায়ন শহরে নিয়ে আসা জরুরি। আমাদের দেশে দুটি সম্পদ দুটি উপকূলীয় শহর রয়েছে। একটি কক্সবাজার, অন্যটি পটুয়াখালী। শহরের জলধারাকে অক্ষুণ্ন রাখা, জলধারা রক্ষাসহ শহর উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ উন্নয়ন হওয়া দরকার প্রকৃতি, পরিবেশ এবং মানববান্ধব। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পরিবেশবান্ধব আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও মানবিক উন্নয়ন দরকার। এ জেলায় সমুদ্রের ছোঁয়া আছে। পাশে রয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ও পায়রা সমুদ্রবন্দর। তাই এ শহরটি নিঃসন্দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার শক্তিশালী নয়। এ কারণে জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন সংস্থা-দপ্তরে ধরনা দিয়ে কাজ বাগিয়ে আনতে হয়। এটা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। তাই পরিবেশ ও প্রতিবেশ বজায় রেখে পরিকল্পিত ও সমন্বিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রফেসর মোহাম্মদ মোদাচ্ছের বিল্লাহ পটুয়াখালী পৌরসভাটি দেশের প্রাচীনতম এবং ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত। বর্তমানে এ পৌর শহরের উন্নয়নের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ ও সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা, পর্যাপ্ত ড্রেনেজের অভাবে পানি নিষ্কাশন না হওয়া, অপ্রশস্ত সড়ক ও ঘনবসতিতে বড় ধরনের অগ্নিঝুঁকি, মাদক-সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংয়ের অনাচার, পৌর শহরে মানসম্মত শিক্ষা এবং সুচিকিৎসার অভাব ও হয়রানি, পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাস ও লঞ্চ শ্রমিকদের অসদাচরণ, হয়রানি উল্লেখযোগ্য। নাগরিকদের প্রত্যাশা উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্যকে নবায়নকৃত জ্বালানির ব্যবহার, যানবাহনে পর্যটকসহ নাগরিকদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শহর গড়ে তোলা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। উন্নত দেশের আদলে পৌর এলাকার নদী ও লেকে জলযানের মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা, পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা আবশ্যক। নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা আবশ্যক। অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান নান্দনিক শহর পটুয়াখালী দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন লোকজন। দেশের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র দালাল চক্রের কবলে জিম্মি। কিন্তু এ পৌর মেয়র ব্যতিক্রম। এখানে কোনো দালাল চক্র নেই, এটা প্রশংসনীয়। নাগরিকদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতন হওয়া উচিত। গরিব-অশিক্ষিতরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেটুকু গুরুত্ব দিচ্ছেন; শিক্ষিতরা তা করছেন না। কয়েক ব্যক্তির কারণে শহরের সংযোগ ব্রিজগুলোর প্রকল্প বন্ধ। ভালো কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চারদিক নদীবেষ্টিত এ শহরের সংযোগ ব্রিজগুলো যদি হয়ে যেত, তাহলে এ পৌর শহরটি দেখতে আরও সুন্দর ও নান্দনিক হতো। এখানে মুসলিমদের কবরস্থান ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশান নির্মাণ জরুরি।

অ্যাডভোকেট সরদার আব্দুর রশিদ আয়তন বৃদ্ধির জন্য ইটবাড়িয়া মৌজাকে পৌরসভার সঙ্গে সংযুক্ত করা দরকার। এটা হলে পায়রাকুঞ্জ পৌরসভার মধ্যে চলে আসবে। চারদিক নদীবেষ্টিত এ পৌরসভা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদীর তীরে হাঁটার জন্য রাস্তা করে দেওয়া প্রয়োজন। পৌর শহরে ৩৮টি খাল রয়েছে। এ খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসএ ম্যাপ অনুযায়ী খালের পরিধি রক্ষা এবং খালগুলোর পুনর্খনন জরুরি। শহরের খরস্রোতা খালগুলো এখন ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধময়। নাগরিকদের সুবিধার্থে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া পৌর অভ্যন্তরের খালগুলোকে নদীর সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারে। এ শহরকে নান্দনিক করার লক্ষ্যে যা যা করণীয়, তা নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা। ভিপি আব্দুল মান্নান বর্তমান মেয়র এ পৌরসভাকে নান্দনিক শহর করার পরিকল্পনা করেছেন এবং কাজও করেছেন, যা দৃশ্যমান। একটা উন্নয়নকাজ করতে গেলে আরেকটা উন্নয়ন আসে। রাস্তার উন্নয়ন করতে গেলে সেখানে ড্রেনের বিষয়টি চলে আসে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। উন্নয়ন কিন্তু সব একত্রে হয় না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা না থাকলে কোনোভাবেই সে উন্নয়ন স্থায়ী হবে না। উন্নয়নের পরিকল্পনা থাকতে হবে। তবে আমাদের মেয়রের মধ্যে সে চিন্তা-চেতনা আছে। আমরা এ পৌরসভার উন্নয়ন চাই; নাগরিকদের উন্নয়ন চাই। আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমাদের মেয়র এ শহরকে নান্দনিক শহরে রূপান্তরিত করেছেন। আমরা যে যে-ই দল করি না কেন, আমাদের বলতে হবে, পটুয়াখালী উন্নয়নের পেছনে তাঁরই অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। পটুয়াখালী শহর রক্ষা বাঁধ হয়েছে অনেক বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এ বাঁধটি এখন শহরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধটি সংস্কার জরুরি। বহালগাছিয়া নদীর বাঁধ কেটে জোয়ার-ভাটার পানি প্রবাহের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে সেখানে দৃষ্টিনন্দন সেতু করা প্রয়োজন। এতে পটুয়াখালী শহরটি আরও সুন্দর ও নান্দনিক হয়ে উঠবে। শহরের ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং তদারকি থাকতে হবে। তা না হলে কাজে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশবান্ধব শহর গড়তে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। শ. ম দেলওয়ার হোসেন দিলীপ একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিকামী মানুষদের ধরে পটুয়াখালী শহরের যে খালে গুলি করে হত্যা করেছে, সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা উচিত। এটা শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। স্বাধীনতার ৫২ বছরেও সে দাবি পূরণ হয়নি। পটুয়াখালী শহরের শিশুপার্কে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। শিশুদের জন্য ৫ টাকা এবং অভিভাবকদের জন্য ১০ টাকা নির্ধারণ আবশ্যক। শিশুদের মানসিকতার বিকাশের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পৌরবাসী নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করছেন। এর পরও নাগরিকদের সুপেয় পানি কিনে খেতে হচ্ছে। বিষয়টি হতাশাজনক। নান্দনিক শহর গড়ার পাশাপাশি নাগরিকদের এ বিষয়গুলোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। নির্মল কুমার রক্ষিত উন্নয়ন পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদি হওয়া দরকার। তা না হলে পাঁচ বছর পর মেয়র পরিবর্তন হলে পূর্বের পরিকল্পনাও বদলে ফেলা হবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকলে বদলে ফেলার আশঙ্কা থাকে না। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় সমস্যা। এ জন্য নাগরিকরাও অনেকটা দায়ী। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প করার কথা ছিল। কিন্তু এটি হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা কোথাও আছে, কোথাও নেই। পৌরসভার উদ্যোগে শহরে ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থাকলে সরকারি স্কুল-কলেজগুলোর টনক নড়ত। নতুন শহরের সড়কগুলোর উন্নয়ন হলেও পুরোনো শহরের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে উন্নয়ন জরুরি। পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকায় শহরটি অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় শহরের বাসস্ট্যান্ডটি পরিত্যক্ত। রাস্তার ওপর বাস থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানামা করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। প্রফেসর পীযূষ কান্তি হরি পটুয়াখালীকে পরিচ্ছন্ন, পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বহালগাছিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে একে ধ্বংস করা হয়েছে। এ নদীকে জোয়ার-ভাটার স্রোতের নদী করা জরুরি। এ পৌর শহরকে নান্দনিক করা হচ্ছে ঠিকই, তবে সর্বক্ষেত্রে পরিবেশ-প্রতিবেশবান্ধব কার্যক্রম হওয়া প্রয়োজন। এ শহরের বিল্ডিংয়ের ডিজাইনগুলো নানা ধরনের। সে ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক বিল্ডিংয়ের ডিজাইন থাকা প্রয়োজন। অর্থাৎ একেক এলাকায় একেক ডিজাইনের ভবন থাকবে। এর বাইরে কেউ বিল্ডিং বা ভবন করতে পারবে না। এ শহরে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার ঘটানো এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট সিস্টেম, স্মার্ট সার্ভিস এবং স্মার্ট গভর্ন্যান্স থাকতে হবে। তাহলেই এ শহরটির টেকসই উন্নয়ন হবে। শহরটির উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান থাকা দরকার। মেয়র পরিবর্তন হলেও মাস্টারপ্ল্যান পরিবর্তন করতে পারবে না– এমন পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক।


জসিম উদ্দিন আরজু পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষার মাধ্যমে পৌর উন্নয়নের কাজগুলো করা হচ্ছে। শহরের জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধার করে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ এবং জলাশয়গুলোকে নান্দনিক লেক করা হচ্ছে। বহালগাছিয়া খালটিও পুনরুদ্ধার করে নান্দনিক লেক এবং খালের পাড় দিয়ে যোগাযোগের সড়ক করার পরিকল্পনা চলছে। পৌর শহরকে হাইড্রো সিটি ও ব্লু সিটির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। উন্নত বিশ্বে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম থাকে। কিন্তু এ শহর এখনও ফায়ার ফাইটিংয়ের জায়গায় পৌঁছেনি। শহরে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রেও আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে ১ হাজার ১০০ ফিট নিচে পানির স্তর। এ নিয়েও সরকারের কাছে একটি পরিকল্পনা দেওয়া আছে। আগামী ২০ বছর পর এ শহরের মানুষ পানিপানে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের গুড গভর্ন্যান্স সব জায়গায় থাকতে হবে। বহুতল ভবন নির্মাণে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে এটার ভালো দিক এবং উপকারিতা রয়েছে। প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুবান্ধব শহর গড়ে তুলতে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। অতুল চন্দ্র দাস পটুয়াখালী শহরের একমাত্র শ্মশানে এখন আর সৎকারের জায়গা নেই। ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃত্যুর পর সৎকারের সংকট দেখা দেয়। একই অবস্থা পৌর শহরের একমাত্র মুসলিম কবরস্থানেরও। পটুয়াখালী শহরে নতুন করে একটি শ্মশান ও একটি কবরস্থান স্থাপন করা পৌর নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি। রাস্তাঘাট দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি নাগরিকদের অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা ও দাবিও বাস্তবায়ন করা জরুরি। স্বপন ব্যানার্জী নদী-নালাবেষ্টিত পটুয়াখালী পৌরসভাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে সোয়া দুই লাখ মানুষের বসবাস। এক সময় এ পৌরসভার অভ্যন্তরে বড় বড় খাল ছিল এবং এ সেসব খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করত। সেই খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং পৌর নাগরিকরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। নগর উন্নয়নের নামে ওই খালগুলোয় ছোট ছোট পাকা ড্রেন করা হচ্ছে। এর ফলে মাটি শোষণের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগুলো নষ্ট। যার ফলে ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহিত না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা আটকে থাকে। তাই আগে এ খালগুলো প্রশস্ত করে খনন করতে হবে এবং স্লুইসের মুখগুলো খুলে দিতে হবে। মো. গোলাম কিবরিয়া পৌর শহরের লোহালিয়া ব্রিজ থেকে বিসিক পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা জরুরি। এ ছাড়া শহরের নিউমার্কেট ও কাজীপাড়া সড়কটি অনওয়ে করা জরুরি। যদিও এ কাজটি করা কঠিন হবে; তারপরও করতে পারলে নাগরিক দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে এবং নাগরিক সমাজ মুক্ত পরিবেশে চলাচল ও বসবাস করতে পারবে। তাদের বিনোদনের জায়গা হবে। শহরের অলিগলিতে যখন নতুন বাড়িঘর ওঠে, তখন পৌর কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি থাকা প্রয়োজন। কোনো কাজই পৌর মেয়রের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা চাই, আগামীতে এ শহরটি আরও সুন্দর হোক এবং আমাদের সন্তানরা এ শহরে সুন্দরভাবে বসবাস করুক। মো. জাকির হোসেন পটুয়াখালী পৌরসভায় বাসা থেকে বর্জ্য নেওয়া বিগত দিনে ছিল না। বর্তমান মেয়র এটা চালু করেছেন। তবে বাসা থেকে বর্জ্য নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক এবং জবাবদিহি থাকা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সব নাগরিককে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। শহরের পুরান বাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নাগরিক সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে– অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য আমরা প্রস্তুত নই। উন্নত দেশে আন্ডার ড্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেখানে রাস্তার সঙ্গে সংযোগ থাকে পৌর পানির লাইনের। ওখানে শুধু পাইপ সংযোগ করে পানি সরবরাহ করতে হবে। এ জন্য নাগরিকদের প্রশিক্ষণ থাকা আবশ্যক। কাজল বরণ দাস পৌর কর্তৃপক্ষ মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু সেখানে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে এর নাগরিকরাই। বহালগাছিয়া খাল নান্দনিক করার কথা বলা হচ্ছে। অথচ এই বহালগাছিয়ার খাল হাতিরঝিলের মতো নান্দনিক করতে গিয়ে মেয়র হোঁচট খেয়েছেন বারবার। এখানে পাঁচটি নান্দনিক ব্রিজ হওয়ার কথা। কিন্তু একটি মহলের বিরোধিতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। আমরা যে ফোরামেই থাকি না কেন, আমাদের মধ্যে আগে নাগরিক সচেতনতাবোধ থাকা দরকার। পৌর শহরে আরেকটি কবরস্থান ও শ্মশান করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু কেউ জায়গা দিতে চায় না। শহরের স্বনির্ভর রোডটি ফোর লেন করতে পারলে সেটি হবে লোহালিয়া-লাউকাঠি নদীর পাড়ে আরেকটি নান্দনিক সড়ক। কিন্তু আমাদের কিছু নাগরিকের কারণে সেটি আটকে আছে। খন্দকার ফরহাদ জামান বাদল শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের  নাগরিক ভাবনার অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা প্রয়োজন। আমাদের হাজারো সমস্যা ও সংকট আছে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসূচি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। কারণ পৌর পর্ষদ কর্তৃক এ শহর শাসিত হয় এবং তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই পৌর কাউন্সিলর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। তা না হলে কোনো ওয়ার্ডে বেশি উন্নয়ন হবে এবং আবার কোনো ওয়ার্ড অন্ধকারে থেকে যাবে। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ডভিত্তিক নাগরিকদের চাহিদা চিহ্নিত করা দরকার। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য ভাবনায় নাগরিক উন্নয়নে পৌর কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। অর্থাৎ নাগরিকদের উচিত কর্ম-পরিকল্পনার সুপরামর্শ নিয়ে জনপ্রতিনিধির পাশে থাকা। অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আরা এ শহরে শব্দদূষণ একটি বড় সমস্যা। সময়-অসময়ে প্রচণ্ড শব্দে মাইক বাজানো হয়। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতন করা জরুরি। শহরের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতন হওয়া দরকার। মহিলা সমিতির ক্রীড়া সংস্থার মাঠটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু ওই মাঠটি খুলে রাখা হলে মহিলারা সেখানে সাইকেলিং, ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন খেলাধুলার প্র্যাকটিস করতে পারতেন। আমাদের সবচেয়ে বড় অভাব সচেতনতার। সেটা শিক্ষিত হই, স্বল্পশিক্ষিত; সব পর্যায়ের নাগরিকের সচেতনতা দরকার। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলররা এলাকাভিত্তিক সচেতনমূলক সভা করলে নাগরিকদের ছোট ছোট সমস্যার সহজেই সমাধান করা সম্ভব হতো। মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটামুখী পর্যটকবাহী পরিবহন অনেক বেড়ে গেছে। এতে পটুয়াখালী শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-কুয়াকাটা সড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। ফলে প্রতিদিন যানজট হচ্ছে। ঢাকা-কুয়াকাটা সড়কের পটুয়াখালী শহরের অংশ প্রশস্ত করা জরুরি। এর পাশাপাশি শহরের অভ্যন্তরের সব সড়কেরই উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা; শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন ও শহিদ আলাউদ্দিন শিশু পার্কের সঙ্গে লাউকাঠি নদীর তীর সংযুক্ত করে এ পার্কটি আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করা সময়ের দাবি। এ ছাড়া পৌর ট্যাক্স কমানো প্রয়োজন। আফরিন জাহান নিনা এ পৌর শহরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অটোরিকশা, অটোবাইক, মিশুকসহ তিন চাকার যান বেড়েই চলেছে। এতে একদিকে শহরের পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন, অন্যদিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ওইসব যানের হর্ন বাজানোর কারণে শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এসব তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে নারীদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক উঠান বৈঠক ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতনা করা প্রয়োজন। এ শহরে মেয়েদের সাঁতার শেখার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফারজানা ইয়াসমিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে সাত একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে নবায়নযোগ্য করা যায়, তারও পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ চলছে। এ মাস্টারপ্ল্যানে নাগরিকদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপিকা শিরিন নাহার সময়ের পরিক্রমায় আজ আমার শহর বিদেশের মতো নান্দনিক হচ্ছে। তবে এই শহরের নান্দনিকতার মতো পায়রা নদীতীরের ‘পায়রাকুঞ্জ’ এলাকাকে নান্দনিক করা প্রয়োজন। আমরা নাগরিকরা সচেতন নই। পলিথিনে করে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখি। এ কাজটি যারা করছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। মুফতী সালাহউদ্দিন স্বপ্নের পদ্মা ও পায়রা সেতু  চালু হওয়ার পর পটুয়াখালীসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চল দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হচ্ছে। এ কারণে এ পৌরসভার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, শহরের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকদের মানসিকতারও উন্নয়ন আবশ্যক।


মুখ্য আলোচক 
মহিউদ্দিন আহম্মেদ মেয়র পটুয়াখালী পৌরসভা, পটুয়াখালী সভাপতি ও সঞ্চালক 
আবু সাঈদ খান উপদেষ্টা সম্পাদক, সমকাল মূল প্রবন্ধ
প্রফেসর মোহাম্মদ মোদাচ্ছের বিল্লাহ অধ্যক্ষ, পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, পটুয়াখালী আলোচক
অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, পটুয়াখালী অ্যাডভোকেট সরদার আব্দুর রশিদ সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ, পটুয়াখালী ভিপি আব্দুল মান্নান সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ, পটুয়াখালী আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক, জেলা জাতীয় পার্টি, পটুয়াখালী শ. ম দেলওয়ার হোসেন দিলীপ সাধারণ সম্পাদক, জেলা জাসদ, পটুয়াখালী নির্মল কুমার রক্ষিত সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা ইউনিট কমান্ড, পটুয়াখালী প্রফেসর পীযূষ কান্তি হরি সভাপতি, সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক, পটুয়াখালী ইঞ্জিনিয়ার মো. জসিমউদ্দিন আরজু নির্বাহী প্রকৌশলী, পটুয়াখালী পৌরসভা অতুল চন্দ্র দাস সভাপতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পটুয়াখালী স্বপন ব্যানার্জী সভাপতি, পটুয়াখালী প্রেস ক্লাব, পটুয়াখালী মো. গোলাম কিবরিয়া সাবেক সভাপতি, পটুয়াখালী প্রেস ক্লাব, পটুয়াখালী মো. জাকির হোসেন সাবেক সভাপতি, পটুয়াখালী প্রেস ক্লাব, পটুয়াখালী ফারজানা ইয়াসমিন শহর পরিকল্পনাবিদ, পটুয়াখালী পৌরসভা কাজল বরণ দাস কাউন্সিলর, ওয়ার্ড নম্বর ৪, পটুয়াখালী পৌরসভা খন্দকার ফরহাদ জামান বাদল সাবেক কাউন্সিলর, পটুয়াখালী পৌরসভা অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আরা এজিপি ও সহ-সাধারণ সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতি, পটুয়াখালী মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা সভাপতি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, পটুয়াখালী অধ্যাপিকা শিরিন নাহার সাধারণ সম্পাদিকা, জেলা মহিলা পরিষদ, পটুয়াখালী আফরিন জাহান নিনা নারী সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, পটুয়াখালী মাওলানা আবু বকর সিনিয়র সহসভাপতি জেলা ইমাম পরিষদ, পটুয়াখালী নাহিদা আক্তার পারুল সংরক্ষিত কাউন্সিলর, পটুয়াখালী পৌরসভা কেএম এনায়েত হোসেন নির্বাহী পরিচালক, এসডিএ, পটুয়াখালী জালাল আহমেদ সহসভাপতি, সুজন, পটুয়াখালী সমন্বয়ক
মুফতী সালাহউদ্দিন জেলা প্রতিনিধি, সমকাল, পটুয়াখালী অনুলিখন 
সুমন চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টার, সমকাল বরিশাল ব্যুরো অফিস 

আরও পড়ুন

×