যথাযোগ্য মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বুধবার সকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। দূতাবাসের সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিওতে ধারণকৃত বাণী প্রদর্শন করা হয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ এবং কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সেলিম রেজা যথাক্রমে বাণীগুলো পাঠ করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তান সামরিকজান্তা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খাকে স্তব্ধ করার জন্যই পাকিস্তান সেনাবাহিনী বর্বর আক্রমণ করে। হানাদার বাহিনীর পৈচাশিক হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিবেক স্তব্ধ হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, আমেরিকার জনগণ নির্যাতিত বাঙালির পক্ষে অবস্থান নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ঢাকায় নিযুক্ত প্রাক্তন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড, সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এবং কবি এ্যালেন জিনসবার্গের অবদান স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ আমাদের ভাবতে হবে বঙ্গবন্ধুর আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়নে আমরা কতদূর অগ্রসর হতে পেরেছি। আমাদের ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করে জাতির জনকের কাছে দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার সততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রথম সচিব এবং চ্যান্সারি প্রধান মো. মাহমুদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চারনেতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।