
অটিস্টিক এক শিশুকে দেয়া হয়েছে হুইল চেয়ার
দেশে প্রথম যখন মহামারি করোনা আঘাত করে, তখন চারপাশে শুধুই আতঙ্ক। যারা আক্রান্ত হচ্ছিলেন তাদের পাশে থাকা তো দূরের কথা, তাদের বাড়ির আশপাশেও কেউ যেতেন না। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন তো দূরের কথা, পরিবারের সদস্যরাও ভয়ে পাশে থাকেননি। লকডাউনের মধ্যে সেই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। খাবার নেই, ওষুধ নেই, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। ঠিক এই সময়ে করোনায় আক্রান্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে কয়েকজন তরুণ। এক সময় তারা উপলব্ধি করে, মানুষের সাহায্যে তাদের মতো আরও অনেক মানুষ প্রয়োজন। সেই চিন্তা থেকে তারা গঠন করে 'পাশে দাঁড়াও' নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু করে আনুষ্ঠানিক পথচলা।
পাশে দাঁড়াও গঠিত হয়েছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায়। দেড় বছর ধরে সংগঠনের সদস্যরা শুধু করোনা আক্রান্তদেরই পাশে থাকেনি- রক্তদান, মুমূর্ষু রোগীকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান, রমজানের সময় রোজাদারদের খাবার বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাজার পাঠানোসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে। যখনই যেটার প্রয়োজন অনুভব হয়েছে, সেটিতেই এগিয়ে এসেছেন সংগঠনের সদস্যরা। 'পাশে দাঁড়াও' সংগঠনটি বর্তমানে চিরিরবন্দর উপজেলার মানুষদের ভরসার নাম। বর্তমানে যার স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ১৩২ জন।
গত দেড় বছরে সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ছিল- প্রতিটি ইউনিয়নে ১১ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করা, করোনাকালীন সময়ে পাঁচ হাজার মাস্ক বিতরণ, উপজেলার হাট-বাজারগুলোয় সচেতনতামূলক মাইকিং, করোনাকালীন সময়ে মাসব্যাপী ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে ৪৫ জন রোগীকে সেবা প্রদান করে যার মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন গর্ভবতী নারী। পাশাপাশি ছিল রক্তদাতাদের জন্য ফ্রি বাইক রাইড সার্ভিস। সংগঠনের উদ্যোগে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আওতায় এক বছরে ১১০ জন রক্তদাতা সংগ্রহ করে রক্ত প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য দুটি পরিবারকে সেলাই মেশিন উপহার, চারজন পত্রিকা হকারের মাঝে পিপিই ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান, দুই ঈদে ছিন্নমূল, বিধবা ও অসহায় পরিবারের মাঝে সেমাই-চিনি, চাল, মসলা, তেলসহ বিভিন্ন উপকরণ উপহার দেওয়া হয়। দুটি রমজানে মাসব্যাপী প্রতিদিন ১০০ জন করে ৬০ দিনে পাঁচ হাজার ছয়শজনের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব দোকানদারকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান, সাতজন হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গত এক বছরে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনা রোগীকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। একজন অসহায় ছাত্রীকে এসএসসির ফরম পূরণের জন্য নগদ অর্থ প্রদান এবং চারজন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার উপহার দেওয়া হয়। উপজেলায় এক হাজার তালবীজ রোপণ করা হয় এবং ঈদে ছিন্নমূল শিশুদের নতুন জামা প্রদান করা হয়। যেখানে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানেই ফলসহ পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন তারা। তাদের নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছেন, দেশের বাইর কিংবা অন্য জেলা থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার কাজও করেছেন তারা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া আরেকজন উপজেলা পরিষদ এলাকার মিঠু। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পরপরই এই সংগঠনের সদস্যরা আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন। অবাক হয়েছি এই ভেবে যে, যখন করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি, তখন সংগঠনের সদস্যরা এসেছেন। পরে জেনেছি যে, শুধু আমি না, আমার মতো অনেক করোনা রোগীর পাশে থেকে সেবা দিয়েছেন তারা।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের সদস্যরা যেসব সেবামূলক কার্যক্রম করে থাকেন, সেসব নিজ অর্থায়নে। তবে ধীরে ধীরে তাদের সেবামূলক কার্যক্রমে জড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, চিকিৎসক ও সমাজসেবকরা। যে সময়ে করোনা মহামারি উচ্চপর্যায়ে ছিল, সেই সময়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. আজমল হক। কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এই মহামারির সময়ে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছি। পাশাপাশি পাশে দাঁড়াও সংগঠনটি কাজ করছে, করোনা রোগীর খোঁজখবর রাখছে এবং আমাদের সহযোগিতা করছে। তাদের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগী পৌঁছে দিয়েছিল। চিরিরবন্দর আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, পাশে দাঁড়াও সংগঠনের সদস্যরা দারুণ কাজ করছে। তারা যেভাবে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে, তা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রথমদিকে তাদের কার্যক্রম দেখে আমি অবাক হয়েছি। যখন করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়ানো শুরু করল সেই সময়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে ছিল না অনেকেই। কিন্তু এই তরুণরা করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাহস জুগিয়েছে, সহযোগিতা করেছে। আমি শুধু বলব যে, এমন পাশে দাঁড়ানো তরুণরা প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠুক।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের সদস্যরা করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও প্রতিটি দুর্যোগে, প্রতিটি প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এই সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তৃত করতে ইতোমধ্যেই প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি গঠন করেছেন। যাতে করে যেখানেই কোনো ধরনের সমস্যা হোক, তাৎক্ষণিকভাবে যাতে করে মানুষ তার সেবাটি পায়।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সামিউর রহমান বলেন, আমরা করোনাদুর্যোগে একত্রিত হয়েছিলাম। মানুষের পাশে থেকেছি এবং এখনও আছি। শুধু করোনাতেই নয়, আমাদের এই কার্যক্রম যাতে করে কখনোই শেষ না হয় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মানুষের সেবা করার মধ্যে যে আনন্দ লুকিয়ে আছে, তা আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি। এই আনন্দ থেকে আমরা কখনোই বঞ্চিত হতে চাই না।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম আসাদ বলেন, এই সংগঠনটি গঠন করার মতো কোনো পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। আমরা যখন দেখলাম করোনা রোগীদের পাশে কেউ নেই, তাদের মনোবল জোগানোর মতোই কেউ নেই, চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই, তখন আমরা তাদের সহযোগিতা করতে শুরু করি। একে একে আমাদের সঙ্গে কিছু তরুণ যোগ দিতে থাকলে আমাদের মনে হয় একটি সংগঠন দাঁড় করানো যাবে। এভাবেই গড়ে উঠেছে পাশে দাঁড়াও। আমাদের উদ্দেশ্য যেখানেই কেউ সমস্যায় পড়বে তাকেই যেন আমরা নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিতে পারি। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা এলাকার মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছি, দোয়া পাচ্ছি। এর চেয়ে আর বেশি কী চাইবার আছে।
লেখক: প্রতিনিধি, দিনাজপুর
পাশে দাঁড়াও গঠিত হয়েছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায়। দেড় বছর ধরে সংগঠনের সদস্যরা শুধু করোনা আক্রান্তদেরই পাশে থাকেনি- রক্তদান, মুমূর্ষু রোগীকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান, রমজানের সময় রোজাদারদের খাবার বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাজার পাঠানোসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে। যখনই যেটার প্রয়োজন অনুভব হয়েছে, সেটিতেই এগিয়ে এসেছেন সংগঠনের সদস্যরা। 'পাশে দাঁড়াও' সংগঠনটি বর্তমানে চিরিরবন্দর উপজেলার মানুষদের ভরসার নাম। বর্তমানে যার স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ১৩২ জন।
গত দেড় বছরে সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ছিল- প্রতিটি ইউনিয়নে ১১ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করা, করোনাকালীন সময়ে পাঁচ হাজার মাস্ক বিতরণ, উপজেলার হাট-বাজারগুলোয় সচেতনতামূলক মাইকিং, করোনাকালীন সময়ে মাসব্যাপী ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে ৪৫ জন রোগীকে সেবা প্রদান করে যার মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন গর্ভবতী নারী। পাশাপাশি ছিল রক্তদাতাদের জন্য ফ্রি বাইক রাইড সার্ভিস। সংগঠনের উদ্যোগে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আওতায় এক বছরে ১১০ জন রক্তদাতা সংগ্রহ করে রক্ত প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য দুটি পরিবারকে সেলাই মেশিন উপহার, চারজন পত্রিকা হকারের মাঝে পিপিই ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান, দুই ঈদে ছিন্নমূল, বিধবা ও অসহায় পরিবারের মাঝে সেমাই-চিনি, চাল, মসলা, তেলসহ বিভিন্ন উপকরণ উপহার দেওয়া হয়। দুটি রমজানে মাসব্যাপী প্রতিদিন ১০০ জন করে ৬০ দিনে পাঁচ হাজার ছয়শজনের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব দোকানদারকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান, সাতজন হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গত এক বছরে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনা রোগীকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। একজন অসহায় ছাত্রীকে এসএসসির ফরম পূরণের জন্য নগদ অর্থ প্রদান এবং চারজন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার উপহার দেওয়া হয়। উপজেলায় এক হাজার তালবীজ রোপণ করা হয় এবং ঈদে ছিন্নমূল শিশুদের নতুন জামা প্রদান করা হয়। যেখানে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানেই ফলসহ পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন তারা। তাদের নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছেন, দেশের বাইর কিংবা অন্য জেলা থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার কাজও করেছেন তারা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া আরেকজন উপজেলা পরিষদ এলাকার মিঠু। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পরপরই এই সংগঠনের সদস্যরা আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন। অবাক হয়েছি এই ভেবে যে, যখন করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি, তখন সংগঠনের সদস্যরা এসেছেন। পরে জেনেছি যে, শুধু আমি না, আমার মতো অনেক করোনা রোগীর পাশে থেকে সেবা দিয়েছেন তারা।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের সদস্যরা যেসব সেবামূলক কার্যক্রম করে থাকেন, সেসব নিজ অর্থায়নে। তবে ধীরে ধীরে তাদের সেবামূলক কার্যক্রমে জড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, চিকিৎসক ও সমাজসেবকরা। যে সময়ে করোনা মহামারি উচ্চপর্যায়ে ছিল, সেই সময়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. আজমল হক। কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এই মহামারির সময়ে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছি। পাশাপাশি পাশে দাঁড়াও সংগঠনটি কাজ করছে, করোনা রোগীর খোঁজখবর রাখছে এবং আমাদের সহযোগিতা করছে। তাদের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগী পৌঁছে দিয়েছিল। চিরিরবন্দর আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, পাশে দাঁড়াও সংগঠনের সদস্যরা দারুণ কাজ করছে। তারা যেভাবে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে, তা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রথমদিকে তাদের কার্যক্রম দেখে আমি অবাক হয়েছি। যখন করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়ানো শুরু করল সেই সময়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে ছিল না অনেকেই। কিন্তু এই তরুণরা করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাহস জুগিয়েছে, সহযোগিতা করেছে। আমি শুধু বলব যে, এমন পাশে দাঁড়ানো তরুণরা প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠুক।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের সদস্যরা করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও প্রতিটি দুর্যোগে, প্রতিটি প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এই সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তৃত করতে ইতোমধ্যেই প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি গঠন করেছেন। যাতে করে যেখানেই কোনো ধরনের সমস্যা হোক, তাৎক্ষণিকভাবে যাতে করে মানুষ তার সেবাটি পায়।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সামিউর রহমান বলেন, আমরা করোনাদুর্যোগে একত্রিত হয়েছিলাম। মানুষের পাশে থেকেছি এবং এখনও আছি। শুধু করোনাতেই নয়, আমাদের এই কার্যক্রম যাতে করে কখনোই শেষ না হয় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মানুষের সেবা করার মধ্যে যে আনন্দ লুকিয়ে আছে, তা আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি। এই আনন্দ থেকে আমরা কখনোই বঞ্চিত হতে চাই না।
পাশে দাঁড়াও সংগঠনের আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম আসাদ বলেন, এই সংগঠনটি গঠন করার মতো কোনো পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। আমরা যখন দেখলাম করোনা রোগীদের পাশে কেউ নেই, তাদের মনোবল জোগানোর মতোই কেউ নেই, চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই, তখন আমরা তাদের সহযোগিতা করতে শুরু করি। একে একে আমাদের সঙ্গে কিছু তরুণ যোগ দিতে থাকলে আমাদের মনে হয় একটি সংগঠন দাঁড় করানো যাবে। এভাবেই গড়ে উঠেছে পাশে দাঁড়াও। আমাদের উদ্দেশ্য যেখানেই কেউ সমস্যায় পড়বে তাকেই যেন আমরা নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিতে পারি। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা এলাকার মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছি, দোয়া পাচ্ছি। এর চেয়ে আর বেশি কী চাইবার আছে।
লেখক: প্রতিনিধি, দিনাজপুর
মন্তব্য করুন