
দেশ এগিয়ে চলছে প্রতিদিন; দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, শোষণ থেকে মুক্তির পথ খুঁজে ১৬ কোটি মানুষকে এগিয়ে নিতে নিত্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা। যদিও আক্ষরিক অর্থে দেশে কোনো যুদ্ধ নেই। যারা বয়সে এখন তরুণ, বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গৌরবের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তাদের; অথচ যুদ্ধের নেশায় তাদের তারুণ্য ছটফট করে প্রতিনিয়ত। কেননা, তাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে প্রতি মুহূর্ত মুক্ত চিন্তার আগামী গড়তে।
একটু ফিরে তাকালেই ইতিহাসের পাতা সাক্ষী দেয়, মুক্তিযুদ্ধে কেমন সাহসিকতায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল তরুণসমাজ। তারা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, গড়ে তুলেছে 'মুজিব বাহিনী', ধ্বংস করেছে শত্রু শিবির, একের পর এক নস্যাৎ করেছে শত্রুদের সব পরিকল্পনা। তারও আগে ঊনসত্তরের ভাষা আন্দোলনে তরুণদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও ভূমিকা পাল্টে দিয়েছে দাসত্বের ইতিহাস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের নব্বই দশক পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তরুণদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সর্বশেষ, মানবতাবিরোধী রাজাকারদের বিচারের দাবিতে শাহবাগ থেকে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত গণজাগরণের ঢেউ পৌঁছে দেওয়ার অসীম সাহসের এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল আমাদের তরুণরা। আজও দেশের কোথাও কোনো রাষ্ট্রবিরোধী, সাম্প্রদায়িক, নারীর প্রতি সহিংসতা বা মানবতাবিরোধী ঘটনা ঘটলেই সবার আগে এগিয়ে আসে এই তরুণ সমাজ, গড়ে তোলে সামাজিক প্রতিরোধ একটি যুক্তিবাদী, মুক্ত চিন্তার সমাজ গড়ে তুলতে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই তরুণ, যা সংখ্যায় প্রায় ৫ কোটি। দেশ গড়ায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই তরুণরাই ভূমিকা রেখে চলেছে সব ক্ষেত্রে, দেশে এবং বিদেশেও। শিক্ষায়, গবেষণায়, বিজ্ঞানচর্চায়, খেলাধুলায়, মেধা-মনন-সৃজনশীলতায় এ দেশের তরুণরা দেশের সীমানা পেরিয়ে এখন প্রশংসিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। খুব সাধারণ পরিবারে অনাদরে বেড়ে ওঠা একঝাঁক তরুণ এখন বিশ্বক্রিকেটের বিস্ময়। তরুণরাই এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে দেশকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়, বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে, খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে, এমনকি রাজনৈতিক নেতৃত্বেও উন্নত বিশ্বে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের তরুণরা। অতি সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তালিকায় নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের ৯ তরুণের। এশিয়ার ২২ দেশের সেরা ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এই ৯ তরুণ। ব্যবসা, প্রযুক্তি, সামাজিক প্রভাব এবং রিটেইল ও ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে এশিয়ার সেরা তরুণদের কাতারে উঠে এসেছে তারা। সব শেষের ঐতিহাসিক উদাহরণ, মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের নবজাগরণ। শুধু ফুটবলেই নয়, দেশের খেলাধুলা-সংস্কৃতি ও সামাজিক পদচারণায় মেয়েদের বাধা ভাঙার এক দৃষ্টান্ত তৈরি করে দিল সাবিনা, তৃষ্ণা, মার্জিয়া, মনিকাদের দল।
এসব অর্জন আমাদের আশাবাদী করে, সামনে চলার প্রেরণা জোগায়। কিন্তু বিপরীতে হতাশার চিত্রও কম নয়। হতাশার প্রধান কারণ বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা, অন্যদিকে মৌলবাদী চিন্তা-চেতনায় সমাজকে আঁকড়ে ধরে রাখা। ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এক পরিসংখ্যানে দেখিয়েছে, বাংলাদেশে শতকরা ৪৭ ভাগ গ্র্যাজুয়েট হয় বেকার, না হয় যে কর্মে নিযুক্ত এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। প্রতি বছর বাংলাদেশে ২২ লাখ কর্মক্ষম মানুষ চাকরি বা কাজের বাজারে প্রবেশ করছে। এই বিশালসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষের মাত্র ৭ শতাংশ কাজ পাচ্ছে অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বেকারের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে। ফলে বেকারত্ব বাড়ছে, বাড়ছে হতাশা, বাড়ছে মাদকের প্রতি আকর্ষণ, অনৈতিক পথে আয়ের চেষ্টা, আবার একদল পা বাড়াচ্ছে জঙ্গিদের পথে। এ সংকট আমাদের একার নয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই দেখা যাচ্ছে তরুণরা যত বেশি পড়ালেখা করছে, তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি বাড়ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আঞ্চলিক কর্মসংস্থান নিয়ে এক প্রতিবেদনেও এ চিত্রই উঠে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮টি দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ পাকিস্তানে, ১৬.৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে এই হার ১০.৭ শতাংশ, যা এ অঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মোটা দাগে বলা যায়, এর জন্য দায়ী আমাদের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা। তরুণদের ছোট একটি অংশ পেশাদারি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও বিশাল অংশটি তাদের শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যদিকে অল্প শিক্ষিতরা প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছে কাজের সন্ধানে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে। শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে শ্রমবাজারের এ সমীকরণ মেলানোর কথা যত না বলা হচ্ছে বাস্তবতায় তার প্রতিফলন নেই। মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছে এবং দেশে আর ফিরছে না। পাচার হয়ে যাচ্ছে মেধা, মানবসম্পদ, আমাদের ভবিষ্যৎ- বিষয়টিকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করছি না। না করার কারণটিও একবারেই সুস্পষ্ট; আমাদের অধিকাংশ নীতিনির্ধারকরা সন্তানদের বিদেশে নিরাপদে রাখতেই স্বস্তি পান।
নীতিনির্ধারক এবং রাজনীতিকদের এ মানসিকতার ফলে মেধাবী তরুণরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এ দেশের রাজনীতি যেভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে এগিয়েছে, সেখান থেকে ফিরতে যেমন সময় লাগবে, তেমনই প্রয়োজন হবে আমূল সংস্কার। রাজনীতিকদের সেটুকু সদিচ্ছা আছে বলে নিকট অতীতের ঘটনাবলি খুব একটা প্রমাণ করে না। এখনকার সচেতন তরুণরা নিজেরাই এগুলো বিচার-বিশ্নেষণ করে, ক্ষমতা ভোগ আর ভাগাভাগির দৃশ্য তারা চাক্ষুষ দেখে। ফলে এড়িয়ে যায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে। দুঃখজনক যে, নিজের ভোটটিও দেওয়ার আগ্রহ হয় না এখনকার অধিকাংশ তরুণদেরই। এর ফলে দেশের প্রতি তাদের মমত্ববোধ কমে যাচ্ছে। এই রাজনীতিবিমুখতা দেশকে এগিয়ে নিতে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তরুণদের আরেকটি অংশ অপরাজনীতির প্রভাবে জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে। সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন ঘটনা, হলি আর্টিজানসহ নানা ঘটনা সমাজে যেমন একপ্রকার অস্থিরতা তৈরি করেছে, অন্যদিকে বিভ্রান্ত করছে তরুণ সমাজকে। কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া, সাহিত্য-সংস্কৃতির অবাধ সুযোগ না থাকা, খেলাধুলা-বিনোদনের সুযোগ সীমিত হওয়ায় রাজনীতির দুষ্টচক্র খুব সহজেই তরুণদের ব্যবহার করতে পারছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি, ভোগবাদী জীবনধারা এবং সংস্কৃতির আগ্রাসনে প্রগতিশীল রাজনীতি আগের মতো সক্রিয় বা গঠনমূলকও নেই যে তরুণদের আকৃষ্ট করবে।
বিজ্ঞানমুখী, প্রযুক্তিমুখী, কর্মমুখী, উৎপাদনমুখী জাতি গঠনে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করার এখনই সময়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে আয়োজন শুরু হয়েছে সে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের তরুণদেরই প্রস্তুত করতে হবে।
কিন্তু আমাদের কঠিন বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না। তরুণদের গড়ে তুলতে ঢেলে সাজাতে হবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। বহু ধারার শিক্ষাকে একমুখী শিক্ষায় এনে কিশোর বয়স থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞানে আমাদের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলে এবং সে অনুসারে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য উপযোগী বিজ্ঞানাগার এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সহশিক্ষা কার্যক্রমকে উৎসাহ দিতে স্কুল-কলেজে বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব ইত্যাদি আবশ্যক ঘোষণা করে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনায় বিজ্ঞান মেলা, সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, বিতর্ক উৎসব ইত্যাদির চর্চা নিয়মিত রাখতে হবে। এসব কিছু সুনিপুণ পরিকল্পনা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সদিচ্ছা ছাড়া হওয়ারও নয়। যুক্তি ও মুক্তচিন্তার আলো অনেক বিস্তৃত হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আমাদের আরও মনে রাখতে হবে, বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিচ্ছেন, এখন আমাদের যে প্রায় ৩০ শতাংশ তরুণ রয়েছে ২০৫০ সাল নাগাদ তা ১০ থেকে ১৯ শতাংশে নেমে আসবে। তাই আজকে আমাদের সামনে যে সুযোগ রয়েছে, তা আজকেই কাজে লাগাতে হবে। বিশাল এ কর্মক্ষম, দেশপ্রেমী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান, উদ্যমী তরুণ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা, সংস্কৃতি ও নির্দেশনার মাধ্যমে দেশ গড়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে যথাযথভাবে, সুযোগ দিতে হবে তাদের মেধা বিকাশের, মুক্ত চিন্তার, তাদের বসাতে হবে যোগ্যতর স্থানে। রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অংশকে তরুণদের উপযোগী ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। একক কোনো মৌলবাদী চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারণার দ্বারা তাদের আটকে রাখা যাবে না। উন্মুক্ত বিশ্বের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের চলার পথ মসৃণ করে দিতে হবে।
পাস করেই একমাত্র লক্ষ্য চাকরি- এ ধারণা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। কর্মসংস্থান মানেই শুধু চাকরি নয়। এ জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সামাজিক উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তি, কৃষি, নবায়নযোগ্য শক্তি, যোগাযোগ, সেবা, পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প, খাদ্য সব ক্ষেত্রেই দেশের বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামাজিক উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি বিনিয়োগ, সহযোগিতা, কর-অবকাশ, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ ইত্যাদি নিশ্চিত করতে পারলে তরুণরা অবশ্যই আকৃষ্ট হবে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা এবং একতাবদ্ধতা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাখ লাখ দক্ষ নারী এখন সম্পদে পরিণত হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষণা পেলেই তারা দেশের এবং বিদেশের বাজারের উপযোগী পণ্য সম্ভারে সাজিয়ে দিতে পারবে দেশটাকে। সামাজিক উদ্যোগে তরুণদের দক্ষতা ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে এবং বিশেষ করে ই-কমার্স পরিচালনায় প্রশংসিত হয়েছে। এসব কাজে সরকারকে নিয়ন্ত্রক নয়, সহায়ক হিসেবে পাশে থাকতে হবে, নারীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সমূলে উৎপাটন করতে হবে সব অপশক্তিকে।
তরুণরা সত্য জানে, সত্য জানতে চায়, তারা যুক্তিবাদী, যুক্তি দিয়ে প্রতিটি ঘটনার কারণ জানতে চায়। যুক্তি দিয়ে প্রচলিত বিশ্বাসের রহস্য উদ্ঘাটন করতে চায়। যে কোনো দেশের বা সমাজের প্রাণশক্তি তারা। তরুণরা স্বপ্ন দেখতে জানে, আর সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার চ্যালেঞ্জ নিতেও পিছপা হয় না। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে দেশ নিয়ে হতাশার কথা বলা শোভা পায় না। দল-মত নির্বিশেষে দেশকে গড়াই এখন আমাদের সবার চিন্তা ও চেতনা হওয়া উচিত। তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা, বিনিয়োগ, দীর্ঘমেয়াদি স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি, তার সুফল শুধু তরুণরা নয়, গোটা জাতি ভোগ করবে এবং সে সুফল অবশ্যই টেকসই হবে।
আমাদের সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, দূরদর্শিতা, সহযোগিতা, বিনিয়োগ, উদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে নতুন করে এ দেশটাকে গড়ে তুলতে পারি, যেখানে তরুণরা মাঝি হয়ে উন্নয়নের নৌকায় আমাদের নিয়ে যাবে নিরাপদ কোনো গন্তব্যে; যুক্তি ও মুক্তচিন্তার এক আগামী তারাই গড়ে তুলবে।
লেখক
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)
মন্তব্য করুন