ফাইনালবিহীন বিশ্বকাপ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত পৃথিবীতে ১২ বছর পর ফিরে বিশ্বকাপের আসর। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ছিল না কোনো সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ। লিগ পদ্ধতিতে হওয়া আসরটিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চারটি দল অংশ নিয়েছিল ফাইনাল রাউন্ডে। যেখানে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হয় এবং পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দলটি শিরোপা জেতে। উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের মধ্যকার শেষ ম্যাচটি ছিল আসরের অঘোষিত ফাইনাল। সেই ম্যাচে ড্র করতে পারলেই শিরোপা ঘরে তুলত ব্রাজিল। ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে যায় স্বাগতিকরা।

চশমা চোখে গোল উৎসব
ইতালিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ১৯৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে চশমা চোখে মাঠে নামেন সুইজারল্যান্ডের স্ট্রাইকার পোলডি কিয়েলহলজ। পুরু লেন্সের চশমা পরে মাঠে নামায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এই চশমা পরা স্ট্রাইকার ছিলেন একজন বইয়ের পোকা। বিরামহীন বই পড়তে পড়তে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যায় তাঁর। বই পড়া ছাড়াও তাঁর ছিল ফুটবলের নেশা। চোখে চশমা লাগিয়ে ২ ম্যাচে ৩ গোল করে সবাইকে অবাক করে দেন সুইজারল্যান্ডের এই সেন্টার ফরোয়ার্ড।

বুড়ো গোলকিপার
কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে মেতে উঠেছে গোটা দুনিয়া। আসরের ৩২টি দেশ তাদের প্রতিপক্ষকে কঠিন টক্কর দিতে শক্তিশালী দল প্রস্তুত করেছে। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়। মূলত তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার সমন্বয় করে স্কোয়াড গঠন করেছে দলগুলো। গ্রুপ 'এ'-এর ফেভারিট নেদারল্যান্ডস তাদের স্কোয়াডে ৩৯ বছর বয়সী গোলকিপার রোমকো পাসভিকে যুক্ত করে আলোচনার জন্ম দেয়। রোমকো প্রমাণ করেছেন, বয়স যেন কয়েকটা সংখ্যা ছাড়া কিছু না।

গোঁফ যখন বিশ্বজয়ের অন্তরায়
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মারিও কেম্পেসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রথমবার বিশ্বকাপ ঘরে আনে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ সালের সেই আসরের শুরুতে গোঁফ রেখে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন এ স্ট্রাইকার। গোঁফ রেখে প্রথম তিন ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেননি তিনি। এর পর গোঁফ কেটে আসরের বাকি চার ম্যাচে ৬ গোল করে দলকে শিরোপা জেতান মারিও। সম্প্রতি ফিফার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও আকারে ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

ভয়ংকর এক পরিসংখ্যান
ফুটবল জগতে কুসংস্কারের যেন শেষ নেই। একটি শেষ হলে আরেকটি কুসংস্কারের জন্ম হতে থাকে। তেমন একটি হলো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ওপর অভিশাপ। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা গ্রুপ পর্ব থেকে লজ্জাজনকভাবে বাদ পড়ছেন। ইতালি, স্পেন, জার্মানির পর কি এখন এমবাপ্পের দল এই লজ্জার মুখোমুখি হবে?

বিষয় : অন্য চোখে

মন্তব্য করুন