তরুণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘মরুর দেশে বাংলার বাঘ’ প্রতিপাদ্যে চলছে বিডিবিও-সমকাল বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান উৎসব ২০২৩-এর আঞ্চলিক পর্ব। নানা আয়োজনে ১০ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর এবং ১১ মার্চ রংপুর ও খুলনার আঞ্চলিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের প্রশিক্ষণ সহযোগী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এবং কারিগরি সহযোগী ল্যাববাংলা

দীর্ঘ বিবর্তনের ফলে মানুষ আজকের রূপ পেয়েছে। বিবর্তনের ফলে আগামীতে মানুষ দেখতে কেমন হবে? মানুষ মারা গেলে চোখ, কিডনি প্রতিস্থাপন হয়; কিন্তু মানুষের ব্রেইন কাজে লাগানো যায় না কেন? এ রকম মজার, কৌতূহলী ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নে জমজমাট ছিল খুলনা অঞ্চলের জীববিজ্ঞান উৎসব। শিক্ষার্থীদের ক্ষুরধার প্রশ্ন এবং শিক্ষকদের বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তরে প্রাণবন্ত এক পরিবেশ ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্ব। এ উৎসব থেকে জাতীয় উৎসবের টিকিট পেল ১২০ শিক্ষার্থী।
১১ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস। সভাপতিত্ব করেন জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড খুলনা অঞ্চলের সভাপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। এ সময় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. মোর্শেদুল ইসলাম ও সমকালের খুলনা ব্যুরোপ্রধান মামুন রেজা উপস্থিত ছিলেন। এর পর হয় এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) ২৭৭, মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে (নবম ও দশম) ২৪৪ এবং উচ্চ মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে (একাদশ ও দ্বাদশ) ৮৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে সবাই মিলিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে। সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা খুঁজে নেয় অন্য রকম আনন্দ।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. কাজী মো. দিদারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আসিফ আহমেদ ও অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে চলতেই পরীক্ষার ফল চলে আসে। তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ১২০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয় শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ক্যাটাগরি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সায়মা রহমান। অন্য পাঁচ চ্যাম্পিয়ন হলো– খান রাফিউল ইসলাম লিয়ান, জান্নাতুল ফেরদৌসী উশী, মুরসালিন রহমান, আবু বিন জায়েদ উচ্ছাস ও অয়ন রায়। মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আটজন। এর মধ্যে ক্যাটাগরি চ্যাম্পিয়ন ঝিনাইদহ কেসি কলেজের এ বি এম আজাদি মুজাহিদ। অন্য সাত চ্যাম্পিয়ন হলো– টিউলিপ সরকার পিউ, অরিদ্র দত্ত অর্ক, সামিরা তাসনিম, মিসকাত ই মাহফুজ মিয়াদ, জেরিন তাসনিম একা, আরাফাত হাসান ও তাহমিদ ফয়েজ তানিম। উচ্চ মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে তিনজন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাটাগরি চ্যাম্পিয়ন যশোর এম এম কলেজের পারভেজ রাওসান সরদার। অন্য দুই চ্যাম্পিয়ন হলো সুমাইয়া জাহাঙ্গীর মৌমিতা ও সাদমান সাকিব।
বিজয়ীদের মেডেল ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিডিবিও খুলনার সাধারণ সম্পাদক আরিফা আফরোজ রিমি ও যুগ্ম সম্পাদক রিমন আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমকালের স্টাফ রিপোর্টার হাসান হিমালয়, ফটোসাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, সুহৃদ আহ্বায়ক এম সাইফুল ইসলামসহ অন্য সুহৃদ সদস্যরা। 

খুলনা ব্যুরো