খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী আব্দুল আউয়াল ২৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এতে তিনি খুলনাকে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ও শান্তির নগরীতে রূপান্তরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি মুক্ত করার ঘোষণাও দিয়েছেন।

রোববার খুলনা প্রেস ক্লাবে এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় আব্দুল আউয়াল জানান, তাঁর ইশতেহারে নগরীকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা, নাগরিক সেবার সব কার্যক্রম ওয়ার্ড পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো আধুনিকীকরণ, আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কথা রয়েছে। মশা নিধনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ময়লা সংগ্রহ করা হবে বাড়ি বাড়ি থেকে। এ ছাড়া টেকসই রাস্তাঘাট নির্মাণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।

মেয়রপ্রার্থী বলেন, প্রতিবছর বাজেট প্রণয়নের তিন মাস আগে যে কোনো নাগরিকের পরামর্শ নিতে কমিটি গঠন, ত্রৈমাসিক টাউন হল সভার মাধ্যমে নাগরিকদের অভিযোগ শোনা এবং একই সঙ্গে মেয়রের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।

ইশতেহারে আরও রয়েছে– মানবিক কারণে পায়ে চালিত রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ, হালকা যানবাহনগুলোর লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা, হোল্ডিং ট্যাক্স ৩০ শতাংশ মওকুফ, ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক নেওয়ার পাশাপাশি কেসিসির আওতাভুক্ত হতে যাওয়া নতুন এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সড়ক ও লেন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরি, খেলার মাঠ এবং প্রতি থানায় একটি করে পার্ক নির্মাণ।

আরও বলা হয়েছে, নারীদের জন্য পৃথক লেডিস মার্কেট, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং ব্যভিচার, লিভ টুগেদার ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফুড কোর্ট তৈরি করে রাস্তায় যত্রতত্র থাকা খাবারের দোকানগুলোকে সেখানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা, যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওভারব্রিজ নির্মাণ ও ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়ন, সড়কের পাশে অত্যাধুনিক যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণ ও সড়কদ্বীপের সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে মেয়রপ্রার্থী বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনে দীর্ঘদিনের সীমাহীন অনিয়ম, মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ক্ষমতাসীনদের অনৈতিক আধিপত্য নগরবাসীকে বিষিয়ে তুলেছে। জনমনে শান্তি নেই, স্বস্তি নেই; মানবজীবনের নিরাপত্তা নেই।