আ খ তা র  হু সে ন
হাম হুম হাম্বো

হাম হুম হাম্বো
এই দেশ ছেড়ে আমি
জার্মানি যাম্বো।
জার্মানি গিয়ে আমি
কত সব নামিদামি
খাবারটা খাম্বো,
হাম হুম হাম্বো।

হাম হুম হাম্বি
কেন তুই দেশ ছেড়ে
জার্মানি যাম্বি?
দেশকে যে ভালোবাসে
যায় না সে পরবাসে।
থামবিরে থামবি।
হাম হুম হাম্বি।

হাম হুম হাম্বো
আমি আর দেশ ছেড়ে
বিদেশে না যাম্বো।
দেশটা তো মার মতো
ভালোবাসা পাই কতো;
তাই তো না যাম্বো
হাম হুম হাম্বো।



ফা রু ক  ন ও য়া জ
যখন সবাই ফাঁকি দিলো

যখন আমায় সবাই দিলো ফাঁকি
শূন্যবুকের কষ্ট নিয়ে
ঝিম-নিশীথে যাই ঘুমিয়ে
ঘুমটি ভেঙে দেখতে পেলাম দুইটি শালিক পাখি।

ভোরের হাওয়ার চুলবুলানি
কাটল চুলে বিলি
রোদের আলোয় পাতায় পাতায়
সুখের ঝিলিমিলি
এত সুখের আবেগ-দোলায়
দুঃখ-ব্যথা লীন হয়ে যায়
বকুলফুলের গন্ধে আহা দু’চোখ বুঁজে রাখি!  

যে পারে দিক দুঃখ আমায়
পারলে ফাঁকি দিক
দেয় ঘুচিয়ে কষ্ট আমার
নিসর্গ দৈনিক।

এই যে সবুজ কুঞ্জলতা
ইমলিবনের ছায়া
এই যে নিবিড় নির্জনতা
বনঝিবুকের মায়া
লেজ-উঁচোনো কাঠবেড়ালি
ঝিঁঝির ডাকাডাকি-
এদের সাথে যখন আমার
সখ্য-মাখামাখি-
তখন আমায় দুঃখ দিয়ে লাভ হবে না কারো!  
দুঃখ পেলে সুখ আমাকে আঁকড়ে ধরে আরো!



হা সা ন  হা ফি জ
এরকম যেন হয়

পুতুলেরা চুল বাঁধে খেলা করে
দোলনায় দোলে আর
এবিসিডি পড়ে
পড়ায় কে? খুকুমণি খুকু,
বকুনিও দ্যায় খুব
আহা চুকু চুকু!
পুতুলেরা আড়ি দেয়
বাড়ি ছেড়ে পালাতেও চায়
এ রকম যদি হয়
শেষতক দাঁড়াবে কী
হায় হায় হায়,
পুতুলের সংসার
এই বুঝি ভেসে গেল
         যায় যায় যায়।
অতএব বকাঝকা
যদি করো বন্
পুতুলেরা চুপচাপ
লক্ষ্মীটি হয়ে রয়
     যেই কথা ক’ন
আদরে সোহাগে খুকু
চটপট পুতুলেরা
মিনিটেই ভালো করে
দিতে পারে মন
খুদে খুদে পুতুলেরা
খুকুকে আরাম দেয়
এরকমই যেন হয়
         সারাটা জীবন!


খা লে দ  হো সা ই ন
তোর্সা

তোর্সামণি অল্প হাসে
হাসলে যেন গল্প হাসে
একটা চিত্রকল্প হাসে–

মনে হয় এক কল্পনা সে
ভরে থাকে মন পলাশে
কৃষ্ণচূড়ায় রাধাচূড়ায়
তখন আমার মনটা জুড়ায়।