
আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক স্ট্রাইকার মারিও আলবার্তো কেম্পেস। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে কথা বলেছেন বুয়েন্স আয়ার্স থেকে সম্প্রচারিত রেডিও রিভাডেভিয়াতে। ক্রিস্টিনা সিন ল্যাপের সঙ্গে কেম্পেসের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে মেসিদের পারফরম্যান্স।
প্রশ্ন: ফাইনালে কী ঘটতে যাচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
মারিও কেম্পেস: ফুটবলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয় এবং ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা দুটি গ্রেট টিম। আর আপনার সামনে যে প্রতিপক্ষ পড়ে, সব সময়ই তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। যদিও ইউরোপীয় দলটি সেমিফাইনালে তুলনামূলক দুর্বল মরক্কোকে পেয়েছে। তবে লা ব্লু দলটিতে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে এবং তারা বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা দলে মেসি, (নিকোলাস) ওতামেন্দি ও ডি মারিয়াদের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রশ্ন: মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা দলে কোন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স আপনার হৃদয় ছুঁয়েছে?
মারিও কেম্পেস: আমার চোখে বিশ্বকাপের দুই মানিক-রতন হচ্ছেন আর্জেন্টিনার এনজো ফার্নান্দেজ ও হুলিয়ান আলভারেজ। এই দুই খেলোয়াড় টুর্নামেন্টে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
প্রশ্ন: ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আপনার গোলের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আলভারেজের গোলের তুলনা করা হচ্ছে।
মারিও কেম্পেস: আমার ও আলভারেজের গোলের প্রেক্ষাপট ভিন্ন; কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই গোলের আনন্দ একই রকম। ছেলেটির (হুলিয়ান আলভারেজ) দুই চোখে কেবল গোলের স্বপ্ন। তার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল এবং মাঠে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। বল রিবাউন্ড হওয়ায় গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে সুবিধা হয়েছিল আলভারেজের।
প্রশ্ন: ফাইনাল সম্পর্কে আপনার মন্তব্য?
মারিও কেম্পেস: কাতারে আর্জেন্টিনা ঘরের মাঠে খেলার অনুভূতি পাচ্ছে। মেসিদের সমর্থন জানাতে প্রচুর সমর্থক গ্যালারিতে উপস্থিত হবেন। তবে ফাইনাল মাঠে গড়ানোর এখনও অনেক ঘণ্টা বাকি। যে কারণে এ ফাইনাল ভবিষ্যদ্বাণী করার উপযুক্ত সময় নয় এটা।
মন্তব্য করুন