গোল্ডেন বল

বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়া গৌরবের। লিওনেল মেসি, লুকা মডরিচ- শেষ দুই বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার জিতেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে কিলিয়ান এমবাপ্পের হাতে উঠেছিল উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার। বিশ্বকাপের সেরা হওয়ার দৌড়ে মেসি, মডরিচের সঙ্গে এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান ও আশরাফ হাকিমি ভালোভাবেই আলোচনায় রয়েছেন। তবে সেরা হওয়ার দৌড়ে মেসির পক্ষেই ভোট পড়তে পারে বেশি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনোই কোনো খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত দুই বার গোল্ডেন বল পাননি। মেসি-মডরিচ সেই রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। মেসি বিশ্বকাপের সেরা হন ২০১৪ তে। ২০১৮ বিশ্বকাপে সেরা হয়েছেন মডরিচ। যদিও সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে একটু হলেও পিছিয়ে পড়েছেন মডরিচ। সেদিক থেকে পাঁচটি গোল করার পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট এবং চারটি ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া মেসির হাতেই উঠতে পারে গোল্ডেন বল। বলা হচ্ছে, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ খেলছেন তিনি। গোল্ডেন বল জয়ের লড়াইয়ে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রান্স মিডফিল্ডার আন্তনিও গ্রিজম্যান। আক্রমণ থেকে মাঝমাঠ, এমনকি রক্ষণে নেমেও দলকে সাহায্য করেছেন এই ফরাসি প্লে-মেকার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩টি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ১৪টি সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। পগবা, কন্তেদের অনুপস্থিতিতে ফ্রান্সের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার অন্যতম কারিগরই গ্রিজম্যান। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে ভালোভাবেই রাখতে হচ্ছে ফরাসি এ প্লে-মেকারকে।

গোল্ডেন গ্লাভস

কাতার বিশ্বকাপে বেশ কয়েকজন গোলরক্ষকই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তবে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার 'গোল্ডেন গল্গাভস' পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন চারজন- আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচ, মরক্কোর ইয়াসিন বোনো ও ফ্রান্সের হুগো লরিস।

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ: কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ট্রাইব্রেকারে পেনাল্টি ঠেকানোর পাশাপাশি সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ক্লিনশিট রেখেছিলেন মার্টিনেজ। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে হয়েছিলেন সেরা গোলরক্ষক।

ডমিনিক লিভাকোভিচ: শেষ ষোলোতে জাপান এবং কোয়ার্টারে ব্রাজিলের বিপক্ষে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন ডমিনিক লিভাকোভিচ। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে রীতিমতো ক্রোয়েশিয়ার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দিনামো জাগরেবের এই গোলরক্ষক। পুরো ম্যাচে তিনি ১১টি সেভ করেন, যা বিশ্বকাপের এক ম্যাচে কোনো গোলরক্ষকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেভ।

ইয়াসিন বোনো: মরক্কোর রূপকথার বিশ্বকাপের অন্যতম নেপথ্য নায়ক ইয়াসিন বোনো। সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে মাত্র একটি গোল হজম করেছিলেন তিনি। সেটিও আত্মঘাতী গোল। স্পেন, পর্তুগালের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগও বোনোকে পরাস্ত করতে পারেনি।

হুগো লরিস: গ্রুপ পর্ব খুব একটা ভালো না কাটলেও কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ও সেমিতে মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে লরিস ছিলেন দুর্দান্ত।