- বিশেষ সমকাল
- সিটিটাচ এখন ৫ লাখ গ্রাহকের অ্যাপ
সিটিটাচ এখন ৫ লাখ গ্রাহকের অ্যাপ

একটি সময় শাখায় উপস্থিতি ছাড়া ব্যাংক লেনদেনের কথা চিন্তাও করা যেত না। এখন ঘরে বসে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকিংয়ের সবই হচ্ছে। মানুষের জীবন সহজ করেছে ডিজিটাল অ্যাপ। এক দশক আগে ব্যাংক খাতে প্রথম অ্যাপ ‘সিটিটাচ’ চালু করে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক। ২০১৩ সালে চালু হওয়া সিটি ব্যাংকের অ্যাপ থেকে এখন দৈনিক গড়ে ২০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। গ্রাহকসংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ।
দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকিং করায় অভ্যস্ত ছিল। ধীরে ধীরে শাখায় গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসছে মানুষ। সিটি ব্যাংকের অ্যাপ চালুর শুরুর দিকে এ ব্যবস্থায় লেনদেন নিরাপদ কিনা, ব্যাংকারের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে টাকা স্থানান্তর হবে– এসব নিয়ে মানুষের নানা জিজ্ঞাসা ছিল। তবে এখন বড় একটি শ্রেণির কাছে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনই সহজ উপায় হয়ে উঠেছে। মানুষের আগ্রহ বিবেচনায় সরকারি-বেসরকারি খাতের বেশির ভাগ ব্যাংক এখন অ্যাপভিত্তিক লেনদেন সুবিধা চালু করেছে।
সিটিটাচ থেকে ব্যক্তি কিংবা ছোট ব্যবসার লেনদেন সবই করা যায়। ব্যাংকারের কোনো ধরনের ইনভলভমেন্ট ছাড়াই এখান থেকে একজন গ্রাহক দিনে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারেন। এখান থেকে এফডিআর ও ডিপিএস খোলার সুবিধা চালু হয় ২০১৮ সালে। অ্যাপটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ডিপিএস এবং ২১ হাজার এফডিআর খোলা হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের হেড অব সিটিটাচ সৈয়দ ইব্রাহিম সাজিদ সমকালকে বলেন, ‘আমরা সিটিটাচ অ্যাপটিকে দেশের সবচেয়ে পছন্দনীয় আর্থিক সেবা প্রদানকারী মাধ্যমে পরিণত করতে চাই। যা হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এবং নিত্যনতুন উদ্ভাবনী চিন্তার ধারক।’
সিটিটাস থেকে একজন গ্রাহক যে কোনো ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর তো করতে পারেনই। ব্যাংক ছাড়াও এমএফএস সেবা বিকাশ, নগদ, ট্যাপ ও উপায়ে টাকা স্থানান্তর করতে পারেন। ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ, বাংলাকিউআরে যুক্ত যে কোনো মার্চেন্ট পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। মোবাইল রিচার্জ, যে কোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা যায় এখান থেকে। কার্ড ছাড়াই এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন, ঋণ আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন