- বিশেষ সমকাল
- সময়ের তালে আধুনিক ব্যাংকিং
সময়ের তালে আধুনিক ব্যাংকিং

কার আগে কে খুলবে ব্যাংকের শাখা– একটা সময় ছিল সেই দৌড়। এর পর মোড়ে মোড়ে এটিএম বুথ বসানোর প্রতিযোগিতা। এখন প্রযুক্তিনির্ভর সেবার দিকে ব্যাংকগুলোর নজর। গ্রাহকের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচিয়ে দিতে চালু হয়েছে অ্যাপভিত্তিক আধুনিক ব্যাংকিং সেবা। ব্যাংক যেন চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। অনলাইনে হিসাব খোলা, টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, ডিপিএসের টাকা জমা, এফডিআর, এমনকি ঋণ আবেদন– সবই করা যাচ্ছে ঘরে বসে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবায় কমছে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, আগে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহকের আগ্রহ ছিল কম। অতিমারি করোনার সময় ঘরবন্দি মানুষ প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংকে কাছে টেনে নিয়েছে। বুঝেছে ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা। শাখা খোলার চেয়ে ব্যাংকও জোর দেয় কার্ড ও অ্যাপভিত্তিক সেবায়। গত ২৪ ও ২৫ মে ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ‘ব্যাংকিং অন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সামিটের আয়োজন করে। সামিটের শেষ দিন সংবাদ সম্মেলনে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাংক ব্যাংকের এমডি সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, যেসব ব্যাংক ডিজিটাল রূপান্তরে বিনিয়োগ করবে না; ৫-৭ বছর পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শাখা খোলায় লাগাম টেনেছে অধিকাংশ ব্যাংক। করোনার ছোবলের আগে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে ব্যাংকগুলো ২৯৬ শাখা খুলেছিল। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত তিন বছরে খুলেছে ৫৭৫টি। সব মিলিয়ে গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মোট শাখা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১৬৭টিতে। পাশাপাশি এখন চলছে উপশাখা খোলার ধুম। দেশে ব্যাংকগুলোর ১৩ হাজার ৫৬৮টি এটিএম বুথ, এক লাখ সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্ট অব সেলস, ৯০৬টি সিডিএম ও ২ হাজার ৮৮৭টি সিআরএম গ্রাহককে সেবা বিলিয়ে যাচ্ছে। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন গ্রাহক। গত মার্চ পর্যন্ত ডেবিট কার্ডের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে, যা পাঁচ বছর আগে ছিল এক কোটি ৫৯ লাখ। ক্রেডিট কার্ড পাঁচ বছর আগের ১৩ লাখ ৪৯ হাজার থেকে বেড়ে প্রায় ২২ লাখে পৌঁছেছে। আর প্রিপেইড কার্ড ২ লাখ ৮২ হাজার থেকে এখন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ।
আগে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবে চেকের মাধ্যমে টাকা স্থানান্তরে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগত। ধীরে ধীরে পরিশোধের সময় কমেছে। এখন টাকা স্থানান্তর হচ্ছে কয়েক সেকেন্ডে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা বিভিন্ন অ্যাপ থেকে গ্রাহক নিজে তাৎক্ষণিক টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন সহজেই। আবার ব্যাংক থেকে চেকের বিপরীতে খুব অল্প সময়ে বড় বড় লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত বিভিন্ন ব্যবস্থায় আন্তঃব্যাংক পরিশোধ নিষ্পত্তি করা হয়। ২০১৫ সালে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের (আরটিজিএস) মাধ্যমে এখন প্রতি মাসে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক ক্লিয়ারিং হাউস (বিএসিএইচ) থেকে পরিশোধ হচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মতো। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (ইএফটিএন) থেকে পরিশোধ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইসের (এনপিএস) মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক এটিএম, পস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। অবশ্য নিজ ব্যাংকের এসব ব্যবস্থায় লেনদেন হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকার মতো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আধুনিক সেবায় এক ধাপ এগিয়ে থাকা বেসরকারি ব্যাংকের অন্যতম ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড (বিবিএল)। ব্যাংকটি ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকদের লেনদেনের জন্য বেশ আগে চালু করেছে ‘আস্থা অ্যাপ’। এই অ্যাপের মাধ্যমে আসবাব, টিভি-ফ্রিজের মতো গৃহস্থালির জিনিস কেনাকাটায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। করপোরেট গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকটির রয়েছে ‘করপনেট অ্যাপ’। এর মাধ্যমে গেল বছর ২ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
সিটি ব্যাংক চালু করেছে ডিজিটাল ন্যানো লোন সুবিধা। মোবাইল ফোনভিত্তিক অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর ‘লোন’ অপশনে গিয়ে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিন মাস মেয়াদি এ ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। সিটি ব্যাংকের ‘সিটি টাচ’ অ্যাপ থেকে প্রচলিত সব ধরনের লেনদেন সুবিধা ছাড়াও নিজের জমা টাকার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক।
অ্যাপ থেকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে ইবিএল স্কাইব্যাংকিং, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস পে, ইসলামী ব্যাংকের আইস্মার্ট ও সেল্ফিন, ইউসিবির ইউনেট, এমটিবি স্মার্ট ব্যাংকিং, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এসজেআইবিএল নেট, এসআইবিএলের নাও, ঢাকা ব্যাংক গো, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের রেইনবো, ব্যাংক এশিয়ার স্মার্ট অ্যাপ, প্রাইম ব্যাংকের মাইপ্রাইম, আইএফআইসির আমার ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকের স্বাধীন, ট্রাস্ট ব্যাংকের ট্রাস্ট-মানি, মধুমতি ব্যাংকের কো-স্মার্ট অ্যাপ গ্রাহক টানতে পেরেছে।
শুধু বেসরকারি ব্যাংক নয়। গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় সরকারি ব্যাংকগুলোও চালু করেছে অ্যাপভিত্তিক সেবা। সোনালী ব্যাংকের ইসেবা, অগ্রণী স্মার্ট ব্যাংকিং, জনতা ব্যাংকের ই-জনতা, বেসিক ব্যাংকের ম্যাগপাই নামে অ্যাপ চালু রয়েছে।
আসছে ডিজিটাল ব্যাংক
শাখা ছাড়াই প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে স্বতন্ত্রভাবে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ধরনের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মূলধন লাগবে ১৫০ কোটি টাকা; বর্তমানে সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংক করতে যেখানে ৫০০ কোটি টাকার মূলধনে জোগাতে হয়। ডিজিটাল ব্যাংকের অন্যতম বৈশিষ্ট হবে নিজস্ব শাখা বা স্থাপনা থাকবে না। আমানত সংগ্রহ, ঋণ আবেদন থেকে অনুমোদন– সবই হবে অনলাইনে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গ্রাহক নির্বাচন করা হবে। বর্তমানে ইসরায়েল, পাকিস্তানসহ অল্প কয়েকটি দেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু আছে।
জানা গেছে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার নীতিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের আগামী সভায় নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তব্যে আগামী অর্থবছরে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ক্রেডিট স্কোরিংয়ের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হবে। এতে ভুয়া ও বেনামি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত সহজ হবে। প্রকৃত ঋণ গ্রহীতা দ্রুত ঋণ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে সমকালকে বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক থেকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ, বিভিন্ন ফি বা চার্জ গ্রহণ সবই হবে অ্যাপভিত্তিক। প্রধান কার্যালয়ের বাইরে এর কোনো শাখা থাকবে না। প্রাথমিকভাবে শুধু সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ করা হবে। জালিয়াতি রোধে থাকবে বিভিন্ন ব্যবস্থা।
ক্যাশলেস প্রচারণায় বাংলা কিউআর
নগদ লেনদেন প্রথা থেকে একেবারে বেরিয়ে এসেছে বিশ্বের অনেক দেশ। তবে বাংলাদেশের কেনাকাটাসহ লেনদেনের বেশিরভাগই হয় ক্যাশ তথা নগদে। যে কারণে ২০২৬ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্যাশলেস প্রচারণার অংশ হিসেবে গত ১৮ জানুয়ারি ‘বাংলা কিউআর’ নামে নতুন লেনদেন প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করা হয়। ওই দিন রাজধানীর মতিঝিল ও গুলশানের ফুটপাত, মুদি দোকান, ঝাল-মুড়ি বিক্রেতা– এ রকম ক্ষুদ্র ব্যবসায় কিউআরভিত্তিক লেনদেন চালু করা হয়। পরে গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, রাজশাহী, নাটোরেও এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত যে কোনো ব্যাংক বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের গ্রাহক একজন আরেকজনকে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এবার দুটি কোরবানির পশুর হাটেও এ প্রচারণা চালানো হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্যোগ নিলেও এখনও ব্যাপকভাবে এর ব্যবহার শুরু হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ক্যাশলেস লেনদেন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে নগদ লেনদেনের খরচ বাড়াতে হবে। অনেক দেশে ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা বা উত্তোলনে মাশুল কাটা হয়। বাংলাদেশেও তেমন করার বিষয়ে ভাবতে হবে। অন্যদিকে, ডিজিটাল পরিশোধে নানা প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখতে হবে। একই সঙ্গে আর্থিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার করতে হবে। কেননা, ক্যাশলেস লেনদেন যত বাড়ানো যাবে, স্বচ্ছতা তত বাড়বে। অপরাধমূলক লেনদেন করলেও তা বের করা সহজ হবে। আবার নগদ টাকা বহনে জাল, চুরি, ছিনতাইয়ের ঝুঁকি থাকে। টাকা ছাপাতেও বাড়তি খরচ করতে হয়। আবার যে যত খরচ করুক; স্থানান্তরভিত্তিক হওয়ায় টাকাটা সব সময় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলেই থাকবে। ফলে পুরো খাত কখনও পদ্ধতিগত ঝুঁকিতে পড়বে না।
কেন এত তোড়জোড়
ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাম্প্রতিক সময়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। হঠাৎ কেন এদিকে এত জোর দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে অনেকের মনে রয়েছে প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে তাল মেলাতে ডিজিটাল রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হবে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চূড়ান্ত অন্তর্ভুক্তির জন্য টেকসই আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য, নিরক্ষরতা ও দুর্নীতিমুক্ত আলোকিত দেশ গঠন করা যায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে প্রত্যেকের নামে অন্তত একটি হিসাব (একাউন্ট) খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একই ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকলেও একটি অংশ থেকে গেছে আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। আর এই হিসাব যে শুধু ব্যাংকেই হতে হবে, তেমন না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, এমএফএস কিংবা সমবায়; যে কোনো আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে হিসাব থাকতে পারে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে বিভিন্নভাবে আর্থিক শিক্ষার প্রসার ও সেবা সহজ করতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আরএফ হোসেন সমকালকে বলেন, আগামী দিনের ব্যাংকিং হবে প্রযুক্তিনির্ভর। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে যেসব ব্যাংক ডিজিটাল রূপান্তর করতে পারবে না, তাদের টিকে থাকা কঠিন। তিনি বলেন, দেশে এত ব্যাংক থাকার পরও কোটি কোটি মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে সহজে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছা সম্ভব হবে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, এখন চ্যাটজিপিটির মতো প্রযুক্তি চলে এসেছে। আগামী দিনের ব্যাংকিং হবে প্রযুক্তিনির্ভর। গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে এ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রসারের পাশাপাশি ঝুঁকির বিষয়ে জোর দিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে এখনই হয়তো পুরোপুরি ডিজিটাল করলে হবে না; অভ্যস্ততার জন্য শাখাও লাগবে।
মন্তব্য করুন