ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

মুস্তাফিজ যেন 'দিল্লির লাড্ডু'

মুস্তাফিজ যেন 'দিল্লির লাড্ডু'

কেকেআরের সঙ্গে জয়ের আনন্দ টিম হোটেলে কেক কেটে উদযাপনের জন্য এভাবেই মুস্তাফিজকে ডাকেন ঋশভ পান্থ-খলিলরা টুইটার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২ | ০০:৩৯

শুধু কি উইকেট পেলেই বোলারের কদর বাড়ে, কখনও কখনও উইকেটশূন্য থাকলেও দলের মধ্যমণি হওয়া যায়। যেমনটা দিল্লি ক্যাপিটালসের পেসার মুস্তাফিজ। সেদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জয়ের পর ড্রেসিংরুমে তাকে নিয়েই কেক কাটেন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পান্থ। কোচ রিকি পন্টিংও মুস্তাফিজকে বিশেষ উপহার তুলে দেন জয়ের জন্য। সবার কাছে তিনি এখন যেন দিল্লির লাড্ডু। চারপাশে এত ভালোবাসা পেয়ে ভীষণ আপ্লুত মুস্তাফিজ। অথচ নিলামের সময় তিনি জানতেনই না যে, এবার আইপিএলে দিল্লি কিনেছে তাকে। দিল্লির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান মুস্তাফিজ, 'আইপিএলের নিলামের সময় আমি দেখিনি। তখন তো আমাদের বিপিএল খেলা চলতেছিল। ওই সময় আমাদের টিম ব্যাটিং করতেছিল। আমি ডাগআউটে ছিলাম। পরে একজন দেখার পরে আমাকে বলে যে ফিজ তুই দিল্লি ক্যাপিটালসে সুযোগ পাইছস। শোনার পর ভালো লেগেছে নতুন একটা দলে সুযোগ পেয়েছি। এর আগে তিনটা টিমে খেলেছি।'

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক। এবার দুই কোটি রুপিতে দিল্লি নিয়েছে তাকে। পাঁচ আসরে এরই মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে মুস্তাফিজের। এবং এবারের শুরুটাও দারুণ হয়েছে তার। নিজের প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। লক্ষেষ্টৗ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষেও বল হাতে নিজের জাত চেনান তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে উইকেট না পেলেও বোলিংয়ে ছিলেন মিতব্যয়ী; ৪ ওভারে দেন ২১ রান। ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে কোচ রিকি পন্টিংয়ের কাছ থেকে একটা লোগো উপহার পেয়েছেন বাংলাদেশের এ পেসার।

এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলা দিল্লি জিতেছে দুটিতে। নতুন দলে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মুস্তাফিজ বলেন, 'অভিজ্ঞতা বলতে আপনার এখানে অনেকের সঙ্গে আমি কম-বেশি খেলাধুলা করছি। আবার একসঙ্গে না খেললেও প্রতিপক্ষ দলে ছিল এমন। গত মৌসুমে ছিল চেতন শাকারিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে দু'বছর ছিলাম। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা খুব ভালো। আমরা এখন পর্যন্ত দুইটা জিতছি এবং দুইটা হেরেছি। দল হিসেবে আমরা ব্যালেন্স। আমাদের ব্যাটিং বলেন বোলিং বলেন, ভালো ভালো খেলোয়াড় আমাদের দলে আছেন।' 

বল হাতে ভালো করায় কোচিং স্টাফদের কাছ থেকে প্রশংসা শুনছেন। কোচ রিকি পন্টিংয়ের কাছ থেকে লোগো উপহার পাওয়া প্রসঙ্গে এ কাটার মাস্টার বলেন, 'ভালোর তো কোনো শেষ নেই। সবসময় খেলতে নামলে আমি চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার। এটা (উপহার) শুধু আমার জন্য নয়, প্রতিটি প্লেয়ারের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। ম্যাচ হারি বা জিতি যদি আপনি পারফর্ম করেন তাহলে আমাদের ড্রেসিংরুমে সবার সামনে ভালো ভালো কথা হয়। কিন্তু যেদিন যে ভালো করছে তাকে সবার সামনে আগেই নিয়ে আসা। এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।' করোনার কারণে বায়ো-বাবলের একঘেয়ে পরিবেশে থাকতে হয়। খেলা ও অনুশীলনের বাইরে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সময় কাটান মুস্তাফিজ। আর সবশেষে বাংলাদেশের সমর্থকদের উদ্দেশে তার বার্তা হলো এমন- 'আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আরও ভালো খেলা উপহার দিতে পারি। আর দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে থাকুন।'

আরও পড়ুন

×