ব্যর্থতার সিরিজেও প্রাপ্তির হাসি বিজয়ের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২ | ০০:৪১
সাকিব বিতর্ক অনেকটাই আড়াল করে দিয়েছে জিম্বাবুয়ের কাছে জাতীয় দলের দুটি সিরিজ হারের ঘটনা। সফর শেষ করে গতকাল দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের তাই ঝাঁজালো কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। যেটুকু সম্ভাবনা ছিল তাও পানসে হয়ে গেছে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলের সঙ্গে দেশে না ফেরায়। লম্বা সময় ওয়ানডে খেলা না থাকায় ছুটি কাটাতে দুবাই রয়ে গেছেন তিনি। গতকাল বিকেলে অনেকটা নীরবে দেশে ফেরা জাতীয় দলের প্রতিনিধি হয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হলো এনামুল হক বিজয়কে। জিম্বাবুয়ের কাছে দলের ব্যর্থতার চেয়েও তাই হাইলাইট হলো তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। তবে জিম্বাবুয়ে সফরের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বলে দাবি টপঅর্ডার এ ব্যাটারের।
জিম্বাবুয়ের কাছে হারের আগে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজও রয়েছে। সেই দলের এমন ছন্দপতন বিস্ময়কর। ওপেনার বিজয়ের কাছেও এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই, 'ওয়ানডে ক্রিকেট আমরা দুই বছর ধরে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। এটা আসলে দুর্ভাগ্যবশত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দল কিন্তু ওয়ানডেতে অনেক ভালো। আমরা প্রত্যেক খেলোয়াড়ই বিশ্বাস করি প্রসেস ঠিক থাকলে, শতভাগ দিয়ে খেলতে পারলে যে কোনো সিরিজ যে কোনো দলের সঙ্গে জেতা সম্ভব। এ রকম একটা সিরিজ যেতেই পারে।' জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের খেলা ছিল না। তাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলার সুযোগ বেশি ছিল। অথচ ক্রিকেটাররা প্রথম দুই ম্যাচে মন খুলে খেলতে পারেননি। বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ডুবেছে দল। শেষ ম্যাচটি জিতে হোয়াটওয়াশের হাত থেকে বাঁচে। এই সিরিজে দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে বিজয়ের। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, 'তিন বছর পর দলে ফিরে চেষ্টা করেছি সুযোগ কাজে লাগাতে। আমার প্রসেসটা ঠিক রাখা। অবশ্যই দলের জয়ের পেছনে অবদান রাখতে পারলে অনেক ভালো লাগত। জিম্বাবুয়ের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জেতাটা আসলে সহজ ছিল না। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে, আমাদের অবশ্যই কিছু ভুলত্রুটি ছিল। দুটা মিলিয়ে আমরা হেরে গেছি। আর আমি অনেক দিন পর দলে এসেছি, চেষ্টা করেছি নিজের শতভাগ দেওয়ার। যতটুকু হয়েছে, পেরেছি, চেষ্টা করব নিয়মিত করার।'
বিজয়কে ভাগ্যবানই বলতে হবে। টানা দুটি টি২০ সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পরও এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাচ্ছেন। ২৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার মনে করেন ওয়ানডের মতো দল হিসেবে খেলা গেলে টি২০ সিরিজেও ভালো করা সম্ভব। এশিয়া কাপ দিয়েই উন্নতির পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশ।