ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

দেশের ক্রিকেটে বায়োমেকানিকস

দেশের ক্রিকেটে বায়োমেকানিকস

বিসিবির একাডেমি কাপের ফাইল ছবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০২:০২

দেখতে দেখতে বিসিবি একাডেমির বয়স কম হলো না। দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও কাঠামোটা ভারতের ন্যাশনাল একাডেমির মতো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। এটি হয়ে গেছে ক্রিকেটারদের আবাসনের জায়গা। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতের একাডেমিতে কোচিং স্টাফের পাশাপাশি স্পোর্টস বায়োমেকানিকস ব্যবস্থা রয়েছে।

দেশটির কোচিং স্টাফ, উদীয়মান ক্রিকেটারদের পাশাপাশি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়েও বায়োম্যাকানিক্সের বিশেষজ্ঞরা কাজ করেন। দেরিতে হলেও বায়োম্যাকানিক্সের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছে বিসিবি। ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির বায়োমেকানিকস বিশেষজ্ঞ ড. রতনেশ সিংকে দিয়ে সেমিনার করতে যাচ্ছে বিসিবি। তিন দিনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় কোচদের সঙ্গে নির্বাচিত ট্রেনার, ফিজিও এবং ভিডিও এনালিস্টরা।

পেস, স্পিন বোলিং, ব্যাটিং ও কিপিংয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের নির্ভুল ও কার্যকর প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে কোচদের বায়োমেকানিকস বিষয়ে প্রশিক্ষিত করা হবে। ১৬, ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হতে পারে এ কর্মশালা। এ ব্যাপারে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীতা থেকেই প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষকদের বায়োমেকানিকস ম্যাথড ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কর্মশালায়। ভারত বিশালসংখ্যক কোচকে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বিসিবিও ধাপে ধাপে দেশের কোচদের প্রশিক্ষিত করবে।' বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং কোচ ওয়াসিম জাফর ২০২১ সালে লেভেল টু কোচেস কোর্সে বায়োম্যাকানিক্সের কর্মশালায় প্র্যাকটিক্যাল করেন।

ড. রতনেশ সিং ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ সামিদের নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর ন্যাশনাল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বিসিবির ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবু ইমাম মো. কাউসার বলেন, 'বেশি পেস জেনারেট করা, সঠিক প্রক্রিয়ায় বোলিং করা- এগুলো বায়োম্যাকানিক্সের কাজ। তাই বায়োম্যাকানিক্সের একটা কোর্স হবে ঢাকায়। ধাপে ধাপে এটি কার্যকর করা হবে। কর্মশালার পর মাঠপর্যায়ে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় প্র্যাকটিক্যাল হবে। এই প্রক্রিয়া কার্যকর করার পর মূল্যায়ন পর্যায়ে হয়তো ল্যাব ব্যবহার করা হবে। দেশেই কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ল্যাব সুবিধা নেওয়া হতে পারে।'

বাংলাদেশে ক্রিকেটারদের ভুল কৌশলে খেলা শিখে বেড়ে উঠা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বেশির ভাগ কোচেরই বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণের কোর্স করা নেই। যে কারণে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদরা চোটাক্রান্ত না হয়েও কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। বিকেএসপির মতো ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া ব্যাটারদের অনেকে ফুটওয়ার্কে সমস্যা নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন।

বছরের পর বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে ১৪০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার গতির বোলার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না দেশে। সে কারণেই কোচদের প্রশিক্ষিত করা হবে বায়োমেকানিকসে। এ ছাড়া দেশের ট্রেনারদের জন্য লেভেল টু সার্টিফিকেট কর্মশালায় শিক্ষক হিসেবে থাকছেন ইসিবির ফিটনেস কোচ রভ অ্যাচিভ। ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুরে হবে ট্রেনারদের সার্টিফিকেট কোর্সটি।

আরও পড়ুন

×