ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পেস বোলিংয়ে দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ টাইগারদের

পেস বোলিংয়ে দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ টাইগারদের

ছবি: ফাইল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ | ০১:০৪

বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে ম্যাচ থাকেই। সেটি টেস্ট ও ওয়ানডের মধ্যেই সীমিত ছিল। টি-২০ খেলবে এই প্রথম। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বোলিং নাকি ব্যাটিং বেশি কার্যকর থাকে, তা জানা নেই। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে সোহানদের পরিকল্পনা থাকবে স্পোর্টিং উইকেটের বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে। বিশেষ করে বোলিং ইউনিটে পেস বোলারদের অগ্রাধিকার থাকবে।

যদিও বোলিংয়ের এই বিভাগে পাকিস্তান বেশ শক্তিশালী। তাদের স্কোয়াডে দেড়শ কিলোমিটার গতির বোলারও রয়েছেন। হারিস রউফরা গতির সঙ্গে নিশানায় বল ফেলতেও পারদর্শী। বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যেটা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তবে ভালো দিক হলো নিউজিল্যান্ডে বাউন্স বেশ ইভেন থাকে। বুদ্ধি দিয়ে খেললে চার-ছক্কার শট খেলা যায়। বাংলাদেশের ব্যাটারদের ছক্কায় দুর্বলতা থাকলেও বাউন্ডারি শটের কৌশল নিয়ে খেললে দেড়শ কিলোমিটার গতির বোলারকেও
চাপে ফেলা কঠিন কিছু নয়।

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে লড়াইটা হবে মূলত পেসার বনাম পেসারে। উইকেটের বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে খেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই তিনজনে কে কে থাকছেন, তা দেখার বিষয়। কারণ নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড ভালো না। ওয়ানডে ইনিংসে রেকর্ড ৯৩ রান খরচ হয়েছে তাঁর। যে তিন ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং করেছেন বাঁ হাতি এ পেসার, তাতে খরুচে ছিলেন।

সেদিক থেকে তাসকিন আহমেদের রেকর্ড বেশ ভালো। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ হয়তো ভালো করতে পারেন। গতির সঙ্গে বোলিং বৈচিত্র্য রয়েছে তাঁর হাতে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন অলরাউন্ডার কোটায় সুযোগ পেলেও পেতে পারেন। তাঁর বোলিং রিজওয়ানদের বিট করতে পারবে কিনা বলা মুশকিল। কারণ পাকিস্তানের ব্যাটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটেও বিশ্বমানের পেসারদের বলে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম তোলেন। এ ক্ষেত্রে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বোলারদের পরিকল্পনা দিতে পারেন নিয়ন্ত্রণের ওপর। অর্থাৎ লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে মিতব্যয়ী হতে বলবেন তাসকিনদের।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পেস বোলারের ছড়াছড়ি। হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাঈম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে শান মাসুদের মতো অলরাউন্ডা রেখেছে তারা। নিয়মিত তিন পেসারের সঙ্গে একজন অলরাউন্ডার জুড়ে দিয়ে বোলিং ও ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য তৈরি করতে পারে দলটি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটা সহজ হয় না।

এছাড়া সাইফউদ্দিন লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকায় তেমন ছন্দে নেই। হাসান মাহমুদও গোড়ালির ইনজুরি সারিয়ে প্রথম খেলবেন। টাইগার শিবিরে চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে রাখে নিয়মিত ওপেনিং জুটি না থাকা। মেকশিফট ওপেনিং জুটি কতটা কার্যকর হবে সেটা বলা মুশকিল। বরং লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করালে পাওয়ার প্লেতে শোভন স্কোর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিডিও অ্যানালিস্ট কোচ শ্রী হয়তো শ্রীরামকে এ রকম খুঁটিনাটি জিনিসগুলো ধরিয়ে দিয়ে থাকবেন গেম প্ল্যানে যাওয়ার পূর্বে।

আরও পড়ুন

×