ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মিরপুর বলেই জয়ের আশা

মিরপুর বলেই জয়ের আশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২০:৫১

সেই ঝলমলে দিন আবার কবে আসবে? যেভাবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয় দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু হয়েছিল। ওই সিরিজ দিয়েই তো বছরের শুরু। বছরের শুরুর সঙ্গে শেষের একটা মেলবন্ধন করা গেলে দারুণ হয়। সাকিবদের কাছ থেকে তেমন কিছুই চান পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। গতকাল অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই কিনা ক্রিসমাসের উপহার চেয়ে রাখলেন ঢাকা টেস্টে জয়। বিদেশি কোচিং স্টাফকে বিশেষ এই উপহার সাকিবরা দিতে পারবেন কিনা জানা নেই। ডোনাল্ডরাও জানেন, ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টেস্ট জেতা সহজ ব্যাপার নয়। তবুও চাইতে দোষ কোথায়? এতে করে ক্রিকেটাররা যদি প্রাণবন্ত থেকে খেলতে পারেন, তাতেই উপহার পাওয়া হয়ে যাবে ডোনাল্ড-রাসেলদের।

মিরপুরে খেলা হওয়াতেই হয়তো কোচদের প্রত্যাশা একটু বেশি। কারণ, বিজয়ের মাসের শুরুতেই তো লিটনরা বিজয় উপহার দিয়েছিলেন। টানা দুই ম্যাচ জিতে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিলেন লিটন দাসরা। যদিও চট্টগ্রামে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। এক দিনের ক্রিকেটের শেষ ম্যাচটি হেরে ছিলেন বড় ব্যবধানে। টেস্ট ম্যাচটি পঞ্চম দিনে গেলেও সাকিবরা খুব একটা ভালোও খেলেননি। ১৮৮ রানের বড় পরাজয় জুটেছে। টার্নিং উইকেট হলেও ভারতকে দু'বার অলআউট করা যায়নি। আর ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল তো বেরিয়ে এসেছিল প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে টেনেটুনে ৩২৪ রান করতে পারলেও বড় পরাজয় টেস্টের দুর্বলতা দেখিয়ে দেয়।

চট্টগ্রাম টেস্ট পঞ্চম দিনে নিয়ে যাওয়ার পেছনে বাংলাদেশি ব্যাটারদের খুব একটা ভূমিকা নেই। ১৯৫.৩ ওভার ব্যাটিং করে ম্যাচের আয়ু বাড়িয়েছেন মূলত সফরকারীরাই। মিরপুরের উইকেট চট্টগ্রামের মতো নয়। সাড়ে তিনশ রানই বড় স্কোর হোম অব ক্রিকেটে। বোলাররা জমাট বোলিং করতে পারলে বক্সিং ডে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ, মিরপুরের উইকেটকে টার্নিং বানাতে হয় না, স্বভাবগত দিক থেকেই টার্নিং। সুশৃঙ্খল বোলিং করা গেলে স্পিনাররা শাসন করবেন ম্যাচে। এক চ্যানেল ধরে বোলিং করে গেলে পেসাররাও সফল হতে পারেন। যদিও চোখের দেখায় পিচ শুকনোই মনে হয়েছে বোলিং কোচ ডোনাল্ডের কাছে, 'আমার মনে হয়, টস জিতলে ব্যাটিং নেবে। ৩৫০ থেকে ৩৮০ রান প্রথম ইনিংসে ভালো স্কোর। পিচ মোটামুটি শুকনো দেখাচ্ছে, যেটা কাজে লাগাতে হবে। প্রথম ইনিংসেই এগিয়ে থাকতে হয় টেস্ট ম্যাচে। আর আগে বোলিং করতে হলে দ্রুত বেঁধে ফেলতে হবে ভারতকে। গত ম্যাচে আমরা কিছু কঠিন ক্যাচ ফেলেছি, এই পর্যায়ে যেটা হওয়া উচিত নয়।'

রোহিত শর্মা চোটমুক্ত না হওয়ায় ঢাকা টেস্টেও ভারতের নেতৃত্বে থাকছেন লোকেশ রাহুল। আপৎকালীন অধিনায়কের জন্য এটা একটা পরীক্ষা। সাকিবরা সে পরীক্ষা কতটা নিতে পরেন তা দেখার বিষয়। যদিও কাজটি কঠিন। পুরো শক্তির বোলিং ইউনিটই তো পাচ্ছেন না অধিনায়ক। এবাদত হোসেন এবং শরিফুল ইসলাম চোট নিয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। খালেদ আহমেদের সঙ্গে ফিরছেন তাসকিন আহমেদ। সাকিবও বোলিং করবেন। সে ক্ষেত্রে একাদশে পরিবর্তন বলতে পেসার এবাদতের জায়গায় তাসকিন আর ব্যাটার ইয়াসির আলী রাব্বির জায়গায় মুমিনুল হক। বাকিরা যে যাঁর জায়গায় থাকছেন। তিন স্পিনার- সাকিব, তাইজুল ও মিরাজই মূলত লিড দেবেন টেস্টে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের ভুলগুলো শুধরে সুখস্মৃতির মিরপুরে জয়ের ফুল ফোটাতেই চাইবেন স্বাগতিকরা।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×