ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রিসমাসের উপহার চান কোচরা

ক্রিসমাসের উপহার চান কোচরা

ব্যাটিংয়ের হালটা ধরতে হবে! জেমি সিডন্স বোধ হয় সাকিব-মিরাজকে তেমনটাই বলছেন -এএফপি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২১:০০

২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে না হলে এ সময় জাতীয় দলের বিদেশি কোচরা পরিবার নিয়ে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি নিতেন। সেখানে এখন ভারতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে অ্যালান ডোনাল্ডদের। রাসেল ডমিঙ্গোকে ছক কষতে হচ্ছে প্রতিপক্ষের সবল এবং দুর্বল দিক নিয়ে। অবশ্য ডোনাল্ডদের কাছে এটা নতুন কিছু না। জীবনে কতবারই তো বক্সিং ডে টেস্ট খেলতে হয়েছে তাঁদের। তবে বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ উপহার পেলে ভালোই লাগে। সাকিবদের কাছে তাই চেয়ে রাখলেন ক্রিসমাস উপহার। আর উপহারটা যে জয় ছাড়া কিছুই নয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মিরপুর টেস্ট ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর। পাঁচ দিন খেলা হলে ক্রিসমাস এবং বক্সিং ডে দুটিই মাঠে উদযাপন করতে হবে কোচিং স্টাফকে। এ কারণেই কিনা ডোনাল্ডের এমন একটি উপহার চাওয়া, 'আমরা জিততে চাই। ভারতের সঙ্গে কোথায় খেলা হচ্ছে তা মুখ্য নয়। আমাদের সেরাটা দিতে হবে লক্ষ্য অর্জন করতে। আমরা জানি, ১৫০ রান যথেষ্ট ছিল না। জুটির গুরুত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। আরও প্রাণবন্ত হতে হবে আমাদের। যেটা দ্বিতীয় ইনিংসে করা গেছে। আমরা জেতার জন্য মরিয়া। একটি জয় নিয়ে বিলম্ব ক্রিসমাস পালন করতে দেশে যেতে চাই আমরা।' সিরিজ শেষ হলেই বিদেশি কোচরা ছুটি কাটাতে দেশে ফিরবেন। ক্রিসমাস পালন করা না হলেও নিউ ইয়ার তো রয়েছেই। এই কোচদের জন্য সাকিবরা একটি উপহার দিতে পারলে দারুণ হবে।

বছরের শুরুতে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, যা এখনও বছরের সেরা সাফল্য। এর পর তো শুধুই ব্যর্থতার গল্প আর পরিবর্তনের মিছিল। টেস্ট দলের সেরা ব্যাটার মুমিনুল শুধু টেস্টের নেতৃত্বই হারাননি, রান করতে না পারায় একাদশ থেকেও ছিটকে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে রাখা হয়নি তাঁকে। নিজের পয়া ভেন্যু চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। যদিও মিরপুর টেস্ট দিয়ে ফেরার একটা সুযোগ এসেছে। ইয়াসির আলী রাব্বির জায়গায় খেলবেন তিনি। মুমিনুল বড় ইনিংস খেলে টেস্ট ম্যাচটিকে নিজের ক্যারিয়ারে লাইফলাইন বানাতে পারলেই হয়। যদিও ব্যাটিং লাইনে পরিবর্তন করে খুব একটা লাভ হয় না। টেস্টের ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত দৃশ্য। গর্ব করার মতো যে বোলিং ইউনিট তৈরি হয়েছিল, সেখানেও মড়ক লেগেছে ইনজুরিতে। চট্টগ্রামের মতো মিরপুর টেস্টেও স্পিনারদের ওপরই ভরসা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড যেমন বললেন, 'স্পিনাররা কী করতে পারে তা জানা আছে। পেসারদের আরও আক্রমণাত্মক দেখতে চাই আমরা। এই পিচে মাথা নিচু করে বল ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। বোলিংয়ে গতি থাকলেই কেবল মন খুলে আগ্রাসী বোলিং করা সম্ভব।' সে চাওয়া পূরণ করার মতো পেস বোলিং ইউনিট এ মুহূর্তে দলে নেই। সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে হবে তাসকিন-খালেদেই।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×