বাফুফেতে চাকরি হারাচ্ছেন আরও অনেকে

ছবি: ফাইল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩ | ০৩:২৯
আবু নাঈম সোহাগ কাণ্ডের পর মাঝে কিছুদিন বেশ নির্ভারই ছিলেন বাফুফের স্টাফরা। আর্থিক অনিয়মের জন্য দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সোহাগের সহযোগী হিসেবে কাজ করা প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন এবং অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমান ফুটবল ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সোহাগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অনেকেই হয়তো ভেবেছেন এ যাত্রায় বুঝি বেঁচে গেছেন। কিন্তু ঘাস কাটার মেশিন ক্রয়ে নতুন করে সোহাগ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন, অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর এবং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে ফিফা শোকজ নোটিশ পাঠানোর পর থমথমে বাফুফে ভবন।
এক্সিকিউটিভদের মধ্যে চাকরি হারানোর পুরোনো আতঙ্ক নতুন করে বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের সঙ্গে নতুন করে আরও কয়েকজনের নাম যোগ হতে পারে বলে বুধবার সমকালকে জানিয়েছেন বাফুফের বিশ্বস্ত একটি সূত্র। যেহেতু ফিফার নির্দেশনা আছে, তাই কয়েকদিনের মধ্যেই বাফুফেতে চূড়ান্ত শুদ্ধি অভিযান চালাতে পারেন ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
ফিফার নতুন চিঠিতে আরও বেকায়দায় সোহাগ। এখন আগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আইনি লড়াই চালানোর সঙ্গে নতুন শোকজের জবাব দিতে হাজিরা দিতে হবে জুরিখে। এই প্রসঙ্গে জানতে ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি সোহাগ। আগের তিনজনের সঙ্গে প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকেও এখন নতুন ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। ঘাস কাটার মেশিন ক্রয়ে যে অনিয়মের অভিযোগে চার কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে ফিফা, তাতে দায় এড়াতে পারেন না প্রকিউরমেন্ট কমিটির প্রধান আব্দুর রহিমও।
যদিও এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দিতে নারাজ তিনি। ফিফার ৫১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ওপর বাফুফের গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শেষ পর্যায়ে। এই কমিটির মুখোমুখি যারা হয়েছেন, তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। যাদের ডেকেছে, তাদের জবাবগুলো যদি তদন্ত কমিটির কাছে মনঃপূত না হয়, তাহলে চাকরিও হারাতে পারেন তারা। যদিও এর সবকিছুই নির্ভর করছে কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট এবং তার পর বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির ওপর।