ঢাকা রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বছরজুড়ে ট্রেনিং করেও এই ফল শুটিংয়ে!

বছরজুড়ে ট্রেনিং করেও এই ফল শুটিংয়ে!

ক্রীড়া প্রতিবেদক, হ্যাংঝু (চীন) থেকে

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৬:৩২

ইরানি কোচ আলি জায়েরের পেছনে ব্যয় হচ্ছে মাসে কয়েক হাজার ডলার। তার সঙ্গে দেশীয় কোচদের দিতে হচ্ছে বেতন। বছরব্যাপী শুটিং রেঞ্জে প্রস্তুতির মধ্যে থাকেন শুটাররা। নামিদামি কোচ এনে এবং সারা বছর ক্যাম্প করেও বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনার ইভেন্ট শুটিংয়ে আসছেন না সাফল্য। হ্যাংঝু এশিয়ান গেমসের ফুয়েং ইয়েনহোর স্পোর্টস সেন্টারের শুটিং রেঞ্জে আব্দুল্লাহ হেল বাকি-শাকিল আহমেদরা নিশানা ভেদে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাদের ব্যর্থতার গল্পগুলো এখন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত।

এবারের এশিয়াডে যে ইভেন্ট ঘিরে প্রত্যাশার পারদটা ছিল আকাশচুম্বী, সেই শুটিংয়ে সাফল্য তো দূরের কথা, পারফরম্যান্সের গ্রাফটা তলানিতে নেমেছে কামরুন নাহার কলি-নাফিসা তাবাসসুমদের। গতকাল ছেলেদের ৫০ মিটার থ্রি পজিশনে যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশা ছিল, সেই আব্দুল্লাহ হেল বাকি, রবিউল ইসলাম ও শোভন চৌধুরী প্রত্যাশার ধারেকাছেও যেতে পারেননি। ৫৭১.৩৪ স্কোর করা রবিউল ইসলাম বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা; তবে ৫৪ জনের মধ্যে হয়েছেন ৩৪তম। তাঁর থেকে ১ দশমিক ৩৪ স্কোর কম করা আব্দুল্লাহ হেল বাকি (৫৭০ স্কোর) হয়েছেন ৩৬তম। সবচেয়ে বেশি হতাশ করা শোভন চৌধুরী ৫৪৬.৪২ স্কোর করে হয়েছেন ৪২তম। ব্যক্তিগতের মতো দলীয় ইভেন্টেও তারা ব্যর্থ।

শুটিংয়ের অবনমনের গ্রাফটা এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, এশিয়াড তো দূরের কথা, ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জিততে পারেনি তারা। অথচ গুলশানের শুটিং রেঞ্জে সারা বছরই ট্রেনিং করেন আনজিলা আমজাদ-কামরুন নাহাররা। আর এশিয়ান গেমসের জন্য তো কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন শুটাররা। সেই প্রস্তুতির জন্য ফেডারেশন নিজেরা যেমন অর্থ খরচ করেছে, তেমনি করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও (বিওএ) আর্থিক সহযোগিতা করেছে। তবে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও শুটারদের পারফরম্যান্সে খুব একটা হতাশ নন বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। সাফল্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

×