- খেলা
- মাশরাফিকে নিয়ে চাপে বিসিবি
মাশরাফিকে নিয়ে চাপে বিসিবি

ছবি: ফাইল
মাশরাফি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন না। খেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি। অপেক্ষা করছেন জাতীয় দল নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের জন্য। বিসিবির কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে পাসের জন্য অপেক্ষা করছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
ভুল করলে বিসিবি কর্মকর্তাদের তোপ দাগাবেন মাশরাফির অনুসারীরা। গণমাধ্যমও তুলাধুনা করবে। আপাতদৃষ্টিতে মাশরাফির ইস্যু ছোট মনে হলেও বিশাল চাপ নিয়েই আজ বছরের প্রথম সভায় বসছেন বিসিবি পরিচালকরা।
বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন মাশরাফি। তার অবসর নিয়ে প্রচুর কথা হয়েছে। অবসর ইস্যুতে কথা বলতে মাশরাফির সঙ্গে বিসিবি থেকে যোগাযোগও করা হয়েছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফিকে ডেকে তার সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিলেন। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক অনেক ভেবেচিন্তে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান বিসিবি পরিচালনা পরিষদ বছরের প্রথম সভায় বসার দু'দিন আগে।
সাধারণত বছরের প্রথম সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুমোদন দেওয়া হয়। জাতীয় দলে খেলতে চাওয়ায় মাশরাফিকে রেখেই নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুমোদন করতে হবে বিসিবিকে।
বিসিবি কর্মকর্তারা এতদিন মাশরাফির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছিলেন। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা-না থাকার বিষয়টিও ছেড়ে দিয়েছিলেন মাশরাফির ওপর। যদিও বোর্ড থেকে কেউই মাশরাফির সঙ্গে ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলেননি। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানও মুখোমুখি হননি। এতে করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানাতে মাশরাফি মিডিয়াকেই বেছে নেন।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার ঢাকা প্লাটুনের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের ব্যাপারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। মাশরাফির সিদ্ধান্ত জানার পর চাপে পড়ে গেছেন বিসিবি কর্মকর্তারা। শনিবার একাধিক পরিচালক বলেছেন, 'বছরে এক দুটা ওয়ানডে খেলে চুক্তিতে থাকবে। পুরো বছরের বেতন নিয়ে যাবে। আর জাতীয় দলের একজন সাবেক ক্রিকেটার মৃত্যুর মুখে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান পাবেন।'
বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না। শুধু বললেন, 'মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, তার সঙ্গে বোর্ড কথা বলেনি। বিসিবি সভাপতি গত বছর জুন থেকেই তো কথা বলেছেন।' বিরক্তি বা ক্ষোভের উদয় হলেও জালাল ইউনুস অফিসিয়ালি আর কিছু বলতে চাননি। আকরাম খানও কেমন বিব্রত হচ্ছিলেন।
জাতীয় দলের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার বরাবরই মাশরাফির ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিসিবির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।পরিচালনা পর্ষদের আজকের সভায় অবশ্য বেশি গুরুত্ব পাবে জাতীয় দলের পাকিস্তান সফর করা না করার সিদ্ধান্ত। বিসিবি থেকে পিসিবিকে সর্বশেষ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে একটি টি২০ ও একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার। বাকি টেস্ট ও টি২০ হবে এক-দুই মাস পর। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও বলা হয়েছে, প্রথম দফায় সংক্ষিপ্ত সফর করতে।
সেদিক থেকে পিসিবি রাজি হলেই কেবল সিরিজ হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ হওয়ায় আইসিসি থেকেও কিছুটা চাপে আছে বিসিবি। আজকের সভায় এই পরিস্থিতিগুলো তুলে ধরবেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, এফটিপি সূচি, জাতীয় দলের বোলিং কোচের ইস্যুও তোলা হবে বোর্ডসভায়।
সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তির ফরম্যাটের বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে। জাতীয় দল নির্বাচকরা সাদা ও লাল বলে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ও পারফরম্যান্স অনুযায়ী চুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। সে কারণে ২০ থেকে ২৪ জনকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার পক্ষে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রস্তাবিত নিয়মে চুক্তি দেওয়া হলে, যে শুধু ওয়ানডে বা টি২০ খেলে তার বেতন কম হবে। তিন ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটার পাবে সবচেয়ে বেশি সম্মানী।
মন্তব্য করুন