প্রথমে এক-দুটি ম্যাচে গ্যালারি দর্শকশূন্য রাখা হয়েছিল, এরপর দর্শকের প্রবেশ বন্ধ করা হয় এক মাসের জন্য। তবে পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাওয়ায় এবার খেলাই বন্ধ করে দিয়েছে ইতালি। 

ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ ফুটবল লিগ সিরি-এ'সহ সব ধরনের খেলা আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত হওয়া চীনের পর ইতালিই প্রথম দেশ, যারা খেলাধুলার আয়োজন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্সের শীর্ষ ফুটবল আসর লিগ ওয়ানের সব খেলা 'ক্লোজড ডোর' করা হয়েছে, স্পেনে লা লিগায় দর্শক থাকবে না আগামী দুই সপ্তাহের ম্যাচগুলোতে।

ইতালিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও জাতীয় দল ও ক্লাব দলগুলো অন্যান্য দেশে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পারবে। খেলা বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তটি আসে সোমবার ইতালি অলিম্পিক কমিটির (কোনি) বৈঠকের পর। ইতালির সব খেলার ফেডারেশনকে নিয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে খেলা স্থগিতের সুপারিশ করা হয়। চীনের উহান থেকে উদ্ভূত বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের আক্রমণে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইতালি। 

মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে ৯ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, প্রাণ গেছে প্রায় পাঁচশ' জনের। সোমবার সব ধরনের খেলা বন্ধের ঘোষণার দু'দিন আগে ক্রীড়ামন্ত্রী ভিনসেনজো স্পাদাফোরা 'সিরি-এ'র খেলা চলা নিয়ে উষ্ফ্মা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ কোয়ারেন্টাইন থাকাবস্থায় ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়ার মানে হয় না। তবে ইতালির মাটিতে সব খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও দেশটির জাতীয় দল ও ক্লাব দলগুলো অন্য দেশে গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পারবে। আগামীকালই যেমন স্পেনের মাটিতে সেভিয়ার বিপক্ষে খেলবে এফসি রোমা। তবে স্পেনেও করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি হওয়ায় ম্যাচটি হবে 'ক্লোজড ডোর' অবস্থায়। এদিকে ফ্রান্সের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে দেশটির শীর্ষ ফুটবল আসর লিগ ওয়ানের সব খেলা দর্শকশূন্য অথবা সর্বোচ্চ এক হাজার দর্শকের মধ্যে সীমিত রাখা হবে। 

বুধবার প্যারিসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পিএসজি বনাম বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যকার ম্যাচটিও কোনো দর্শক গ্যালারিতে ঢুকে দেখতে পারবেন না।