২০১৫ ফিরিয়ে আনতে চান তামিম
ছবি: আইসিসি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২০ | ০৫:২৫
বাংলাদেশের ক্রিকেটে উত্থান-পতন ছিল। তিন ফরম্যাটেই ছিল। সেটা এখনও আছে। কিন্তু ২০১৫ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে ছিল বাংলাদেশ এক অন্য দল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে সাফল্যের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ওয়ানডে ফরম্যাটে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। এরপর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারায়। বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আবার ফিরিয়ে আনতে চান সেই সময়।
ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিশেষ করে ওয়ানডেতে ২০১৫ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর একটা বছর। আমাদের পারফরম্যান্সের সূচক কিছুটা উত্থান-পতনময়। অধিনায়ক হিসেবে আমি এটাকে উপরে তুলতে চাই। হয়তো ওই উত্থান-পতনই ভবিষ্যতেও কিছুটা থাকবে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা ধারাবাহিক হতে চাই।’
বাংলাদেশ ২০১৯ বিশ্বকাপে বড় প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিল। দারুণ দলও ছিল হাতে। প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তোলপাড় ফেলে দিলেও শেষটা ঠিক ভালো হয়নি দলের। নিচের দিক থেকে তিনে থেকে শেষ করে বিশ্বকাপ। আট ম্যাচ খেলে জয় পায় তিনটিতে। বিশ্বকাপের পরে ছয় ম্যাচ খেলে তিন হার, তিন জয় দলের। তাও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ।
এ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের ওয়ানডে ফরম্যাটে সঠিক পথে হাঁটতে হবে। এখন অবশ্য আমরা এই ফরম্যাটে খুব বেশি খেলছি না। কারণ এখন বেশি টি-২০ ম্যাচই হচ্ছে। তবে দল হিসেবে আমরা কি অর্জন করতে চাই সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। ২০১৫ সালে আমরা ভিন্ন এক দল ছিলাম। এখন আবার আমাদের হাতে অনেক তরুণ ক্রিকেটার। আমি নিশ্চিত আমাদের সবগুলো কাজ আমরা ঠিকঠাক করতে পারলে ২০১৫ সাল ফিরে না আসার কারণ নেই।’
তামিম আশা করছেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে তরুণরা এগিয়ে আসবেন। তার মতে, তরুণরা এগিয়ে আসলে এবং এই দল একটা বড় দলের বিপক্ষে ভালো জয় পেলেই আবার ঘুরে দাঁড়াবে, ‘আমাদের দলে এখন চার-পাঁচজন তরুণ ক্রিকেটার আছে। নাঈম, আফিফ, বিপ্লব ওরা নতুন। তাইজুর পাঁচ-ছয় বছর খেললেও ওয়ানডে ফরম্যাটে নতুন। একটা বড় জয় এই দলটাকে আত্মবিশ্বাস দেবে। যখন আমরা ম্যাচ জেতা শুরু করবে, আত্মবিশ্বাস এমনিতে বেড়ে যাবে।’
তামিম জানান, ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করাই তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাস ধরে ভারত এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়েছে টাইগাররা। তখন দলের আত্মবিশ্বাস ছিল ২৫০ রান করেও প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়ার। আবার ৩০০ রানও তাড়া করার। এই দলে ওই মানসিকতা ঢুকলেই আবার বড় দলকে হারানো শুরু করবে বলে বিশ্বাস তামিমের।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক তার ওপেনিং সঙ্গী লিটন দাসের মতো অন্য সতীর্থদের সাফল্য ক্ষুধা তৈরির কথাও বলেন, ‘লিটন দাস এখন অন্যরকম মনোভাব দেখাচ্ছে। তার মানসিকতা বদলে গেছে। এখন ৭০-৮০ রান করার পরও তার ক্ষুধা শেষ হয় না। রেকর্ড ভাঙা ১৭০ রান করার পরও সে আরও ভালো করতে চায়। আমি আশা করছি সবাই তার পথ অনুসরণ করবে। আমাদের সামনে আরেকটি উদাহরণ মুশফিকুর রহিম। খারাপ সময়ে তিনি খুবই পরিশ্রম করেন। তার মতো করে সবাই ভাবলে অধিনায়ক, কোচের কাজটা খুবই সহজ হয়ে যায়।’