- খেলা
- বেতন কম নেবেন না ইংলিশ ক্রিকেটাররা
বেতন কম নেবেন না ইংলিশ ক্রিকেটাররা

আসন্ন গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের মাটিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়ার কথা। আছে মাল্টি মিলিয়ন ডলারের টি১০ ক্রিকেট। কিন্তু করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে গেছে। ২৮ মে পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ক্রিকেট স্থগিত করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সেটা বাড়তেও পারে।
যদি কোনো কারণে এবারের গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে কোনো ক্রিকেট খেলা না হয় তাহলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন জানিয়েছেন, সে ক্ষতির পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে নানা দিক থেকে খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইসিবি। প্রধান নির্বাহীসহ বোর্ডের কর্মচারীদের বেতন কাটা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও প্রায় ২০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইসিবি। তবে প্রস্তাবে নাকি না বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। চলমান এ সংকট কাটিয়ে উঠতে গত মঙ্গলবার ৬১ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ হাতে নিয়েছে ইসিবি।
তবে বিশাল ক্ষতির চেয়েও এখন আলোচনায় মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন দুঃসময়ে ইংলিশ ক্রিকেটারদের বেতন কমানোর প্রস্তাবে নেতিবাচক মনোভাব। বেতন নিয়ে ইসিবি আলোচনা করবে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটারদের সংগঠন 'প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন' (পিসিএ) এর সঙ্গে। এরই মধ্যে পিসিএ প্রধান টনি আইরিশ বরাবর খেলা এক চিঠিতে ইসিবি প্রধান নির্বাহী বলেছেন, করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ক্রিকেটের ওপর।
এ সংকটের সময় তিনি নিজেও অন্তত তিন মাস ২৫ শতাংশ বেতন কম নেবেন। চিঠিতে হ্যারিসন লেখেন, 'বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকেই এই মহামারি বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। ক্রিকেটের ওপরও এর প্রভাব অত্যাবশ্যকভাবেই পড়ছে। সেটা কতটা তা এখনও পরিমাপ করা যায়নি। এটা অবশ্য পরিস্কার যে, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরো একটি ক্রিকেট মৌসুম হারিয়ে যাওয়াটা সত্যিই ভীষণ ভয়ানক।
ইসিবির এতে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হবে। এত বড় ক্ষতি কাটিয়ে ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখন আমাদের অগ্রাধিকার হলো এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা। প্রথমত আমাদের দেশের মানুষ, ক্রিকেটার, বোর্ডের কর্মচারীদের এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত আমাদের ক্রিকেট নেটওয়ার্কটাকে সচল রাখতে হবে।'
হ্যারিসনের প্রত্যাশা, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রিকেটাররা বেতন কমানোর প্রস্তাব মেনে নেবেন। পিসিএর পক্ষ থেকে এখনও চিঠির কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। তবে ইংলিশ মিডিয়া প্রত্যাশা করছে, বেতন কমানোর প্রস্তাবে রাজি নাও হতে পারেন ক্রিকেটাররা।
মন্তব্য করুন