ভারতীর ক্রিকেটের বর্তমান বড় নাম বিরাট কোহলি। ভারতকে তিনটি বড় শিরোপা জেতানা মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে জাতীয় দলে আসেন তিনি। ধোনি যেমন ভারতের ক্রিকেটকে অন্য ধাপে নিয়ে গেছেন। বিরাট কোহলি হয়ে উঠেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের অবিসংবাদী এক ব্যাটসম্যান এবং নেতা। অথচ এই কোহলিকে দলেই চাননি ধোনি।

ঘটনাটা ২০০৮ সালের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাচক দিলিপ ভেঙ্কসরকার এমনই দাবি করেছেন। তিনি দি নেশনকে বলেন, 'আমি এবং আমার সহকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে কিছু ক্রিকেটার তুলে আনবো। বিশেষ করে যারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। বিরাট কোহলি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। আমরা তাকে দলে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে টেকনিক্যালি নিঁখুত ছিল। দল যাচ্ছিল শ্রীলংকা সফরে। আমার মনে হয়েছিল, কোহলিকে দলে নেওয়ার এটাই সেরা সময়। আমার নির্বাচক প্যানেলের অন্যরাও সম্মতি দিয়েছিলেন।'

কিন্তু ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক এমএস ধোনি রাজী হননি। এমনকি ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া কোচ গ্যারি কারস্টেরও রাজী হননি। তাদের ভাষ্য ছিল, কোহলির ব্যাটিং আমরা দেখিনি। উত্তরে ভেঙ্কসরকার বলেছিলেন, তার ব্যাটিং আমি তো দেখেছি। তিনি জানান, কোহলিকে দলে আনার ওটাই ছিল সেরা সময়। কিন্তু অধিনায়ক-কোচের সাড়া পাননি তিনি। এমনকি ভারতীয় বোর্ড সভাপতি শ্রীনিবাসও ধোনি-কারস্টেনকে সমর্থন করেন।

ভেঙ্কসরকার জানান, শ্রীনিবাস এবং ধোনি সে সময় শুভ্রমানিয়ান বদ্রিনাথকে দলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ছেলেটা ভালো করছিল। তার দলে সুযোগ পাওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন বোর্ড সভাপতি এবং দলের অধিনায়ক। তিনি বলেন, শ্রীনিবাস কোহলিকে দলে নেওয়ার প্রস্তাবে খুশি ছিলেন না। তার মতে, বদ্রিনাথ দলে ডাক পাওয়ার দাবিদার।'            বিরাট কোহলির অবশ্য ২০০৮ সালেই জাতীয় দলে ওয়ানডে অভিষেক হয়।