করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে চলেছে। ক্রীড়া বাণিজ্যও এর বাইরে নয়। ফুটবল ক্লাবগুলো বড় ক্ষতির শঙ্কায় পড়ে গেছে। ক্ষতি কমাতে তারা করোনার মধ্যেই লিগ শুরুর চিন্তা করছে। আর্থিক দিক দিয়ে শক্তিশালী বার্সেলোনার মতো ক্লাব আর্থিক সংকটের চোখ রাঙানি দেখছে।

ক্রিকেট বিষয়ক ব্যবসাও এর বাইরে নয়। একের পর এক বাতিল হয়ে যাচ্ছে সিরিজ। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো আয়োজনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক অনটনে পড়তে যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের বেতন দিতে পারছে না।

এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড অক্টোবরের টি-২০ বিশ্বকাপ ও ঘরের মাঠে বছরের শেষে ভারত সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্বকাপ ও ভারত সিরিজ আয়োজন করতে পারলেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে তারা। বিশ্বকাপ ও ভারত সিরিজ বাতিল হলে চুপসে যাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক কাঠামো। দেশটির টেস্ট অধিনায়ক টিম পাইনের মতে, ভারত সিরিজ না হলে ৩০০ মিলিয়ন ডলার হারাবে তারা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বোর্ডের আর্থিক নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করছে ভারত সিরিজের ওপর। ডিসেম্বর-জানুয়ারির ওই সিরিজ খেলতে ভারত না আসতে পারলে আমরা ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার হারাবো। আমি আশা করছি তারা শেষ পর্যন্ত সিরিজটা খেলতে আসতে পারবে এবং তাহলেই আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

পাইন মনে করেন, আগে থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়। ভারতের ক্রিকেটারদের চার্টার্ড বিমানে করে অস্ট্রেলিয়া এনে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ম্যাচ আয়োজন করা হয় তাহলে সিরিজটা বাতিল হওয়ার কোন কারণ নেই।