তাদের অনেক মিল। দু'দলই সেমিতে উঠেছে শেষমুহূর্তের গোলে। উভয় ক্লাবের কোচ জার্মান, টুর্নামেন্টের নকআউটে ওঠা ষোলো দলের মধ্যে সবচেয়ে নবীন দলও এ দুটিই। আরেকটা বড় মিল হচ্ছে পিএসজি এবং আরবি লাইপজিগ- উভয়ের হেটার্স বেশি।

কম-বেশি সব ক্লাবেরই হেটার্স আছে; তবে একটি উপসাগরীয় দেশের (কাতার) ক্ষমতার প্রসার ও একটি এনার্জি ড্রিংকসের (রেড বুল) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইস্যু জড়িয়ে থাকায় পিএসজি-লাইপজিগের ক্ষেত্রে তা বেশিই ঘটে। কোয়ার্টার-কোচ-বয়স এবং হেটার্সের চেয়েও বড় মিল আপাতত অন্য এক জায়গায়।

কেউই তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেনি। অচেনা সেই ফাইনালের মঞ্চে উঠতে আজ লিসবনে মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স ও জার্মানির দুই ক্লাব পিএসজি-লাইপজিগ।

মাত্র ১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আরবি লাইপজিগ এবারই প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছে। রাউন্ড অব সিক্সটিনে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহাম হটস্পারকে ৪-০-তে হারানোর পর কোয়ার্টারে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছে ২-১-এ। দিয়েগো সিমিওনের দলের বিপক্ষে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পথে থাকলেও দলকে শেষমুহূর্তে সেমির টিকিট নিশ্চিত করে দেন টাইলার অ্যাডামস।

২০১৬ সালের আগে বুন্দেসলিগাতেও না থাকা লাইপজিগ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলছে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো। এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচ খেলে জয় আটটিতে, আর নকআউটে খেলা শেষ আট ম্যাচে জয় সাতটিতেই। ৩৩ বছর বয়সী কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের অধীনে খেলা দলটি ২০১৯-২০ মৌসুমের বুন্দেসলিগায় ৩৪ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে মাত্র ৪টিতে, হয়েছে তৃতীয়। বিপরীতে পিএসজি অবশ্য ফরাসি লিগের চ্যাম্পিয়ন। করোনার কারণে আগেভাগে বন্ধ হয়ে যাওয়া লিগে দ্বিতীয় স্থানধারীর চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা শিরোপা দেওয়া হয় কাতার রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ নাসের আল খেলাইফির দলটিকে।

গত কয়েক বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে চোখ করা পিএসজি এবারের সেমিতে উঠেছে কোয়ার্টারে আতালান্তাকে হারিয়ে। শেষমুহূর্তে গোল করে দলকে সেমিতে তুলে আনেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং। ব্যবধান- লাইপজিগের মতোই ২-১। আজকের সেমিফাইনালে অবশ্য এক নম্বর গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পাচ্ছে না পিএসজি। তার বদলে খেলবেন এ মৌসুমে মাত্র ৯ ম্যাচ খেলা স্প্যানিশ গোলরক্ষক সার্জিও রিকো। চোটের কারণে খেলবেন না মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তিও। তবে সাসপেনশনের কারণে সর্বশেষ ম্যাচ না খেলা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া আজ ফিরছেন। প্রথম একাদশে ফিরছেন চোট কাটিয়ে গত ম্যাচে বদলি খেলা কিলিয়ান এমবাপ্পেও। আক্রমণভাগে নেইমার তো আছেনই।