লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার ২৯ দিন পর নারায়ণগঞ্জের মো. রাশেদের লাশ বুধবার রাতে দেশে পৌঁছেছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে স্বজনরা তার লাশ গ্রহণ করে ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় নিয়ে আসেন। এ সময় তার বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সন্তানহারা বৃদ্ধ মা লুৎফুন্নেছা ছেলের কফিন ধরে বারবার মূর্ছা যান। পরে ওই দিন রাতেই জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে রাতেই রাশেদের বাড়ি যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। উপজেলা প্রশাসন থেকে শোকাহত পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন ইউএনও।

রাশেদ নন্দলালপুর এলাকার মৃত হাফিজুর রহমান ও লুৎফুন্নেছা বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন। ২০০৮ সালে মারা যান তার বাবা হাফিজুর রহমান। বড় ছেলে হিসেবে পিতৃহীন পরিবারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রাশেদ। ভাগ্য ফেরানোর আশায় ২০১৫ সালের ২২ জুন পাড়ি জমিয়েছিলেন লেবাননে। রাজধানী বৈরুতের ঝিমাইজি এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন রাশেদ। 

গত ৪ আগস্ট ওই রেস্তোরাঁ থেকে মাত্র ৪০০ গজ দূরে সংঘটিত ভয়াবহ বিস্ফোরণে রাশেদ নিহত হন। ঘটনার ৫ দিন পর স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে তার লাশ শনাক্ত করেন খালাতো ভাই জনি।