আবারও বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পরই কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ছাড়াও হয়েছে মানববন্ধন। এসব কিছু নিয়ে গতকাল হঠাৎই মিডিয়ার সামনে আসেন সালাউদ্দিন।

= নির্বাচনে চমক

চমকটা প্লেয়াররা দেখাবে, ফেডারেশনের নয়। ফেডারেশনের কাজটা হলো, যথোপযুক্ত কোচিং এনে দেওয়া, সুন্দর ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি করে দেওয়া এবং লিগ, ফেডারেশন কাপ এবং স্বাধীনতা কাপ আয়োজন করা।

= সমালোচনা নিয়ে

জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে। আমার নিজের ফেসবুক আইডি নেই, আমাকে নিয়ে কী হচ্ছে, তা জানি না। আমার অফিস থেকে এগুলো আমাকে বলা হয়। আমি বুঝেছি এই প্রচারণটা করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। আর আপনারা জানেন এই ফেসবুকে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা কোনো ব্যাপার না। তাই এটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না।

=পদত্যাগ প্রসঙ্গে

কারা বলে পদত্যাগ করতে, যারা ফুটবল খেলেনি? কারা বলে, রাস্তার মধ্যে একটা ছেলে এসে বলে পদত্যাগ করতে। আপনি আমাকে ক্লিয়ার করেন যে, ফুটবল খেলে এমন কোনো লোক আমাকে বলছে পদত্যাগ করতে। পাঁচ থেকে ছয়টা ফুটবল প্লেয়ার যারা আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে অবসর নিয়েছেন, তারা প্রতিটি টিভিতে ঘুরে ঘুরে একই বাক্যই বলেন। আপনি  বর্তমান খেলোয়াড়দের দিকে তাকান, তারা কিন্তু কিছু বলছে না। আর আপনারা তাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন না। আপনারা কিন্তু ঘুরেফিরে ওই পাঁচজনের কথাই প্রচার করছেন। এই পাঁচজন প্রতিবারই নির্বাচন করে ১২ ভোট কিংবা ২০ ভোট পায়। তাই এদের যদি এতই যোগ্যতা থাকত, তাহলে তো এখানেই আসত, টেলিভিশন নিয়ে পড়ে থাকত না।

= নির্বাচনকে হালকা করে দেখা

না আমি নির্বাচনকে হালকা করে দেখছি না। আমি তো তিনটা নির্বাচন করে এসেছি। আমার কাছে সব প্রতিপক্ষই সমান। আমি যখন ফুটবলার ছিলাম, তখন ছোট টিম কিংবা বড় টিম কোনো বিচার করতাম না। সবাইকে সমানভাবে দেখতাম। আপনাকে ছোট টিমের সঙ্গেও জিততে হবে, বড় টিমের সঙ্গেও জিততে হবে। তাই সব নির্বাচনও একই রকম।

= প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে মন্তব্য

আমি বাফুফের সভাপতি। তাই নির্বাচনে কারও বিরুদ্ধে আমার বলাটা উচিত হবে না। এটা রুচির বাইরে চলে যাবে। এটা আপনারা করবেন। আমার কাজ হলো ভোট চাওয়া, আর নির্বাচন করা। আর যে প্যানেল করেছি আমি মনে করি, যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের নিয়েই করেছি।