লক্ষ্ণৌতে আজ টিকে থাকার লড়াই
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:৫১ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১০:২৫
এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে ৯টি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। সেখান থেকে দু-একটা ম্যাচ হেরে গেলে সেটা পোষানো সম্ভব। কিন্তু ৩টি ম্যাচ হেরে গেলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। ঠিক এই পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। উভয় দলই প্রথম দুটি ম্যাচ হেরেছে। আজ লক্ষ্ণৌতে প্রথম জয়ের খোঁজে মুখোমুখি হবে তারা।
অনেকটা অলিখিত সেমিফাইনালে রূপ নিয়েছে আজকের ম্যাচটি। আজ যে দল হারবে, তারাই খাদের কিনারে চলে যাবে। আর ২ পয়েন্ট যারা পাবে, তাদের সেমির সম্ভাবনা বেশ ভালোভাবে জেগে উঠবে। এমন টিকে থাকার ম্যাচের আগে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন তিনি। তাঁর বদলে আজ খেলবেন চামিকা করুনারত্নে। নেতৃত্ব দেবেন কুশল মেন্ডিস।
ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে থাকা কুশলের ওপর নেতৃত্ব যদি কোনো চাপ তৈরি করে, তাহলে বিশাল ক্ষতি হবে শ্রীলঙ্কার। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে ৪২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কুশল। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৭ বলে ১২২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। দুই ম্যাচেই তাঁর কল্যাণে তিনশর ওপরে রান করেছিল শ্রীলঙ্কা।
মোদ্দাকথা, গত দুই ম্যাচ হারলেও কুশলের দাপটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ভালোই হয়েছে। তাদের ভোগাচ্ছে বোলিং। সাদামাটা বোলিংয়ের সুযোগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ৪২৮ রান তুলে নিয়েছিল। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪৪ রান করেও বাজে বোলিংয়ের জন্য হারতে হয়েছে। জিততে হলে আজ লঙ্কান স্পিনারদের অবশ্যই জাদু দেখাতে হবে। আর বিস্ফোরক ব্যাটিং অব্যাহত রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সমস্যা আবার ব্যাটিং। গত দুই ম্যাচে তারা দুশর গণ্ডিই পার হতে পারেনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৯ রানে অলআউট হয়েছে। গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩১১ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭৭ রানে গুটিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কেউ হাফ সেঞ্চুরিই করতে পারেননি। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বাজে ব্যাটিং গড় তাদের। অসি টপঅর্ডারের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মিচেল মার্শের। মারমুখী সূচনার আশায় তাঁকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হলেও গত দুই ম্যাচে চরম ব্যর্থ তিনি। তাঁকে অবশ্যই জ্বলে উঠতে হবে। সে সঙ্গে স্মিথ-ওয়ার্নারদেরও ভালো খেলতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া দলে অবশ্য কোনো পরিবর্তন আসছে না। আজও জশ ইংলিসই উইকেটকিপিং করবেন। লক্ষ্ণৌর পিচে টসে জিতলে আগে ব্যাটিং করতে চায় দলগুলো। সন্ধ্যার পর এখানে হালকা সুইং শুরু হয়। একটা সমীকরণে অবশ্য স্বস্তি পেতে পারে অসিরা। ১৯৯৬ সালের পর বিশ্বকাপে এই দু’দল সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। সাতবারই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজও কী সেই ধারাবাহিকতা দেখা যাবে? নাকি ইতিহাস বদলাবে?