আহমেদাবাদের লাখো সমর্থকের স্তব্ধতায় তৃপ্ত কামিন্স

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২:২৯ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২:৩৬
ভারতকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের মহারণে আহমেদাবাদের ১ লাখ ৩০ দর্শকদের নিশ্চুপ করে বিজয় উল্লাসে ভাসে তাসমান পাড়ের দেশটি।
বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, ‘দর্শক অবশ্যই একটি দলের জন্য তালি বাজাবে। কিন্তু খেলাধুলায় গ্যালারি ভরা দর্শকের পিনপতন নিরবতা দেখার মতো সুখ আর নেই। ফাইনালে আমাদের লক্ষ্য এটাই।’ আহমেদাবাদে সেটাই করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বিরাট কোহলিকে বোল্ড করে পুরো স্টেডিয়ামকে প্রথমে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। এরপর ম্যাচে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৬ষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ জিতে পুরো ভারতকে স্তব্ধ করে দিল অস্ট্রেলিয়া।
কোহলির সেই আউটই মধুরতম মুহূর্ত ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কামিন্স বলেন, ‘হ্যাঁ । এখানে কয়েক সেকেন্ড সময় লেগেছে দর্শকদের চুপ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি টের পেতে। মনে হচ্ছিল অন্যান্য দিনের মত তার (কোহলির) জন্য মঞ্চ একদম প্রস্তুত ছিল আরও একটি সেঞ্চুরি পাওয়ার জন্য। তবে বিষয়টি (দর্শকদের চুপ হয়ে যাওয়া) স্বস্তির ছিল।’
দর্শকদের চুপ করানো নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘এটি দারুণ ছিল। বোলিং ইনিংসের সময় বেশ কয়েকবার পুরো গ্যালারি নীরব হতে দেখে আমি খুব খুশি ছিলাম। কয়েকবার তারা অনেক চিৎকার করেছে এবং এটিই সত্যিই অনেক বেশি ছিল।’
যদিও ভারতীয় দর্শকদের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি এই পেসার, ‘তবে দর্শকরা দুর্দান্ত। ভারতে ক্রিকেটের জন্য থাকা এই প্যাশনের তুলনা নেই। পেছন ফিরে তাকালে এটি দারুণ মুহূর্ত। ফল যাই হোক না কেন, এমন একটি দিন আমরা ভুলব না।’
আহমেদাবাদের ফাইনালে সবই যেন ছিল কামিন্সদের পক্ষে। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কামিন্স। ভারত ব্যাট করতে নেমে ২৪০ রানে অলআউট হয়। তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের ঠেকিয়ে বিশ্বকাপ অর্জন, এটি কতটা কঠিন এমন প্রশ্নের জবাবে কামিন্স জানান, ‘বিষয়টি কঠিন কারণ আপনি দুনিয়ার সেরা দলগুলোর বিপক্ষে খেলছেন। এখানে সবাই একই জিনিসের জন্য লড়ে যাচ্ছে। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞতা আছে। সবাই দলের ভালোর কথাই চিন্তা করে যাচ্ছে। সবাই দলের জয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।’