পুরো ডকুমেন্ট হাতে নিয়েই পাতাজুড়ে এক্সক্লুসিভ সংবাদটা প্রচার করে স্পেনের জনপ্রিয় দৈনিক 'এল মুন্ডো'। ২০১৭ সালে সাবেক বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তামেউ আর লিওনেল মেসির টেবিলে সেই চুক্তির পাতা ছিল ২০ পৃষ্ঠার। বুঝতেই পারছেন, এত পৃষ্ঠার চুক্তিতে অর্থের ওজনটা কেমন হবে। সাধারণত চুক্তির মেয়াদকাল ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হলেও অর্থের পরিমাণ গোপন থাকে। কিন্তু এই গোপন বিষয়টিই সবার সামনে রোববার ফাঁস করে দিল এল মুন্ডো।

সেবার মেসির সঙ্গে বার্সা চার বছরের যে চুক্তি করেছিল, তার ওপর অঙ্কটা ছিল ৫৫৫,২৩৭,৬১৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যে চুক্তি ক্রীড়াঙ্গনের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। পাঁচ হাজার ৭০০ কোটির চুক্তি অনুযায়ী মেসির দৈনিক পারিশ্রমিক পড়ত তিন কোটি ৯০ হাজার টাকা। বছর গেলে পেতেন এক হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। আর এই চুক্তির সময় সম্মত হওয়ায় মেসিকে দেওয়া হয় এক হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। আনুগত্য বোনাস হিসেবে পান ৮০০ কোটি টাকাও। মুন্ডো বলছে, সব ধরনের ট্যাক্স দেওয়ার পর এই চুক্তি থেকে মেসি পেয়েছেন তিন হাজার ৫০ কোটি টাকার মতো।

এদিকে মেসির চুক্তি ফাঁস হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বার্সা। স্প্যানিশ দৈনিক মুন্ডোর বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে কাতালান ক্লাবটি। আর মেসির ব্যক্তিগত আইনজীবীও বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়েছেন। কেননা এভাবে পুরো চুক্তির বিষয় সবার সামনে তুলে ধরার কোনো এখতিয়ার নেই গণমাধ্যমের। চুক্তি যেহেতু একেবারে দু'পক্ষের মধ্যে হয়, তাই তৃতীয় কারও জানারও কথা নয়। কিন্তু কে জানাল মুন্ডোকে?

মেসির আইনজীবী বলছেন, চুক্তির বিষয়টি জানতেন কেবল চারজন। মেসি ছাড়া বাকিরা হলেন- সাবেক বার্সাপ্রধান জোসেফ মারিয়া বার্তামেউ, ওস্কার গাউ- যিনি চুক্তির পেপারসে সই করাতে মেসির মুখোমুখি হন আর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কার্লেস তুসকেট। তাহলে কি এই তিনজনের কেউ বিষয়টি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন! মূলত এমন সন্দেহ থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন মেসির আইনজীবী।