মিরপুর শেরে বাংলার উইকেট চোখ বুজে ব্যাটিং নেওয়ার মতো। প্রথমদিন রান তুলে এগিয়ে থাকারও। টস জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাই ভুল করেনি। ভুল করেনি ঢাকা টেস্টে প্রথমদিনের সুবিধা নিতেও। বাংলাদেশের স্পিন চোখ রাঙানি সামলে প্রথমদিন ৫ উইকেটে ২২৩ রান তুলেছে তারা।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া টেস্টে তিন নিয়মিত স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে না পারা কাজটা মিরপুরে স্পিন দিয়েই করতে চেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু ডানহাতি দুই স্পিনার মেহেদি মিরাজ এবং নাঈম হাসান উইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডারে দাঁতই বসাতে পারেননি।

অন্য স্পিনার তাইজুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ব্রেক থ্রু দিয়ে পিঠ বাঁচিয়েছেন। বাকি তিন উইকেট এসেছে মূল্যায়ন না পাওয়া পেস আক্রমণ থেকে। ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম সেশনে দারুণ শুরু করে। লাঞ্চের আগে হারায় মাত্র এক উইকেট। ওপেনিং জুটিতে জোহান ক্যাম্পবেল ও ক্রেগ ব্রাথওয়েট ৬৬ রান যোগ করেন।

তাইজুল ইসলাম ৩৬ রানে জোহান ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে ভাঙেন ভয়ঙ্কর হতে যাওয়া ওই জুটি। পরের তিন উইকেট তুলে নিয়ে আবু জায়েদ ও সৌম্য সরকার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। শুরুতে জায়েদ বোল্ড করে দেন তিনে নামা শাইনি ময়েসলিকে। তিনি স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করেন। এরপর ৪৭ রান করা ব্রাথওয়েটকে ফিরিয়ে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি দেন সৌম্য।

এরপরই চট্টগ্রাম টেস্টের নায়ক কাইল মায়ার্সকে ৫ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে সেই স্বস্তি পোক্ত করেন জায়েদ। কিন্তু দাঁড়িয়ে যায় এনক্রুমাহ বোনার ও জার্মেইন ব্লাকউড জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নেওয়া ওই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ২৮ রানে ব্লাকউডকে নিজের বলে দারুণ এক ক্যাচ ধরে ফেরান তিনি। তাদের জুটি থেকে আসে ৬২ রান।

শেষ বেলার গুরুত্বপূর্ণ ১৮ ওভার দারুণ দক্ষতায় পাড়ি দেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা বোনার ও চতুর্থ টেস্টের অভিজ্ঞতা নেওয়া জসুয়া ডি সিলভা। তারা যোগ করেন ৪৫ রান। চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ এক জুটি দেওয়া বোনার ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত জসুয়া ডি সিলভা দ্বিতীয়দিন ব্যাট করতে নামবেন।