বাংলাদেশ দলের তিন দিনের আইসোলেশন  বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে । বায়োসিকিউর বাবল প্রটোকল অনুযায়ী এদিন অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। 

শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার কঠোর অনুশীলনও করেছেন মুমিনুলরা। কলম্বোর নেগমবুয়ায় আরও দুই দিন থাকবে টাইগার বাহিনী। শুক্র ও শনি দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে কাতুনায়েকের সিএমসিজি মাঠে। ১৯ এপ্রিল যাবে টেস্ট ভেন্যু ক্যান্ডিতে। তার আগে যতটা সম্ভব স্থানীয় কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার লড়াই সাইফদের। যদিও সিরিজের আগে প্রস্তুতি নিয়ে অতটা চিন্তিত নন ক্রিকেটাররা। 

টেস্টের ওপেনিং ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান দলীয় প্রতিনিধি হয়ে বৃহস্পতিবার জানান, গত সাড়ে তিন মাসে লাল বলে ভালোই প্রস্তুতি হয়েছে তাদের। যেটা কাজে দেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের কারণ মনে করা হয় লাল বলের প্রস্তুতির ঘাটতিকে। করোনা মহামারির কারণে টাইগাররা প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নেমেছিল চার দিনের ম্যাচ না খেলেই। ক্রিকেটারদের ইনজুরিও সমস্যা ফেলেছিল দলকে। 

লঙ্কা সফরে সে ঘাটতি নেই বলেই দাবি সাইফের, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলা হয়েছে। আয়ারল্যান্ড 'এ' দলের বিপক্ষে ভালো একটি সিরিজ খেলা হয়েছে। এনসিএলের দুটি ম্যাচ খেলেছি। সব মিলিয়ে খুব ভালো প্রস্তুতি ছিল। আশা করি ওই পারফরম্যান্সগুলো এখানে কাজে লাগবে।' যদিও জাতীয় দল নিউজিল্যান্ড সফরে থাকায় টেস্ট স্কোয়াডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই লাল বলে খেলার সুযোগ পাননি। শ্রীলঙ্কায় যে পাঁচ দিন অনুশীলন রয়েছে সেটাই সম্বল হবে তামিমদের। 

দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সাইফ, 'আমাদের সামনে যে প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আর উইকেট কীরকম হতে পারে, এই ম্যাচ থেকে বুঝতে পারব। এ ছাড়া প্রতিটি প্র্যাকটিস সেশন আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।' 

সবচেয়ে বড় কথা, গত দেড় বছরে যেটা হয়নি লঙ্কা সফরে সেটা করে দেখাতে চায় টাইগার টেস্ট দল। দল হিসেবে ভালো করতে চান মুমিনুলরা।

আগামী ২১ এপ্রিল কান্ডির পাল্লেকেলেতে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। একই ভেন্যুতে ২৯ এপ্রিল শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।