ইউরোর ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে রেকর্ড করা জয় পেয়েছে ইতালি। শুক্রবার রাতে রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় ইউরোর উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে ইউরোর স্বাগতিকরা। ইউরোর ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে এটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

ইউরোর প্রথম ম্যাচে ইতালির করা তিনটি গোল এসেছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান চিরো ইম্মোবিলে ও লরেন্সো ইনসিনিয়ে।

২০১৮ সালে নেশন্স লিগে পর্তুগালের বিপক্ষে হারের পর আর কোনো ম্যাচে হারেনি ইতালি।

রাশিয়া বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার ছয় মাস পর ইতালি দলের কোচের দায়িত্ব পান রবের্তো মানচিনি। তার কোচিংয়ে ইতালির জয় এসেছে টানা ২৮ ম্যাচে।

এমন এক অজেয় দলের বিপক্ষে প্রথমার্ধ রক্ষণাত্মক খেলে তুরস্ক। একচেটিয়া আক্রমণ করে যাওয়া ইতালি বিরতির আগেই গোলের উদ্দেশে নেয় ১৪টি শট, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু তুরস্কের রক্ষণ ভেদ করতে পারেননি তারা।

ইতালির প্রথম সুযোগটা আসে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। তবে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট কোনাকুনি শট নেন ইনসিনিয়ে। ছয় মিনিট পর এই ফরোয়ার্ডের কর্নারে জর্জো কিয়েল্লিনির হেড লাফিয়ে ঠেকান তুরস্কের গোলরক্ষক।

বিরতির খানিক আগে তুরস্কের ডি-বক্সে তাদের মিডফিল্ডার ওকাই ওয়োকুসলুর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে ইতালি। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে ইতালির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ভাঙে তুরস্কের প্রতিরোধ। তাদের ভুলেই গোল পায় এগিয়ে যায় ইতালি। শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকা দমিনিকো বেরার্দি ডি-বক্সে ঢুকে ডান দিক দিয়ে সতীর্থের উদ্দেশে ক্রস বাড়ান। তবে গোলমুখে ডিফেন্ডার দেমিরালের শরীরে লেগে বল যায় গোললাইন পেরিয়ে।

পরের চার মিনিটে আরও দুইবার তুরস্কের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়ায় তারা। লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলার শটে বল প্রতিপক্ষের এক পায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। খানিক পর মানুয়েল লোকাতেল্লির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক উরজান চাকির।

চাপ ধরে রেখে ৬৬তম মিনিটে ইতালি ব্যবধান দ্বিগুণ করে। বেরার্দির বাড়ানো বল ধরে স্পিনাজ্জোলার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক। বিনা বাধায় আলতো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন লাৎসিও ফরোয়ার্ড ইম্মোবিলে।

আর ৭৯তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান বাড়ান ইনসিনিয়ে। ডান দিক থেকে গড়ে ওঠা আক্রমণে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে কোনাকুনি জোরালো শটে বল জালে পাঠান তিনি।