নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল চেক রিপাবলিক। ম্যাথিয়াস ডি লিট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ডাচদের ২-০ গোলে হারায় জারোস্লাভ সিলহাভির শিষ্যরা। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী শনিবার ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে চেক রিপাবলিক।

কাগজে-কলমে চেক রিপাবলিকের চেয়ে এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু মাঠের খেলায় তার ছিঁটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি ডাচরা। উল্টো চেক ফুটবলারদের আক্রমণে খেই হারিয়ে ফেলেছিল মেম্ম্ফিস ডিপাইরা। ম্যাচে ডাচদের গোলপোস্টে ৫টি শট নিয়েছে চেক রিপাবলিক। বিপরীতে একটি শটও নিতে পারেনি নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা। কোন আধিপত্যই দেখাতে পারেনি ডাচরা।

এদিন প্রথমার্ধের শুরুটা ভালোই করেছিল ডাচরা। একের পর এক আক্রমণে চেক গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিয়েছে ডাচরা। এরপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে  চেকরাও। ম্যাচের ৩৮ মিনিটেই নিশ্চিত গোলের সুযোগ ছিল আন্তোনিন বারাকের। কিন্তু দুর্দান্তভাবে তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে পার করে দেন ডি লিট। প্রথমার্ধে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে ডাচ ডিফেন্ডার ম্যাথুস ডি লিটকে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। ১০ জনের দলে পরিণত হয় নেদারল্যান্ডস। এরপর ম্যাচের লাগামটাও হারায় তারা।

৬৮ মিনিটে ম্যাচের ১ম গোলটা করেন হোলস। এগিয়ে যায় চেক রিপাবলিক। ৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে চেকরা। ডাচদের জালে আরও একবার বল পাঠান চেক ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক শিয়েক। লিড হয় ২-০।

সেই লিড ধরে রেখেই ম্যাচ শেষ করে চেক রিপাবলিক। ফলে ডি ইয়াং- মেম্ফিস ডিপেদের ইউরো যাত্রার ইতি টানতে হচ্ছে এখানেই।

সর্বশেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই জিতেছে চেক রিপাবলিক। তার মধ্যে ২০০৮ সালের ইউরোর ম্যাচও রয়েছে। সেবার ৩-২ গোলে জিতেছিল চেকরা। এবার জয় ২-০ গোলে।