- খেলা
- অসিদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে টাইগাররা
অসিদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে টাইগাররা

বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন, দুই দলের জন্য পুরো একটি হোটেল রিজার্ভ করা, বায়োসিকিউর বাবলের কড়াকড়ি- ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সব চাওয়াই পূরণ করেছে বিসিবি। এত এত সুবিধা দিয়ে অসিদের আনার একটাই উদ্দেশ্য- সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ দলকে ভালো ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া। বিসিবির এই উদ্যোগে দেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে উঁকি দিতে শুরু করেছে টাইগারদের জয়ের স্বপ্ন। সবাই হয়তো আশা করে আছেন, লকডাউনে পানসে হয়ে যাওয়া দিনে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেবেন মাহমুদুল্লাহরা। জুম ক্লাস আর
ইউটিউবের বাঁধাধরা জীবন থেকে বের হয়ে ছেলেমেয়েগুলো টিভির পর্দায় চোখ রাখবে প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে। করোনায় প্রতিদিন কত হাজার আক্রান্ত হলো, আর কতজন জীবন হারাল- পত্রিকার পাতায় এই খবরের পাশে অন্তত শিরোনাম হবে অসি-বধের গল্প নিয়ে। করোনাকালে মানুষের প্রত্যাশার এই দাবি মেটাতে চান মাহমুদুল্লাহরাও। অসিদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলে জিততে চান পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজ। কারণ করোনার এই কঠিন সময়ে হাসতে চান তারাও।
স্বাভাবিক সময়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজগুলো কতই না জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করেছে বিসিবি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকত দর্শকে। স্টেডিয়ামের সামনেও টিকিট জোগাড় করতে না পারা মানুষের ভিড় লেগে থাকত। দুই দলের অধিনায়ক ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন করতেন ভরা সম্মেলন কক্ষে। মহামারির বাস্তবতা মেনে বছরখানেক আগে ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও পুরোনো সেই উন্মাদনা ফেরেনি। বায়োসিকিউর বাবলের কড়াকড়িতে ম্যাচ খেলতে নামা ক্রিকেটাররা সরাসরি দর্শকদেরও দেখেন না, দর্শকরাও দেখেন না তাদের। আর সংবাদ সম্মেলন তো সেই কবে থেকেই ভার্চুয়াল। গতকাল সেই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে টাইগার অধিনায়ক আজ থেকে অনুষ্ঠেয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা শোনালেন, 'বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি, এটা বড় সুযোগ স্কিল দেখানোর। এই সিরিজটি জিততে পারলে আমাদের মনোবল আরও বেড়ে যাবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই দলকে হারাতে প্রথম বল থেকেই সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের।'
করোনাকালে বায়ো-বাবলে টাইগাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে জানুয়ারি থেকে। দেশে দুটি ও বিদেশে তিনটি সিরিজ খেলা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেট সিরিজ জিতলেও দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইওয়াশ হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দুই সংস্করণই বাজে গেছে। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও সিরিজ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। অবশ্য জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ সুপার লিগের তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১-এ জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে তিন সংস্করণেই ভালো ক্রিকেট খেলেছে দল। টি২০ সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহরা। জয়ের ছন্দ নিয়ে আট দিনের ব্যবধানে আরেকটি টি২০ সিরিজ খেলতে নামছেন তারা। প্রতিপক্ষ বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। তিন সংস্করণেই ভালো খেলে তারা। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজে চোট পাওয়ায় অসিদের নতুন টি২০ অধিনায়ক করা হয়েছে ম্যাথু ওয়েডকে। তার নেতৃত্বে ঢাকায়ও মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আশাবাদী সফরকারীরা। ক্রিকেটের এ খুদে সংস্করণে উইন্ডিজের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরে গেলেও বিশ্বকাপ সুপার লিগের তিন ম্যাচ একদিনের সিরিজটি ২-১-এ জিতেছে তারা। সেদিক থেকে জয়ের ছন্দে আছে অস্ট্রেলিয়াও। অবশ্য বার্বাডোজের মতো মিরপুরে খেলা অতটা সহজ হবে না। বাংলাদেশের কন্ডিশন এশিয়ার বাইরের দলগুলোর জন্য সব সময় চ্যালেঞ্জিং। স্পিনারদের জন্য সুবিধা থাকে বেশি। মিরপুরে টার্নিং উইকেট করা হলে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকবেন সাকিবরাই। যদিও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, বিশ্বকাপ মাথায় রেখে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চান। মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডের মতো ফাস্ট বোলার প্রতিপক্ষ দলে থাকায় স্পোর্টিং উইকেটে খেলার ঝুঁকি নাও নিতে পারে বিসিবি। মিচেল স্টার্ক দুর্দান্ত একজন বোলার। ৩৯টি টি২০ খেলে ৪৮ উইকেট শিকার তার। আর এক উইকেট পেলেই এককভাবে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হবেন তিনি। শেন ওয়াটসনের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে এই অসি পেসারকে থামানোর পরিকল্পনা টাইগার শিবিরেও রয়েছে। অসিদের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় প্রথম সিরিজে স্বাগতিকদের প্রেরণা জোগাচ্ছে দেশের মাটিতে খেলা। হোমে এক দশক ধরেই ভালো দল বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহও সে সুনাম ধরে রাখতে চান, 'আমাদের দলের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যও সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, ঘরের মাটিতে আমরা বেশ ভালো একটা দল। চেষ্টা করব আরও একবার সেটা যেন প্রমাণ করতে পারি।'
সাত-আটজন নিয়মিত ক্রিকেটারকে ছাড়াই টি২০ সিরিজটি খেলছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশকেও তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসকে ছাড়া খেলতে হচ্ছে। সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকারকে খেলতে হচ্ছে কুঁচকির চোট পরিচর্যা করে। তাই জিম্বাবুয়ের মতো অসিদের বিপক্ষেও তরুণদের ওপরই নির্ভর করতে হবে মাহমুদুল্লাহকে। অধিনায়কের বিশ্বাস, তরুণরা স্কিল দেখিয়ে নামের প্রতি সুবিচার করে অসিদের বিপক্ষে টি২০তে প্রথম জয় এনে দেবেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে চারটি টি২০ ম্যাচ খেলে সবক'টিতেই হেরেছে। নামের পাশে এবার জয় লেখানোর সুযোগ।
ইউটিউবের বাঁধাধরা জীবন থেকে বের হয়ে ছেলেমেয়েগুলো টিভির পর্দায় চোখ রাখবে প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে। করোনায় প্রতিদিন কত হাজার আক্রান্ত হলো, আর কতজন জীবন হারাল- পত্রিকার পাতায় এই খবরের পাশে অন্তত শিরোনাম হবে অসি-বধের গল্প নিয়ে। করোনাকালে মানুষের প্রত্যাশার এই দাবি মেটাতে চান মাহমুদুল্লাহরাও। অসিদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলে জিততে চান পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজ। কারণ করোনার এই কঠিন সময়ে হাসতে চান তারাও।
স্বাভাবিক সময়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজগুলো কতই না জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করেছে বিসিবি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকত দর্শকে। স্টেডিয়ামের সামনেও টিকিট জোগাড় করতে না পারা মানুষের ভিড় লেগে থাকত। দুই দলের অধিনায়ক ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন করতেন ভরা সম্মেলন কক্ষে। মহামারির বাস্তবতা মেনে বছরখানেক আগে ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও পুরোনো সেই উন্মাদনা ফেরেনি। বায়োসিকিউর বাবলের কড়াকড়িতে ম্যাচ খেলতে নামা ক্রিকেটাররা সরাসরি দর্শকদেরও দেখেন না, দর্শকরাও দেখেন না তাদের। আর সংবাদ সম্মেলন তো সেই কবে থেকেই ভার্চুয়াল। গতকাল সেই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে টাইগার অধিনায়ক আজ থেকে অনুষ্ঠেয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা শোনালেন, 'বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি, এটা বড় সুযোগ স্কিল দেখানোর। এই সিরিজটি জিততে পারলে আমাদের মনোবল আরও বেড়ে যাবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই দলকে হারাতে প্রথম বল থেকেই সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের।'
করোনাকালে বায়ো-বাবলে টাইগাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে জানুয়ারি থেকে। দেশে দুটি ও বিদেশে তিনটি সিরিজ খেলা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেট সিরিজ জিতলেও দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইওয়াশ হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দুই সংস্করণই বাজে গেছে। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও সিরিজ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। অবশ্য জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ সুপার লিগের তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১-এ জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে তিন সংস্করণেই ভালো ক্রিকেট খেলেছে দল। টি২০ সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহরা। জয়ের ছন্দ নিয়ে আট দিনের ব্যবধানে আরেকটি টি২০ সিরিজ খেলতে নামছেন তারা। প্রতিপক্ষ বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। তিন সংস্করণেই ভালো খেলে তারা। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজে চোট পাওয়ায় অসিদের নতুন টি২০ অধিনায়ক করা হয়েছে ম্যাথু ওয়েডকে। তার নেতৃত্বে ঢাকায়ও মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আশাবাদী সফরকারীরা। ক্রিকেটের এ খুদে সংস্করণে উইন্ডিজের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরে গেলেও বিশ্বকাপ সুপার লিগের তিন ম্যাচ একদিনের সিরিজটি ২-১-এ জিতেছে তারা। সেদিক থেকে জয়ের ছন্দে আছে অস্ট্রেলিয়াও। অবশ্য বার্বাডোজের মতো মিরপুরে খেলা অতটা সহজ হবে না। বাংলাদেশের কন্ডিশন এশিয়ার বাইরের দলগুলোর জন্য সব সময় চ্যালেঞ্জিং। স্পিনারদের জন্য সুবিধা থাকে বেশি। মিরপুরে টার্নিং উইকেট করা হলে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকবেন সাকিবরাই। যদিও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, বিশ্বকাপ মাথায় রেখে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চান। মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডের মতো ফাস্ট বোলার প্রতিপক্ষ দলে থাকায় স্পোর্টিং উইকেটে খেলার ঝুঁকি নাও নিতে পারে বিসিবি। মিচেল স্টার্ক দুর্দান্ত একজন বোলার। ৩৯টি টি২০ খেলে ৪৮ উইকেট শিকার তার। আর এক উইকেট পেলেই এককভাবে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হবেন তিনি। শেন ওয়াটসনের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে এই অসি পেসারকে থামানোর পরিকল্পনা টাইগার শিবিরেও রয়েছে। অসিদের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় প্রথম সিরিজে স্বাগতিকদের প্রেরণা জোগাচ্ছে দেশের মাটিতে খেলা। হোমে এক দশক ধরেই ভালো দল বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহও সে সুনাম ধরে রাখতে চান, 'আমাদের দলের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যও সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, ঘরের মাটিতে আমরা বেশ ভালো একটা দল। চেষ্টা করব আরও একবার সেটা যেন প্রমাণ করতে পারি।'
সাত-আটজন নিয়মিত ক্রিকেটারকে ছাড়াই টি২০ সিরিজটি খেলছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশকেও তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসকে ছাড়া খেলতে হচ্ছে। সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকারকে খেলতে হচ্ছে কুঁচকির চোট পরিচর্যা করে। তাই জিম্বাবুয়ের মতো অসিদের বিপক্ষেও তরুণদের ওপরই নির্ভর করতে হবে মাহমুদুল্লাহকে। অধিনায়কের বিশ্বাস, তরুণরা স্কিল দেখিয়ে নামের প্রতি সুবিচার করে অসিদের বিপক্ষে টি২০তে প্রথম জয় এনে দেবেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে চারটি টি২০ ম্যাচ খেলে সবক'টিতেই হেরেছে। নামের পাশে এবার জয় লেখানোর সুযোগ।
মন্তব্য করুন