কুইন্টন ডি ককের আচরণে ভীষণ অবাক হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। অধিনায়ক হিসেবে তার দিনটা ভীষণ কঠিন ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু বাভুমা নন, তারকা এই ব্যাটারের এমন আচরণে অনেকেই হতবাক হয়েছেন। বোর্ডের নির্দেশনা মেনে হাঁটু গেড়ে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলনের সঙ্গে ডি ককের সংহতি প্রকাশে অপারগতায় আরও একটি প্রশ্ন উঠে গেছে। ডি কক কি আসলেই বর্ণবাদী?

গত বছর নভেম্বর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। গত মঙ্গলবার উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, বিশ্বকাপে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানাতে হবে। কিন্তু ডি কক বোর্ডের এই নির্দেশনা মেনে খেলতে রাজি হননি।

উইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন বাভুমা, 'এই খবরে আমরা সবাই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলাম। কখনও ভাবিনি অধিনায়ক হিসেবে এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্যই কুইন্টন অনেক বড় খেলোয়াড়। কেবল তারকা ব্যাটার হিসেবেই নয়, একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে সে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।'

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার। সে জন্যই এ আন্দোলনে তাদের একাত্মতা প্রকাশে জোরালো ভূমিকা নেওয়া আরও জরুরি। কিন্তু সেই দেশের একজন কিনা এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন না! যার মানে দাঁড়ায়, সেখানে এখনও বর্ণবাদ বেশ ভালোভাবেই বিদ্যমান। বছরের শুরুতে ডি ককের বদলে টেম্বা বাভুমাকে সাদা বলের ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয়। তিনি হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক।

হোটেল থেকে মাঠে আসার সময় বাসে নাকি ডি ককের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন বাভুমা। অবাক হলেও ডি ককের পাশেই আছেন অধিনায়ক, 'ডি কক একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমি যতদূর জানি, সে এখনও দলের খেলোয়াড়। তাকে যে কোনো ধরনের সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত। আমরা তার পাশে আছি।'