প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। পরে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে কোনমতে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেন মাহমুদউল্লাহরা। যদিও সুপার টুয়েলভে একটিও ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশে। গ্রুপের পাঁচটি ম্যাচেই হারের স্বাদ পায় টাইগাররা। শেষ ম্যাচে অজিদের বিপক্ষেও পাত্তা পায় নি বাংলাদেশ। একরাশ লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিকদের।

প্রতিবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে দেশে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের এই বড় মঞ্চে টাইগারদের বড় সাফল্য সেই ২০০৭ সালে। সেবার মূলপর্বে একটি ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। ১৪ বছর ধরেই পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ।

এবারের বিশ্বকাপে বড় মুখ নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে তুমুল আত্নবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই হতশ্রী পারফরম্যান্স উপহার দেয় টিম টাইগাররা। কোনমতে সুপার টুয়েলভে উঠে যেন আরো খেই হারিয়ে ফেলেছে তারা। শরীরী ভাষায় বাংলাদেশের কোন তেজ ছিল না সুপার টুয়েলভে। এ যেন হারের আগেই হেরে যেত মাহমুদউল্লাহরা।

কিন্তু এত ভালো প্রস্তুতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ কেন এভাবে ধুঁকলো? সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহর কাছেও ছিল না এসবের কোন ভালো উত্তর। বাংলাদেশের এমন ব্যর্থতার কারণ জানেননা অধিনায়ক নিজেও। 

মাঠের মত সংবাদ সম্মেলনেও করলেন অসহায় আত্মসমর্পণ। মাহমুদউল্লাহ জানান, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনো আমরা নিজেদের পায়ের নিচে মাটি খুঁজছি। সম্ভবত আমরা ঘরের মাটিতে ভালো করছি কিন্তু দেশের বাইরে আমরা নিজেরা নিজেদের অবস্থান দেখেছি। আমরা বুঝতে পারছি ব্যবধান। টপ টিমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গেলে আমাদের কোথায় উন্নতি করতে হবে সেটাও বুঝতে পারছি। অনেক অনেক উন্নতির প্রয়োজন।'

এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে জিততে হেরে গেছে। সেই আক্ষেপেও পুড়লেন অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ জানালেন, 'আমরা একসঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি, প্রত্যেকের মত চেয়েছি, জানতে চেয়েছি কেন পারছি না পারফরম্যান্স করতে। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটা ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে বাজে পারফরম্যান্স করেছি। দলগতভাবে এটা হতাশার। আমি নিজেও সেই উত্তরগুলো জানি না। এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছি।'