ঢাকা টেস্ট বৃষ্টির কবলে ছিল প্রথম তিন দিন। বৃষ্টির বাধায় তৃতীয় দিন শেষে মাত্র ৬৩.২ ওভার খেলা হয়েছে। প্রথম দিনে ৫৭ ওভার খেলা হয়েছিল। গত দুইদিনে মাত্র ৬.২ ওভার খেলা হয়েছে। চতুর্থ দিন সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মাঠ ভেজা থাকায় খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে। সকাল ১০টা ৫০মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা। সারাদিনে হবে ৮৬ ওভার। 

দিনের দশম বলেই উইকেট নেন ডানহাতি পেসার এবাদত। উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন অভিজ্ঞ ব্যাটার আজহার আলিকে। পাক ওপেনার সাজঘরে ফিরেন ৫৬ রানে। আজহারের আউটে ভেঙে যায় ১২৩ রানের জুটি। 

দলীয় ১৯৭ রানে বাবর আজমকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান খালেদ আহমেদ। নিঃসন্দেহে তার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে উইকেটটি। ২০১৮ সালে অভিষেক হওয়ার পর জাতীয় দলে অনিয়মিত পেসার খালেদ নিজের তৃতীয় টেস্টে এসে প্রথম উইকেটের দেখা পান। সেটাও আবার টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট রাঙান তিনি। ভেতরে ঢোকা বলটি কিছুটা নিচু হয়েছিল। প্যাডে লাগার পর আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে দেন আউটের সিদ্ধান্ত। রিভিউ নিয়েছিলেন বাবর। তাতে কাজ হয়নি। বাবর সাজঘরে ফেরেন ৭৬ রানে। তার ১২৬ বলের ইনিংসে চার ৯টি ও ছয় ১টি।

৭৩তম ওভারে এবাদতের শেষ বলটি ফাওয়াদ আলমের ব্যাট ছুঁয়ে যায় লিটনের গ্লাভসে। তবে বুঝতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। আপিল না করায় তার উইকেট পেল না বাংলাদেশ। বেঁচে যান ফাওয়াদ আলম।

এবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ঠিকমতো খেলতে পারেননি ফাওয়াদ। ব্যাটের পাশ ঘেঁষে বল যায় কিপারের গ্লাভসে। কোনো আবেদন হয়নি। একটু পর টিভি রিপ্লেতে আল্ট্রা এজে দেখা যায়, ব্যাটে হালকা লেগেছিল বল। ফাওয়াদ তাই বেঁচে যান ১২ রানে।

৮০ ওভার শেষ হতেই দ্বিতীয় নতুল বল নেয় বাংলাদেশ। নতুন বলে আক্রমণ শুরু করেন এবাদত। প্রথম সেশনে ১৯.৪ ওভার খেলা হয়েছে। ২ উইকেটে ৫৪ রান তুলেছে পাকিস্তান।

পরপর দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম। ৯৪তম ওভারে তাইজুলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন রিজওয়ান। চারটি চার ও এক ছয়ে ৮৬ বলে অর্ধশতক তুলেন তিনি। 

রিজওয়ানের পর ফাওয়াদের ফিফটিতে ৩০০ পূর্ণ করে পাকিস্তান। এরপরেই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারী দল। চতুর্থ দিন দেড় সেশন ব্যাটিং করে ২ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান যোগ করে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন বাবর। রিজওয়ান ৫৩ ও ফাওয়াদ ৫০ রানে অপরাজিত আছেন।