টি-২০র পর ওয়ানডেতেও নেতৃত্ব হারালেন বিরাট কোহলি। তবে টি২০ নেতৃত্ব তিনি নিজে ঘোষণা দিয়ে ছেড়েছিলেন। টি২০ বিশ্বকাপের পর তিনি যে আর এই ফরম্যাটে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন না; সেটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিশাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ানডের বেলায় তেমনটি হলো না। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, জোর করে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কোহলিকে।

গত বুধবার অনেকটা আচমকাই ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার নাম ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ফলে সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই এখন ভারতের নেতা রোহিত। কোহলির নেতৃত্ব টিকে রইল কেবল টেস্টে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, ওয়ানডে নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না কোহলি। ঘরের মাঠে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তারকা এ ক্রিকেটার। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময় পার হতেই নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার নাম ঘোষণা করে দেয় বিসিসিআই। এই ঘোষণা দেওয়ার আগে নাকি কোহলিকে জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি বোর্ড।

এভাবে কড়া অবস্থানে গিয়ে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনের কারণগুলো নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সেসব সূত্রে জানা গেছে, কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে দলের ভেতরে বারবারই প্রশ্ন উঠছিল। সিনিয়র খেলোয়াড়দের অধিকাংশই তার বিরুদ্ধে বলে জানা গেছে। ঠিক এক বছর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হেরেছিল ভারত। এরপর ছুটি নিয়ে কোহলি দেশে ফিরে আসার পর আজিঙ্কা রাহানের দুর্দান্ত নেতৃত্বে সিরিজ জিতে ফিরেছিল ভারত। ওই সিরিজে রবিচন্দ্র অশ্বিন থেকে ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো জুনিয়ররাও ঠারেঠোরে বোর্ডকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, ড্রেসিংরুমে কোহলি না থাকায় একাট্টা হয়ে দল হিসেবে পারফর্ম করতে পেরেছিলেন তারা।

সম্প্রতি টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের ভরাডুবির পেছনেও কোহলির সঙ্গে সিনিয়রদের ঠান্ডা লড়াইকে দায়ী করেছেন। বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে অনেকটা একক সিদ্ধান্তে অশ্বিনকে খেলাননি কোহলি। আর ওই দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘটেছিল ভারতের। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আগে দলের ভেতরের সব চোরাস্রোত বন্ধ করে দিতে চাইছেন। আর বিশ্বকাপের আগে দল গুছিয়ে নিতে নতুন অধিনায়ককে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াটাকে প্রয়োজন মনে করছেন সৌরভ গাঙ্গুলী-জয় শাহরা।