- খেলা
- ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে সৌম্য সরকার
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে সৌম্য সরকার

বিসিএলে সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন শুভাগত হোম- বিসিবি
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে রয়েছেন সৌম্য সরকার। টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া এই বাঁহাতি জাতীয় লিগ দিয়ে রানে ফেরেন। আর বিসিএলে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে গতকাল তার অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংসের সুবাদে চট্টগ্রামে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৯৩ রান করেছে মধ্যাঞ্চল। রাজশাহীতে অন্য ম্যাচে শফিকুল ইসলাম ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ১৬৬ রানে অলআউট করে দিয়েছেন পূর্বাঞ্চলকে। জবাবে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৭১ রান তুলে নিয়েছে উত্তরাঞ্চল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে নাসুমকে দিয়ে বোলিং আক্রমণের সূচনা করে দক্ষিণাঞ্চল। মাত্র ২৩ রানের মধ্যে মধ্যাঞ্চলের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুনকে বোল্ড করে দিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এর মধ্যে মিজানুর তাকে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে স্টাম্প খোয়ান। মিঠুন তার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন। এরপর সৌম্য ও সালমান প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
এর মধ্যে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দু'জনই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। তাদের ১৪৪ রানের জুটিটি ভাঙেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে কোনো দল লেগস্পিনার না নেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড সভাপতি বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। সে কারণেই হয়তো এ রাউন্ডে রিশাদকে দেখা যাচ্ছে। দারুণ এক ডেলিভারিতে ৭০ রান করা সালমানকে বোল্ড করে লেগস্পিনার খেলানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন রিশাদ। পরের ওভারে তাইবুর পারভেজকেও এলবির ফাঁদে ফেলেন রিশাদ। দিনের বাকি সময়টা শুভাগত হোমকে নিয়ে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি সৌম্য।
পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্নভাবে ১১৬ রান যোগ করে দলকে তিনশর কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছেন তারা। ২০৫ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন সৌম্য। প্রথম রাউন্ডে এই চট্টগ্রামেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি সৌম্যর পঞ্চম শতরান। এর মধ্যে চলতি বিসিএলের তিন ম্যাচে এসেছে দুই সেঞ্চুরি। আর সব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দেখা পেলেন তিনি।
রাজশাহীতে আশরাফুল রানে ফিরলেও বড় স্কোর গড়তে পারেনি পূর্বাঞ্চল। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে তারা মাত্র ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায়। শফিকুলের শিকার ৫ উইকেট। অবশিষ্ট ৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন দুই স্পিনার সানজামুল ও শরিফুল্লাহ।
মন্তব্য করুন