ফিফার অর্থায়নে একাডেমি কাপ

ছবি- বাফুফে
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২০:০৬
কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে আবার কেউ যৌথ উদ্যোগে একাডেমি করে ফুটবলার তৈরি করছেন। অনেক একাডেমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে নিবন্ধিত। কিছু আছে নিবন্ধনের বাইরে। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে আছে এসব একাডেমি।
ব্যক্তি উদ্যোগের প্রায় ২০০ একাডেমির নাম আছে বাফুফেতে। তাদের মধ্য থেকে ১৭০টি একাডেমি নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ নামে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাফুফে। ফিফার অর্থায়নে এ টুর্নামেন্ট করবে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ১৯ ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামে একাডেমি টুর্নামেন্টের খেলা শুরু হবে। ১৯ জেলার ২৪টি স্থানে ১৭০টি দল গ্রুপভিত্তিক এ টুর্নামেন্ট খেলবে। বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয় একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপের ড্র।
টুর্নামেন্ট সম্পর্কে বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘আমরা তালিকাভুক্ত একাডেমিদের নিবন্ধন চেয়েছিলাম। এর মধ্যে ১৭০টি একাডেমি এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চেয়েছে, যেখানে এক তারকা ১৫০টি ও দুই তারকা একাডেমি ২০টি। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমরা মেধাবী ফুটবলারদের এলিট একাডেমিতেও জায়গা দিতে পারব। ফিফা আমাদের এই ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট খাতে বিশেষভাবে কোটি টাকার মতো বরাদ্দ দিচ্ছে। আশা করছি, ফিফার এই অর্থ দিয়ে টুর্নামেন্ট ভালোভাবে শেষ হবে।’
২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমি খেলবে নকআউট পর্ব। নকআউটে বিজয়ী ১২ একাডেমি উঠবে চূড়ান্ত পর্বে। চূড়ান্ত পর্বের খেলা একটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ১২ দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হবে। প্রতি দল চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ ম্যাচ খেলায় দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে। সেমিফাইনালের বিজয়ী দল খেলবে ফাইনাল।
এ ছাড়া বাফুফে ১৭০ একাডেমিকে অংশগ্রহণ ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা দেবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠা দল পাবে ৫০ হাজার টাকা। ফিফার সাহায্য এই বছরের জন্য হলেও বাফুফে আশাবাদী আয়োজনের মাধ্যমে সফলতা বজায় রেখে আগামীতেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করার।
একাডেমি কাপে একটি ব্যতিক্রমী নিয়মও থাকছে। কোনো একাডেমি গ্রুপ বা নকআউটে বাদ পড়লে ওই একাডেমির ভালো ফুটবলারের সুযোগ থাকছে অন্য দলের হয়ে খেলার। ২৪টি অঞ্চলে বাফুফের ২৪ জন কোচ থাকবেন। তারা মেধাবী খেলোয়াড় চিহ্নিত করবেন। বয়স লুকানো রোধে বাফুফে জন্মনিবন্ধনকেই ভিত্তি হিসেবে ধরছে।