দুর্দান্ত লড়াইয়ে মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা
স্বাধীনতা কাপ
স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭:১৫
ঢাকার বাইরে ফুটবল ফাইনালের সাজানো মঞ্চ। দর্শকের বাড়তি উচ্ছ্বাস তাই অনুমিত। ওই উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান আর বসুন্ধরা কিংসের লড়াই। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপ ফাইনালে গোল, পাল্টা গোলের লড়াই দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত ১০ জনের দল নিয়ে কামব্যাক করে ২-১ গোলে শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা কিংস।
বিদেশি ও দেশি ফুটবলারের সমন্বয়ে বসুন্ধরা কিংস শক্তিতে এগিয়ে। কিন্তু ঐহিত্য সমৃদ্ধ মোহামেডান ফাইনালে উঠেছে মানে তারা ছেড়ে কথা বলবে না, এটাও জানা কথা। ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই-ই করেছে তারা। তবে ৮৫ মিনিটে হজম করা গোল আর শোধ করতে পারেনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ শানতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। দু’বার গোল পাওয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু গোল পায়নি তারা। বরং পেনাল্টির জোরালো আবেদনে লিড নেওয়ার আশা দেখিয়েছিল মোহামেডান। প্রথমার্ধে গোল শূন্য লড়াই হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেছে তিন গোল।
প্রথম গোলটি করে মোহামেডান। ম্যাচের ৫০ মিনিটে গোল করে ঢাকা লিগের এক সময়ের প্রভাবশালী দলটি। তাদের গোল পাওয়ার পথ অবশ্য বসুন্ধরাই তৈরি করে দিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোহামেডানের ফুটবলারকে গুরুতরভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বসুন্ধরার রফিকুল ইসলাম।
কিন্তু ১০ জন নিয়ে গোল খাওয়ার পরই ঘুরে দাঁড়ায় বসুন্ধরা। কর্ণার কিক থেকে গোল পায় কিংসরা। গোলটি আসে দীর্ঘদেহি ফুটবলার ইমানুয়েলের সানডের মাথা থেকে। তার দেওয়া দারুণ হেড জালে জড়িয়ে যায়। ৮৫ মিনিটে জয়সূচক কাঙ্খিত গোলটি পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। মেতেছে শিরোপা উৎসবে। যে গোলটি করেছেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকার দরিয়েলতন গোমেজ। গোলের কারিগর আরেক বিদেশি মিগুয়েল ফেরেইরা।