লিটন-মঈন ঝড়ে বড় স্কোরের পর খুলনাকে দাড়াতেই দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুলনা হেরে যায় ৬৫ রানের ব্যবধানে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ১৮৮ রান তোলে কুমিল্লা। জবাবে ১২৩ রানেই সবকটি উইকেট হারায় খুলনা।

এই ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের পথ মসৃণ হয়ে যেত খুলনার। কুমিল্লার কাছে হারায় এখন খুলনা তাকিয়ে থাকবে মিনিস্টার ঢাকা ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচের দিকে। ঢাকা হারলে আশা জাগবে, সঙ্গে সিলেটের কাছে হারতে হবে চট্টগ্রামকেও। তবে আগামীকাল কুমিল্লার বিপক্ষে খুলনার জয়ের বিকল্প নেই।

১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই নাহিদুলকে দুই বাউন্ডারি মেরে ইনিংস শুরু করেন খুলনার ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। দ্বিতীয় ওভারে এসেই রনি তালুকদারকে তুলে নেন মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান ১৬ (৭) রানে। ইয়াসির আলী ১৮ (১৯) রান করে মঈনের বলে ক্যাচ দেন প্লেসির হাতে। মুশফিক এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আবু হায়দারের বলে নারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৪৪ রানে টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা।

এরপর টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। সৌম্যের ব্যাটে আশা দেখলেও তিনি ফেরেন ২৫ বলে ২২ রান করে। সিকান্দার রাজা ফেরেন ৮ বলে ৮ রান করে। ৬৭ রানে নেই ৬ উইকেট। মেহেদি হাসান (১১), রুয়েল মিয়া ০ রানে ফিরেন। দুজনেই নাহিদুলের শিকার। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ২ ছক্কায় ২৬ রান করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। শেষ দুই ব্যাটার তাই হারের ব্যবধান কিছুটা কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি।

বল হাতে ৪ ওভারে ২০ রান খরচে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন মঈন। এছাড়া আবু হায়দার ৩টি এবং নাহিদুল এবং মোস্তাফিজ ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। বাকি উইকেট তানভীরের।

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে নাবিল সামাদের শিকার হয়ে ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর ব্যাট করতে নেমে লিটনকে সঙ্গ দেন ফাফ ডু প্লেসি।  

সপ্তম ওভারে ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা লিটন থিসারা পেরেরার বলে উইকেট হারান। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ১৭ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর ৫ রান করতেই খালেদ আহমেদের শিকার হন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অধিনায়কের বিদায়ের পর ডু প্লেসির সঙ্গে জুটিতে ঝড়ো ইনিংস খেলেন মঈন আলী। ৪৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে ডু প্লেসিকে আউট করে জুটি ভাঙেন সৌম্য। ৩৬ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক।

ডু প্লেসির বিদায়ের পর খালি হাতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সুনীল নারিন। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগিয়ে যান মঈন আলী। শেষদিকে এসে পেরেরার শিকার হন তিনি। ৯ ছক্কা ও ১ চারে ৩৫ বলে ৭৫ রান নিয়ে ফেরেন ইংলিশ এই ব্যাটার। শেষদিকে এসে মাহিদুলের ক্যামিও ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৮ রানে।  

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন পেরেরা। একটি করে উইকেট পান খালেদ আহমেদ, নাবিল সামাদ, মেহেদি হাসান ও সৌম্য সরকার।

খুলনা টাইগার্স: 

মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক) আন্দ্রে ফ্লেচার, রনি তালুকদার, ইয়াসির আলী চৌধুরী, থিসারা পেরেরা, শেখ মেহেদী হাসান, খালেদ আহমেদ, নাবিল সামাদ, সৌম্য সরকার, সিকান্দার রেজা ও রুয়েল মিয়া।  

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: 

ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক) লিটন দাস, মাহিদুল অঙ্কন, আবু হায়দার রনি, নাহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান জয়, সুনীল নারাইন, মঈন আলী ও ফাফ ডু প্লেসি।