সাকিবের ভাগ্যটাই খারাপ। নিলামে ফের নাম ওঠার পরও অবিক্রীত থাকলেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে হওয়া নিলামের শেষ দিনের শেষ ধাপে হলো 'অ্যাকসিলারেটেড অকশন'। এই ধাপের দ্বিতীয় পর্বে অবিক্রীত বাকি থাকা ক্রিকেটারের মধ্যে যাদের প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগ্রহ আছে, তাদেরই কেবল ফের নিলামে তোলা হয়। সেই দ্রুতগতির নিলাম পর্বে দ্বিতীয় নামটিই ছিল সাকিবের। কিন্তু তার নাম ওঠার পর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুঁ শব্দটি করেনি। অথচ অবিক্রীত থাকা ডেভিড মিলার, স্যাম বিলিংস, ম্যাথু ওয়েড, ক্রিস জর্ডান, লুঙ্গি এনগিডি, এভিন লুইসসহ অনেকেই ফের নিলামে দল পেয়েছেন।

২০১১ সালের পর এই প্রথম নিলামে দুই দফা নাম ওঠার পরও দলহীন সাকিব। ২০১৩ সালে চোট ও ২০২০ সালে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলেননি। এবারের মেগা নিলামে অবিক্রীত থাকায় সম্ভবত সাকিবের আইপিএল অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। বিপিএলে এমন দুর্দান্ত ছন্দে থাকার পরও এবার তাকে নেয়নি কোনো দল। আগামীবার তো তার বয়স ৩৬ ছুঁইছুঁই হয়ে যাবে, তখন আগ্রহ দেখাবে কে! 

তাও বোর্ডে সাকিবের নাম দুইবার উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে যে নতুন তিনজনের নাম দেওয়া হয়েছিল, তাদের নামই নিলামে ওঠেনি। এর মধ্যে উইকেটকিপার ব্যাটারদের লিস্টে ১৮১ নম্বরে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু তাকে নিলামে তোলাই হয়নি। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের নামও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। 

গত বছর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। তবে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। এবার চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) ঝলক দেখাচ্ছেন তিনি। ফরচুন বরিশালের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচেই সেরা হয়ে গড়েছেন ইতিহাস। কিন্তু এই পারফরম্যান্স দিয়েও আইপিএলের দলগুলোর নজর কাড়া হলো না তার। সবশেষ আইপিএলে আট ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে করেছিলেন মোটে ৪৭ রান, বল হাতে নিয়েছিলেন কেবল ৪ উইকেট।

গতকালের নিলামে বাজিমাত করেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন। ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব। সিঙ্গাপুরি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার টিম ডেভিসও চমক দেখিয়েছেন। নিলামে ৪০ লাখ রুপিতে ডাক শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দীর্ঘদেহী এই মারকুটে ব্যাটারকে নিয়ে ছয় দলের টানাটানি লেগেছিল। চোটে থাকা ইংলিশ পেসার জোফ্রা আর্চারকেও ৮ কোটিতে দলে নেয় মুম্বাই। তবে দল পাননি ইয়ন মরগান, অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড মালানের মতো টি২০ তারকারা।