- খেলা
- ড্রাইভিং সিটে বসতে হবে সাকিবকে
ড্রাইভিং সিটে বসতে হবে সাকিবকে

আফগানিস্তান সিরিজ তিনি উপভোগ করেননি- এ কথা তিনি নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন। ওই সিরিজে নিজেকে অনেকটা প্যাসেঞ্জারের মতো মনে হয়েছে- এমনটা বলেও বিস্ম্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন।
তারপর অনেক কাণ্ডের পর যখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা রওনা দিলেন তখন মিষ্টি হেসে বলে গেলেন, 'এবার আর প্যাসেঞ্জার নয়, ড্রাইভিং সিটেই থাকব আমি।'
সাকিব আল হাসানের এই চালকের আসনে থাকার অর্থ দলের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল, বিশ্বকাপের সেই ম্যাচেও সেরা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৮৪ বলে ৭৫ রান আর বল হাতে একটি উইকেট শিকার- সেদিনও ড্রাইভিং সিটেই ছিলেন তিনি।
যদিও বিশ্বকাপের পর অনেক কিছুই বদলে গেছে। মাঝে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। এরপর মাঠে ফিরেও সেভাবে ব্যাটার সাকিবের দেখা মেলেনি। মিরপুর, হারারে আর চট্টগ্রাম মিলে এরপর মোট ১২টি ওয়ানডে খেললেও পঞ্চাশের ওপর রান মাত্র তার দুটি ইনিংসে। সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেও তিন ম্যাচে ৬০ রানের বেশি করতে পারেননি।
ব্যাটার সাকিবের এই অফফর্ম সত্যিকার অর্থেই চিন্তার বিষয় টিম ম্যানেজমেন্টের। সাকিব নিজেও তার ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে খুশি নন। যা তার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যেই পরিস্কার। এমন অবস্থায় একা নিবিড় অনুশীলন করতেই পছন্দ করেন সাকিব। কিন্তু এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে সেভাবে কোনো প্রস্তুতিই তিনি নেননি দেশ থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেই অবশ্য বেশ কয়েকটি সেশন ব্যাটিং করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ পর্যন্ত মোট ১৪টি ওয়ানডে খেলেছেন সাকিব। ৩৩.০৮ গড় নিয়ে তার মোট রান ৩৯৭। স্ট্রাইক রেট ৬৮.৪৪। কোনো সেঞ্চুরি নেই তার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। প্রোটিয়াদের মাঠে মোট ৫টি ওয়ানডে খেলে সাকিবের মোট রান ১৬৫। চালকের আসনে থাকতে হলে তার এই রেকর্ড ভাঙতেই হবে এই সিরিজে।
ব্যাটিং লাইনআপের গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে নামতে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে সাকিবের চালকের আসনে থাকা মানে দলের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। মানসিক অবসাদ ভুলে সাকিব যদি এই সিরিজে প্রসন্ন মনে নিজের স্বরূপে ফিরতে পারেন, তাহলে সেটিই হবে টাইগারদের জন্য বড় প্রাপ্তি।
মন্তব্য করুন